গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযান পুনরায় শুরুর আদেশ দিতে পারেন ট্রাম্প
Published: 16th, October 2025 GMT
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, হামাস যদি যুদ্ধবিরতি চুক্তি মেনে চলতে অস্বীকৃতি জানায় তবে তিনি ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে গাজায় সামরিক অভিযান পুনরায় শুরু করার অনুমতি দেওয়ার কথা বিবেচনা করবেন। বুধবার সিএনএনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেছেন।
ট্রাম্প বলেছেন, “আমি কথা বলার সাথে সাথেই ইসরায়েলি বাহিনী রাস্তায় ফিরে আসতে পারে।”
ট্রাম্পের মন্তব্য এমন এক সময় এসেছে যখন ইসরায়েল দাবি করেছে, গাজায় যুদ্ধ বন্ধ করার চুক্তির অংশ হিসেবে জীবিত ও মৃত জিম্মিদের হস্তান্তরের চুক্তি মেনে চলছে না হামাস।
ট্রাম্পের ২০-দফা শান্তি পরিকল্পনার ৪র্থ দফায় বলা হয়েছে, “ইসরায়েল প্রকাশ্যে এই চুক্তি গ্রহণের ৭২ ঘন্টার মধ্যে জীবিত এবং মৃত সকল জিম্মিকে ফিরিয়ে আনা হবে।” বুধবার সকাল পর্যন্ত, জীবিত ২০ জন ইসরায়েলি জিম্মিকে ইসরায়েলে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। কিন্তু হামাস মঙ্গলবার রাতে চারজনসহ আটজনের মৃতদেহ হস্তান্তর করেছে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, এই মৃতদেহর একটিও ইসরায়েলি জিম্মির নয়।
সিএনএন-এর সাথে ট্রাম্পের কথোপকথনের পর, দুইজন জ্যেষ্ঠ মার্কিন উপদেষ্টা জানিয়েছেন, আমেরিকা বিশ্বাস করে না যে.
ট্রাম্পের ২০ দফা শান্তি পরিকল্পনার ৬ষ্ঠ দফায় বলা হয়েছে, “জিম্মিদের ফিরিয়ে আনার পর, শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান এবং অস্ত্র ত্যাগে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হামাস সদস্যদের সাধারণ ক্ষমা দেওয়া হবে। গাজা ছেড়ে যেতে ইচ্ছুক হামাস সদস্যদের গ্রহণকারী দেশগুলোতে নিরাপদে যাওয়ার পথ প্রদান করা হবে।”
হামাস যদি নিরস্ত্রীকরণে অস্বীকৃতি জানায় তাহলে কী হবে জানতে চাইলে ট্রাম্প বলেন, “আমি এটা নিয়ে ভাবছি। আমি কথা বলার সাথে সাথেই ইসরায়েল ওই রাস্তাগুলোতে ফিরে আসবে। যদি ইসরায়েল ভেতরে গিয়ে তাদের কাছ থেকে বাজে জিনিস বের করে দিতে পারে, তাহলে তারা তা করবে।”
ঢাকা/শাহেদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইসর য় ল ইসর য
এছাড়াও পড়ুন:
ইউক্রেন শান্তি আলোচনার ভবিষ্যৎ পথ অস্পষ্ট: ট্রাম্প
ইউক্রেন শান্তি আলোচনার ভবিষ্যৎ পথ অস্পষ্ট বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং মার্কিন দূতদের মধ্যে ‘যথেষ্ট ভালো’ আলোচনার পরেও কোনো অগ্রগতি হয়নি বলে তিনি মন্তব্য করেছেন।
মঙ্গলবার ক্রেমলিনে পুতিনের সঙ্গে ঘন্টাব্যাপী বৈঠকের পর, মার্কিন বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ এবং ট্রাম্পের জামাতা জ্যারেড কুশনার বৃহস্পতিবার ফ্লোরিডায় শীর্ষ ইউক্রেনীয় আলোচক রুস্তেম উমেরভের সাথে দেখা করার কথা রয়েছে।
বুধবার ওভাল অফিসে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার সময় ট্রাম্প জানান, পুতিন একটি চুক্তি করতে চান, কিন্তু “সেই বৈঠক থেকে কী বেরিয়ে আসবে তা আমি আপনাকে বলতে পারছি না কারণ এটি করতে দুইজনের সময় প্রয়োজন।” মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ‘(ইউক্রেনের সাথে) বেশ ভালোভাবে কিছু সমাধান করেছে।’
বুধবার ক্রেমলিন জানিয়েছে, পুতিন ইউক্রেনের যুদ্ধের অবসান ঘটানোর লক্ষ্যে কিছু মার্কিন প্রস্তাব গ্রহণ করেছেন এবং একটি সমঝোতা খুঁজে বের করার জন্য কাজ চালিয়ে যেতে প্রস্তুত। কিন্তু ‘এখনো সমঝোতা খুঁজে পাওয়া যায়নি।’
উভয় পক্ষই ক্রেমলিনে তাদের আলোচনার সারমর্ম প্রকাশ না করার বিষয়ে একমত হয়েছে। তবে একটি মীমাংসার পথে অন্তত একটি বড় বাধা রয়ে গেছে; রাশিয়ার আংশিকভাবে দখল করা চারটি ইউক্রেনীয় অঞ্চলের ভাগ্য।
একজন রাশিয়ান কর্মকর্তা সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ভূখণ্ডের ইস্যুতে ‘এখনো পর্যন্ত কোনো সমঝোতা খুঁজে পাওয়া যায়নি’, যা ছাড়া ক্রেমলিন ‘সঙ্কটের কোনো সমাধান’ দেখতে পাচ্ছে না।
ঢাকা/শাহেদ