মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, হামাস যদি যুদ্ধবিরতি চুক্তি মেনে চলতে অস্বীকৃতি জানায় তবে তিনি ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে গাজায় সামরিক অভিযান পুনরায় শুরু করার অনুমতি দেওয়ার কথা বিবেচনা করবেন। বুধবার সিএনএনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেছেন।

ট্রাম্প বলেছেন, “আমি কথা বলার সাথে সাথেই ইসরায়েলি বাহিনী রাস্তায় ফিরে আসতে পারে।”

ট্রাম্পের মন্তব্য এমন এক সময় এসেছে যখন ইসরায়েল দাবি করেছে, গাজায় যুদ্ধ বন্ধ করার চুক্তির অংশ হিসেবে জীবিত ও মৃত জিম্মিদের হস্তান্তরের চুক্তি মেনে চলছে না হামাস। 

ট্রাম্পের ২০-দফা শান্তি পরিকল্পনার ৪র্থ দফায় বলা হয়েছে, “ইসরায়েল প্রকাশ্যে এই চুক্তি গ্রহণের ৭২ ঘন্টার মধ্যে জীবিত এবং মৃত সকল জিম্মিকে ফিরিয়ে আনা হবে।” বুধবার সকাল পর্যন্ত, জীবিত ২০ জন ইসরায়েলি জিম্মিকে ইসরায়েলে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। কিন্তু হামাস মঙ্গলবার রাতে চারজনসহ আটজনের মৃতদেহ হস্তান্তর করেছে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, এই মৃতদেহর একটিও ইসরায়েলি জিম্মির নয়। 

সিএনএন-এর সাথে ট্রাম্পের কথোপকথনের পর, দুইজন জ্যেষ্ঠ মার্কিন উপদেষ্টা জানিয়েছেন, আমেরিকা বিশ্বাস করে না যে.

জিম্মিদের দেহাবশেষ ফেরত দিতে ব্যর্থ হয়ে হামাস যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রতিশ্রুতি লঙ্ঘন করছে। আমেরিকা তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্থতাকারীদের মাধ্যমে এই গোষ্ঠীর কাছ থেকে আশ্বাস পেয়েছে যে, তারা অবশিষ্ট মৃতদেহগুলো খুঁজে বের করবে এবং ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করবে। আমেরিকা মধ্যস্থতাকারীদের মাধ্যমে সক্রিয়ভাবে কাজ করছে অবশিষ্ট মৃতদেহগুলো খুঁজে বের করার জন্য। কারণ দুই বছরের যুদ্ধের পরে ফেলে আসা ধ্বংসস্তূপের নীচে অনেক মৃতদেহ চাপা পড়ে থাকতে পারে।

ট্রাম্পের ২০ দফা শান্তি পরিকল্পনার ৬ষ্ঠ দফায় বলা হয়েছে, “জিম্মিদের ফিরিয়ে আনার পর, শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান এবং অস্ত্র ত্যাগে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হামাস সদস্যদের সাধারণ ক্ষমা দেওয়া হবে। গাজা ছেড়ে যেতে ইচ্ছুক হামাস সদস্যদের গ্রহণকারী দেশগুলোতে নিরাপদে যাওয়ার পথ প্রদান করা হবে।”

হামাস যদি নিরস্ত্রীকরণে অস্বীকৃতি জানায় তাহলে কী হবে জানতে চাইলে ট্রাম্প বলেন, “আমি এটা নিয়ে ভাবছি। আমি কথা বলার সাথে সাথেই ইসরায়েল ওই রাস্তাগুলোতে ফিরে আসবে। যদি ইসরায়েল ভেতরে গিয়ে তাদের কাছ থেকে বাজে জিনিস বের করে দিতে পারে, তাহলে তারা তা করবে।”
 

ঢাকা/শাহেদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইসর য় ল ইসর য

এছাড়াও পড়ুন:

সোনারগাঁয়ে ডেঙ্গু প্রতিরোধে ছাত্র ফেডারেশনের সচেতনতামূলক কর্মসূচি ও স্মারকলিপি প্রদান

ডেঙ্গু প্রতিরোধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবিতে সোনারগাঁওয়ে সচেতনতামূলক কার্যক্রম ও স্মারকলিপি প্রদান করেছে বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন সোনারগাঁও আঞ্চলিক কমিটি। বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর ২০২৫) দুপুরে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।

এদিন ছাত্র ফেডারেশন নেতৃবৃন্দ সোনারগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে ডেঙ্গু প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণের দাবিতে একটি স্মারকলিপি জমা দেন।

পাশাপাশি, ডেঙ্গু প্রতিরোধে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে সোনারগাঁওয়ের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্যাম্পেইন পরিচালনা করা হয়। এর মধ্যে ছিল সোনারগাঁও আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, সোনারগাঁও মেরিট ইন্টারন্যাশনাল স্কুল ও জিআর স্কুল অ্যান্ড কলেজ। শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে স্বেচ্ছাসেবক (ভলেন্টিয়ার) সংগ্রহ কার্যক্রমও সম্পন্ন হয়।

কার্যক্রমে উপস্থিত ছিলেন সংগঠক ফয়সাল হোসেন, নাজমুল হাসান শান্ত, আরিয়ান আহমেদ জুনায়েদ, সফিউল্লাহসহ সোনারগাঁও শাখার নেতৃবৃন্দ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি ও কেন্দ্রীয় ছাত্র নেতা সাইদুর রহমান, গণসংহতি আন্দোলন সোনারগাঁও শাখার সম্পাদক মোবাশ্বির হোসাইন ও যুগ্ম সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম হিমেল।

এ সময় ছাত্র নেতা সাইদুর রহমান বলেন, “ডেঙ্গু শুধু একটি রোগ নয়, এটি আমাদের অব্যবস্থাপনা ও অবহেলার প্রতিফলন। প্রশাসনকে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে—পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম জোরদার ও মশার প্রজননস্থল ধ্বংস করতে হবে।

পাশাপাশি জনগণের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করতে হবে। ছাত্র সমাজ এই সচেতনতা তৈরিতে মাঠে আছে এবং থাকবে। স্বাস্থ্যই মানুষের মৌলিক অধিকার, এ অধিকার নিশ্চিত করাই আমাদের আন্দোলনের অংশ।”
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ