ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের আহ্বান দুদুর
Published: 16th, October 2025 GMT
পারলে ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠান আয়োজনের আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু।
সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেছেন, “যদি মনে হয় ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন সম্ভব, তাহলে সেটিও বিবেচনা করতে হবে। কিন্তু কোনো অবস্থাতেই ফেব্রুয়ারি মাস অতিক্রম করা যাবে না। এই সময়ের মধ্যেই নির্বাচন অনুষ্ঠান করে একটি নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। দেশের জনগণ কোনো ধরনের বিলম্ব বা ভিন্নতা মেনে নেবে না। কোনো ধরনের টালবাহানা আমরা সহ্য করব না।”
আরো পড়ুন:
সরকারকে সবাই ব্যস্ত রেখেছে যেন নির্বাচন না হয়: মির্জা ফখরুল
আগামী নির্বাচন পিআর পদ্ধতিতে হবে না: আযম খান
বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে বাংলাদেশ পিপলস ফোরামের উদ্যোগে ‘অনির্বাচিত সরকার নয়, নির্বাচিত সরকার চাই’ শীর্ষক এক নাগরিক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
শামসুজ্জামান দুদু বলেন, “এই সরকার ফেব্রুয়ারি মাসে নির্বাচনের কথা বলেছে। তারপরও মানুষের মনে এক ধরনের জিজ্ঞাসা রয়ে গেছে-ফেব্রুয়ারি মাসে সত্যিই কি নির্বাচন হবে? এই প্রশ্নের জন্ম হয়েছে সরকারের চলন-বলন, আচরণ ও বক্তব্যের কারণেই। সম্ভবত গতকালও ড.
“বাংলাদেশ গণতন্ত্রের জন্য যুদ্ধ করেছে, স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধ করেছে। এক সাগর রক্তের বিনিময়ে এই দেশ অর্জিত হয়েছে। গত ৫৪ বছরে বাংলাদেশের ইতিহাসে বহু উত্থান-পতন ঘটেছে, তা আমরা সবাই জানি। কিন্তু গণতন্ত্রের প্রশ্নে বাংলাদেশের জনগণ কখনো আপস করেনি, ভবিষ্যতেও করবে না। তাই এই সরকারকে বুঝতে হবে। বেশি সময় নেওয়া ঠিক হবে না।”
এই সরকার ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে ক্ষমতায় এসেছে জানিয়ে দুদু বলেন, “তাদের আমি সমালোচনা করতে চাই না। তবে গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে স্বৈরাচারের পতন হয়েছে-এর মানে হলো, মানুষ গণতন্ত্র চায়। স্বৈরাচারের পতন গণতন্ত্রের প্রত্যাশায় ঘটেছে, এই সাধারণ ও মৌলিক বিষয়টি যদি এই সরকার উপলব্ধি করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে দেশ, গণতন্ত্র এবং সাম্প্রতিক অভ্যুত্থান তিনটিরই বড় ক্ষতি হবে। সেই কারণেই আমি সরকারকে বলতে চাই, দেশের মানুষ অনেক আগেই একটি সাধারণ নির্বাচনের প্রত্যাশা করেছে। কারণ, এ ধরনের দৃষ্টান্ত আমাদের দেশেই রয়েছে। ১৯৯০ সালের গণঅভ্যুত্থানের পর মাত্র তিন মাসের মধ্যে বিচারপতি শাহাবুদ্দিন আহমদ নির্বাচন পরিচালনা করে জাতিকে গণতন্ত্রে উত্তরণের পথে নিয়ে গিয়েছিলেন। এটি প্রমাণ করে, এমন পদক্ষেপ নেওয়া সম্পূর্ণ সম্ভব।”
ভারতের উদ্দেশে বিএনপির এই নেতা বলেন, “হাসিনা আপনাদের রাষ্ট্রে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন। এটি এক বিরল ঘটনা। খুনিকে কেউ আশ্রয় দেয়? গণতন্ত্র ধ্বংসকারীকে কেউ আশ্রয় দেয়? সীমাহীন লুটপাটকারীকে কেউ আশ্রয় দেয়? এমন দৃষ্টান্ত পৃথিবীতে খুব কমই দেখা যায়।”
তিনি বলেন, “ইরানের শাহ যখন গণঅভ্যুত্থানের মুখে পতিত হয়েছিলেন, তিনি ছিলেন আমেরিকার ঘনিষ্ঠ ও সমর্থিত ব্যক্তি। তবুও তিনি আমেরিকায় প্রবেশাধিকার পাননি। পরে মধ্যপ্রাচ্যে গিয়ে আশ্রয় নিতে বাধ্য হন এবং সেখানেই তার মৃত্যু হয়। আমেরিকা তার ক্ষমতাসীন অবস্থায় যেসব সুবিধা নিয়েছিল, পতনের পর তাকে আশ্রয় দেয়নি। একইভাবে, শ্রীলঙ্কায় যখন তৎকালীন প্রেসিডেন্ট গণঅভ্যুত্থানে পতিত হন, তখন তিনিও ভারতের আশ্রয় পাননি। পরে তাকে ব্যাংককে গিয়ে আশ্রয় নিতে হয়েছিল।কিন্তু শেখ হাসিনার পতনের পর তার আশ্রয় মিলেছে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে। ভারত একজন অভিযুক্ত হত্যাকারীকে, গণতন্ত্র ধ্বংসকারীকেও, লুটপাটকারী সরকারপ্রধানকেও আশ্রয় দিয়েছে-এই অভিযোগ বাংলাদেশের মানুষ তুললে ভারত এ বিষয়ে কী জবাব দেবে, তা আমার জানা নেই।”
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/সাইফ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ গণঅভ য ত থ ন র গণতন ত র এই সরক র ধরন র
এছাড়াও পড়ুন:
খালেদা জিয়ার আরোগ্য কামনায় মসজিদ-মাদ্রাসায় মাসুদুজ্জামানের দোয়া
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর চেয়ারপারসন, তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার দ্রুত আরোগ্য, সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনায় নারায়ণগঞ্জে বিশেষ দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের বিএনপির মনোনীত প্রার্থী, বিশিষ্ট সমাজসেবী ও ক্রীড়া সংগঠক মাসুদুজ্জামানের উদ্যোগে রবিবার (৩০ নভেম্বর) জেলার বিভিন্ন মসজিদ, মাদ্রাসা, স্থানীয় ধর্মীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানজুড়ে এ দোয়ার আয়োজন করা হয়।
মসজিদ, মাদ্রাসাতে অনুষ্ঠিত এই দোয়া মাহফিলগুলোতে অংশ নেন নানা বয়সের মুসল্লি, স্থানীয় আলেম-উলামা, মাদ্রাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থী, বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষ। প্রতিটি স্থানে বেগম খালেদা জিয়ার দ্রুত আরোগ্য, দীর্ঘায়ু এবং দেশের কল্যাণ কামনায় বিশেষ মোনাজাত পরিচালনা করা হয়।
দোয়ায় অংশগ্রহণকারীরা বলেন, বেগম জিয়া দেশের গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের সংগ্রামের প্রতীক; তাঁর সুস্থতা কামনা করা সকলের দায়িত্ব ও কর্তব্য।
আয়োজক মাসুদুজ্জামান বলেন- “আমাদের প্রিয় দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জন্য দেশের প্রতিটি মসজিদে দোয়া অব্যাহত রাখুন। আল্লাহ যেন তাঁকে পূর্ণ সুস্থতা, শক্তি ও দীর্ঘায়ু দান করেন- আমীন। আমরা সবাই জানি, দেশের মানুষের অধিকার, ন্যায়বিচার ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় তিনি আজীবন সংগ্রাম করে গেছেন।”
তিনি আরও বলেন - “এ দোয়া শুধু আজকের আয়োজনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। আমরা চাই এটি ধারাবাহিকভাবে চলুক – গতকাল ২৯ নভেম্বরের মতো আজও যেন একইভাবে দোয়ার আয়োজন অব্যাহত থাকে, এ প্রত্যাশা জানিয়ে আমি সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি অনুরোধ করছি।
নারায়ণগঞ্জের প্রতিটি অঞ্চল, প্রতিটি মহল্লা, প্রতিটি মসজিদ-মাদ্রাসা এবং ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে নিয়মিতভাবে দোয়া আয়োজনের ব্যবস্থা আমরা অব্যাহত রাখব, ইনশাআল্লাহ।
আমরা আশা করি- জনগণের আন্তরিক দোয়া ও প্রার্থনার মাধ্যমে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া দ্রুত সুস্থ হয়ে আবারও দেশের মানুষের মাঝে ফিরে আসবেন।”
এই দোয়া মাহফিলে আগত মুসল্লিরা দেশনেত্রীর সুস্থতা ও দেশের কল্যাণ কামনা করে আন্তরিকভাবে দোয়া করেন।