এইচএসসির ফলাফল: নীলফামারীর ১০ কলেজে পাস করেনি কেউ
Published: 17th, October 2025 GMT
এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় নীলফামারীতে ১০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কেউই পাশ করেননি। এই ১০টি কলেজ থেকে ৪০ জন পরিক্ষার্থী অংশ নিয়েছিলেন।
বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) প্রকাশিত ফলাফলে এ তথ্য জানা গেছে।
আরো পড়ুন:
এইচএসসির ফলের আড়ালে চোখের জল, শিক্ষায় কীসের সংকেত
এইচএসসির ফল: সেনাবাহিনী পরিচালিত প্রতিষ্ঠানের বড় সাফল্য, পাশের হার ৯৮.
এদিকে, নাম সর্বস্ব এসব কলেজ স্থানীয় শিক্ষাথীদের জীবন ধ্বংস করছে বলে অভিযোগ করেছেন অভিভাবকরা। নীলফামারী সদরের লক্ষীচাপ গ্রামের সৃজনশীল কলেজে ছাত্র-ছাত্রী তো দুরের কথা, ক্লাস রুমে কোনো চেয়ার, বেঞ্চ বা শিক্ষা উপকরণ নেই বলে জানিয়েছেন তারা।
কলেজটির জমিদাতা মজিবুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, “এখানে প্রিন্সিপ্যাল-প্রফেসর কেউ নেই। ছাত্ররা কে কোথায় পরীক্ষা দিল—এ ব্যাপারে আমি কিছু জানি না।”
অভিভাবক নূর উদ্দীন জানান, দীর্ঘদিন ধরে কলেজটি বন্ধ অবস্থায় আছে। ছেলে-মেয়েদের লেখাপড়ার কিছুই হচ্ছে না এখানে। এ ধরনের কলেজ এলাকায় শিক্ষাথীদের জীবন নষ্ট করছে। এমন কলেজ থাকার চেয়ে না থাকা ভালো।
তবে কোথাও কোথাও লেগেছে ২০২৪-এর রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের ধাক্কা। শিক্ষকদের অভ্যন্তরীন রাজনীতির শিকার হয়েছে কলেজের লেখাপড়া।
ডিমলা উপজেলার জেলা পরিষদ স্কুল অ্যান্ড কলেজে একসময় অনেক শিক্ষার্থী ছিল। নিয়োগকে কেন্দ্র করে শিক্ষকদের অভ্যন্তরীন রাজনীতিতে লেখাপড়া, শিক্ষার্থী-সবই শূন্যের কোটায় বলে জানিয়েছেন কলেজটির প্রভাষক মো. জাকারিয়া ইসলাম।
এই কলেজের অনেক শিক্ষক ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের পর থেকে আর কলেজে আসেন না বলেও জানান তিনি।
এদিকে, কেউ পাশ না করা কলেজগুলোর পরিচয় প্রকাশ করা হয়েছে দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের বিজ্ঞপ্তিতে।
বিজ্ঞপ্তিতে প্রকাশিত কলেজগুলোর মধ্যে রয়েছে- জলঢাকা উপজেলার বাগুলাগাড়ী স্কুল ও কলেজ, চাওড়াডাংগী উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ, গোলমুন্ডা আদর্শ কলেজ, কিশোরগঞ্জ উপজেলার নয়ান খাল স্কুল ও কলেজ, ডিমলা উপজেলার নাউতারা বালিকা স্কুল ও কলেজ, জেলা পরিষদ স্কুল ও কলেজ, সীমান্ত কলেজ, গয়াখড়িবাড়ী বালিকা কলেজ, নীলফামারী সদর উপজেলার লক্ষিচাপ সৃজনশীল কলেজ এবং সাতপাই হাই স্কুল ও কলেজ।
ঢাকা/সিথুন/মেহেদী
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর এইচএসস ফল স ক ল ও কল জ উপজ ল র
এছাড়াও পড়ুন:
ক্ষোভ-বিক্ষোভের মুখে অঙ্গীকারনামার পঞ্চম দফা সংশোধন
ক্ষোভ-বিক্ষোভের মুখে জুলাই জাতীয় সনদের অঙ্গীকারনামার পঞ্চম দফা সংশোধন করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।
দফাটিতে আগে ছিল, গণ-অভ্যুত্থানপূর্ব ১৬ বছরের ফ্যাসিবাদ বিরোধী গণতান্ত্রিক সংগ্রামে গুম, খুন নির্যাতনের শিকার হওয়া ব্যক্তিদের এবং ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানকালে সংঘটিত সকল হত্যাকাণ্ডের বিচার, শহীদদের রাষ্ট্রীয় মর্যাদা প্রদান ও শহীদ পরিবারগুলোকে যথোপযুক্ত সহায়তা প্রদান এবং আহতদের সুচিকিৎসা ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা নিশ্চিত করব।
এখন সংশোধিত দফায় বলা হয়েছে, ‘গণ-অভ্যুত্থানপূর্ব বাংলাদেশে ১৬ বছরের আওয়ামী ফ্যাসিবাদ বিরোধী গণতান্ত্রিক সংগ্রামে গুম, খুন ও নির্যাতনের শিকার হওয়া ব্যক্তিদের এবং ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থান কালে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কতিপয় সদস্যদের দ্বারা সংঘটিত সকল হত্যাকাণ্ডের বিচার, শহীদদের রাষ্ট্রীয় মর্যাদা প্রদান ও শহীদ পরিবারকে এবং জুলাই আহতদের রাষ্ট্রীয় বীর, আহত জুলাই বীর যোদ্ধাদের যথোপযুক্ত সহায়তা প্রদান যেমন মাসিক ভাতা, সুচিকিৎসা, পুনর্বাসন ব্যবস্থা এবং শহীদ পরিবার ও আহত বীর যোদ্ধাদের আইনগত দায়মুক্তি, মৌলিক অধিকার সুরক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করবো।’
আজ শুক্রবার দুপুরের দিকে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সনদের অঙ্গীকারনামার পঞ্চম দফা সংশোধনের কথা জানানো হয়।