রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনে একমাত্র স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছেন তোফায়েল আহমেদ তোফা। কে এই তোফা প্রশ্ন সকলের? যিনি ১২টি প্যানেলের প্রার্থীদের হারিয়ে একমাত্র স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে বিজয়ী হয়েছেন।

শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৮টায় কাজী নজরুল ইসলাম অডিটোরিয়ামে রাকসু নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক ফলাফল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড.

এফ নজরুল ইসলাম।

আরো পড়ুন:

রাকসু: ছাত্রীদের আস্থা অর্জনে ব্যর্থ ছাত্রদল

রাকসু: শীর্ষ তিন পদে ছাত্রদলের ‘ডরাডুবি’

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, তোফায়েল আহমেদ তোফা হলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সায়েন্স ক্লাবের বর্তমান সহ-সভাপতি। তার বাসা চট্টগ্রামে। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের সঙ্গেও জড়িত।

নির্বাচন কমিশনের তথ্যমতে, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক পদে ৬ হাজার ৭৮০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন তোফায়েল আহমেদ তোফা। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রশিবির মনোনীত ‘সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোটের’ প্রার্থী হাচান হাওলাদার পেয়েছেন ৬ হাজার ৭৬৩ ভোট। ২৭ ভোট বেশি পেয়ে স্বতন্ত্র থেকে একমাত্র বিজয়ী তিনি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে তোফায়েল আহমেদ তোফা বলেন, ‘‘শিক্ষার্থীরা তাদের যোগ্য প্রার্থীদের বেছে নিয়েছেন। গ্রহণযোগ্যতা থাকলে প্যানেলে না থেকেও প্রার্থীদের হারিয়েও বিজয়ী হওয়া যায়, যার বড় উদাহরণ আমি। প্রথমে শিক্ষার্থীদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি, তাদের ভোটেই আজ আমি নির্বাচিত। শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ে কাজ করার চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ।’’ 

ঢাকা/ফাহিম/বকুল

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ত ফ য় ল আহম দ ত ফ স বতন ত র একম ত র

এছাড়াও পড়ুন:

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হামলা, চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেপ্তার

চট্টগ্রাম নগরের কোতোয়ালি থানা এলাকা থেকে প্রদীপ কুমার চৌধুরী (৫৭) নামের আওয়ামী লীগের এক নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার প্রদীপ কুমার সাতকানিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি। গতকাল মঙ্গলবার নগরের রহমতগঞ্জ এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশ বলছে, প্রদীপ কুমার চট্টগ্রামের নিউমার্কেট এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মীদের ওপর হামলায় প্রত্যক্ষভাবে অংশ নিয়েছিলেন। ওই ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় তাঁর নামে মামলা রয়েছে।

গ্রেপ্তার প্রদীপ কুমার চৌধুরী সাতকানিয়ার চরতী ইউনিয়নের দুরদুরী এলাকার মৃত সুকেন্দু বিকাশ চৌধুরীর ছেলে। তিনি বর্তমানে নগরের পূর্ব নাসিরাবাদ এলাকায় বসবাস করেন। তিনি সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীর ঘনিষ্ঠ সহযোগী ছিলেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।

পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, প্রদীপ কুমার ২০২৪ সালে নিউমার্কেট–তামাকুমন্ডী লেন সড়কে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী ছাত্র–জনতার ওপর হামলায় অংশ নেন। গত বছরের নভেম্বরে থানায় এ নিয়ে মামলা হয়।

কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল করিম বলেন, রহমতগঞ্জ এলাকা থেকে প্রদীপ কুমার চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁকে তিন থেকে চারটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। আসামিকে আদালতে সোপর্দ করা হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ