ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় নির্বাচন: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
Published: 18th, November 2025 GMT
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আগামী ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথমার্ধেই অনুষ্ঠিত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) দুপুরে বাংলাদেশ সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তার অফিস কক্ষে বাংলাদেশে নিযুক্ত জার্মানির রাষ্ট্রদূত ড.
আরো পড়ুন:
ভুয়া তথ্য প্রচার ঠেকাতে গণমাধ্যমের ভূমিকা জরুরি: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
সন্দেহভাজন কাউকে দেখলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জানান: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
বৈঠকে শেখ হাসিনার রায় পরবর্তী জনমত ও সার্বিক পরিস্থিতি, জাতীয় নির্বাচনের সময়সূচি ও প্রস্তুতি, বন্দি প্রত্যর্পণ, সাইবার অপরাধ এবং দেশের সামগ্রিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিসহ দুই দেশের পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।
সাক্ষাৎকারে জার্মান রাষ্ট্রদূতকে স্বাগত জানিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, “বাংলাদেশ ও জার্মানি পরীক্ষিত বন্ধু রাষ্ট্র। অদূর ভবিষ্যতে এ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরো সুদৃঢ় হবে বলে আশা করছি।”
নির্বাচনের তারিখ ও প্রস্তুতি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “আমরা আশা করি, নির্বাচন যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হবে। তবে নির্দিষ্ট দিন-তারিখ ঘোষণা করার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের। নির্বাচন কমিশন যে তারিখই নির্ধারণ করুক, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সম্পূর্ণ প্রস্তুত রয়েছে।”
শেখ হাসিনার রায়-পরবর্তী পরিস্থিতি সম্পর্কে রাষ্ট্রদূতের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, “দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সম্পূর্ণ স্বাভাবিক রয়েছে। ছোটখাটো কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া সার্বিক পরিস্থিতি শান্ত। কেউ অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করতে চাইলে কঠোর হাতে দমন করা হবে।”
অপরাধের মাত্রা সম্পর্কে তিনি বলেন, “অপরাধ বাড়ছে না; নিয়ন্ত্রণের মধ্যেই রয়েছে। মানুষ এখন স্বাধীনভাবে মতপ্রকাশ করতে পারছে, যা বিগত ১৫ বছরের কথিত ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সরকারের আমলে সম্ভব হয়নি।”
বৈঠকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (রাজনৈতিক) খন্দকার মো. মাহাবুবুর রহমান এবং জার্মান দূতাবাসের ডেপুটি হেড অব মিশন আন্যা কেরস্টেন উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা/এএএম/মেহেদী
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
‘৩২ নম্বর ধূলিসাৎ না করা পর্যন্ত ফিরব না’
ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ির অবশিষ্ট অংশ ভাঙতে অবস্থান করছেন বিক্ষুব্ধ জনতা। সোমবার (১৭ নভেম্বর) রাত ৮টার দিকে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা হয় রাইজিংবিডি ডটকমের।
এ সময় এক বিক্ষোভকারী বলেন, ‘‘৩২ নম্বর ধূলিসাৎ না করা পর্যন্ত আমরা ফিরব না। আওয়ামী লীগের কোনো তীর্থস্থান বাংলাদেশে থাকবে না।’’
এ সময় রায়ের বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে এক বিক্ষোভকারী সন্তুষ্টি প্রকাশ করলেও আরেকজন অসন্তুষ্টির কথা জানান।
তিনি বলেন, ‘‘আমরা এখনো পুরোপুরি সন্তুষ্টি হতে পারিনি। আমরা তখনই পুরোপুরি সন্তুষ্ট হবো, যখন তাকে (শেখ হাসিনা) বাংলার মাটিতে এনে ফাঁসিতে তিন দিন ঝুলিয়ে রাখা হবে।’’
মুসা নামে আরেক বিক্ষোভকারী বলেন, ‘‘আমরা সকাল থেকে ৩২ নম্বরে অবস্থান করছি। আমাদের দাবি একটাই, স্বৈরাচারের তীর্থস্থান ৩২ নম্বরের বাড়ি যেটুকু অক্ষত আছে, সেটুকু মাটির সঙ্গে গুঁড়িয়ে দিতে চাই। এজন্য যদি আমাদের সারারাত থাকতে হয়, থাকব। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কেন আমাদের বাধা দিচ্ছে, আমরা জানি না।’’
এর আগে, সকাল থেকে শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ির অবশিষ্ট অংশ ভাঙতে জড়ো হন বিক্ষুব্ধ জনতা। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মানুষের উপস্থিতিও বাড়তে থাকে। দুপুরের দিকে তারা দুটি এস্কাভেটর নিয়ে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে যান। কিন্তু, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বাধার কারণে তারা শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ির অবশিষ্ট অংশ ভাঙতে পারেননি।
ঢাকা/রায়হান/রাজীব