সোনারগাঁয়ে চাঁদা না পেয়ে সন্ত্রাসী হামলা, লুট : আহত ৩
Published: 18th, October 2025 GMT
সোনারগাঁয়ের কাঁচপুরে দাবিকৃত ৫০ হাজার টাকা চাঁদা না পেয়ে হামলা চালিয়েছে সন্ত্রাসীরা। হামলায় আহত হয়েছেন ভুক্তভোগী মো. আব্দুল হাকিম সরদার (৪৮), তার স্ত্রী জিয়াসমিন আক্তার (৩৩) ও শিশু সন্তান মো. আমির হামজা (১৩)।
এদের মধ্যে মো. আব্দুল হাকিম সরদার গুরুতর আহত হয়েছেন। এ সময় সন্ত্রাসীরা আব্দুল হাকিমের আলমারী ভেঙে নগদ দুই লাখ সাইত্রিশ হাজার টাকা, সাড়ে তিন ভরি ওজনের স্বর্নালংকার মূল্য অনুমানিক ছয় লাখ ত্রিশ হাজার টাকা, একটি কম্পিউটার, দুটি টাস মোবাইল ও একটি বাটন মোবাইল সেট লুট করে নিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসা করায়।
চিকিৎসা শেষে শুক্রবার মো.
অভিযোগে আব্দুল হাকিম সরদার উল্লেখ করেন, কাঁচপুর সোনাপুর এলাকার মামুন (৪৫), সিজান (৩৫), শরিফ (৪৫), হৃদয় (৩৫), বাবুল (২৭), সালাউদ্দিন (৩২), শাওন (২৮) সহ অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জন সন্ত্রাসী তার কছে ৫০ হাজার টাকা দাবি করে না পেয়ে বুধবার দুপুরে তার বাসায় যায়।
এ সময় তারা তার বুকে আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে আবারও চাঁদা দাবি করে। তিনি চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় তারা তাকে মারধর শুরু করে। একপর্যায়ে ধারালো চাপাতি দিয়ে মাখায় কোপ মেরে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে। এ সময় তার শিশু পুত্র আমির হামজা ও স্ত্রী জিয়াসমিন আক্তার এগিয়ে আসলে তাদেরকেও মারধর করে আহত করে সন্ত্রাসীরা।
পরে অভিযুক্তরা ঘরে থাকা আলমারী ভেঙে নগদ দুই লাখ সাইত্রিশ হাজার টাকা, সাড়ে তিন ভরি ওজনের স্বর্নালংকার মূল্য অনুমানিক ছয় লাখ ত্রিশ হাজার টাকা, একটি কম্পিউটার, দুটি টাস মোবাইল ও একটি বাটন মোবাইল সেট লুট করে নিয়ে যায়। যাওয়ার সময় এ ঘটনা নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে হত্যার হুমকি প্রদান করে।
এবিষয়ে অভিযোগ তদন্তকারী কর্মকর্তা সোনারগাঁও থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শহিদ বলেন, অভিযোগ হাতে পাইনি। আমার শরীর অসুস্থ্য বোধ করায় রুমে চলে এসেছি। আগামীকাল খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবো।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: স ন রগ ও ন র য়ণগঞ জ সন ত র স স ন রগ
এছাড়াও পড়ুন:
ড্রোনের পর এবার ছোট পারমাণবিক চুল্লি তৈরিতে নামছে তুরস্কের বায়কার
তুরস্কের ড্রোন প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান বায়কার ছোট মডুলার পারমাণবিক চুল্লির প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করছে। গতকাল বুধবার সাংবাদিকদের এমনটাই জানিয়েছেন জ্বালানিমন্ত্রী আলপারসলান বায়রাকতার।
তুরস্ক সরকার ২০৫০ সালের মধ্যে মোট ১২টি প্রচলিত পারমাণবিক চুল্লির (এমএমআর) মাধ্যমে তাদের বিদ্যুতের ১০ থেকে ১৫ শতাংশ উৎপাদন করার পরিকল্পনা করছে।
এ ছাড়া সরকার নতুন ধরনের পারমাণবিক প্রযুক্তি, ছোট মডুলার পারমাণবিক চুল্লি থেকে পাঁচ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা অর্জনের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে।
বায়রাকতার বলেন, বায়কার এসএমআর প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করছে। তারা ৪০ মেগাওয়াটের ইউনিট তৈরির চেষ্টা করছে।
মন্ত্রী আরও বলেন, আঙ্কারা পারমাণবিক প্রযুক্তি নিয়ে একটি নতুন খসড়া আইন তৈরি করছে, যা এই খাতকে নিয়ন্ত্রণ করবে। নির্দিষ্ট শর্ত পূরণের পর বেসরকারি সংস্থাগুলোকে প্রোটোটাইপ তৈরি করার অনুমতি দেওয়া হবে।
বায়রাকতার আরও উল্লেখ করেন, এই খাতে বিনিয়োগ উৎসাহিত করতে মন্ত্রণালয় গুরুত্বপূর্ণ প্রণোদনা ঘোষণা করেছে।
বায়কারের চেয়ারম্যান সেলচুক বায়রাকতার (আলপারসলানের সঙ্গে যাঁর কোনো পারিবারিক সম্পর্ক নেই) সেপ্টেম্বরে এক অনুষ্ঠানে বলেছিলেন, ক্রমবর্ধমান জ্বালানি চাহিদার নতুন যুগে পারমাণবিক শক্তি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
সেলচুক বলেন, এ ক্ষেত্রে তুরস্ক এখনো তার প্রাপ্য অবস্থানে পৌঁছায়নি।
বায়কারের চেয়ারম্যান বলেন, প্রশ্ন হলো, ‘তুরস্ক কীভাবে তার নিজস্ব জাতীয় পারমাণবিক শক্তি সক্ষমতা অর্জন করবে এবং স্বাধীনভাবে এই প্রযুক্তির বিকাশ করবে। যখন আমরা ভাবি যে পারমাণবিক প্রযুক্তির রোডম্যাপ (পথনকশা) কী হওয়া উচিত, তখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো হাজার হাজার প্রকৌশলীকে প্রশিক্ষণ দেওয়া।’
বায়কার হলো তুরস্কের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় প্রতিরক্ষা সংস্থা। তাদের ফ্ল্যাগশিপ সামরিক ড্রোন, বায়রাকতার টিবি২ বেশ কয়েকটি দেশে রপ্তানি করা হয়েছে। সিরিয়া, আজারবাইজান, ইউক্রেন ও লিবিয়ার সংঘাতে এই ড্রোন উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলেছে।
এসএমআর এখনো পরীক্ষামূলক প্রযুক্তি, যা যথেষ্ট বিনিয়োগের দাবি রাখে।
জ্বালানিমন্ত্রী বলেন, তাঁর মন্ত্রণালয় বিকল্প এসএমআর প্রযুক্তিগুলো খতিয়ে দেখছে। সম্প্রতি থোরিয়ামে চালিত পারমাণবিক চুল্লি প্রস্তুতকারক একটি সংস্থা কোপেনহেগেন অ্যাটমিক্স পরিদর্শন করার জন্য ডেনমার্কে একটি প্রতিনিধিদল পাঠিয়েছে।
মন্ত্রী জোর দিয়ে বলেন, তুরস্কের উল্লেখযোগ্য থোরিয়াম মজুত রয়েছে, যা ভবিষ্যতের জ্বালানি বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।