সোনারগাঁয়ের কাঁচপুরে দাবিকৃত ৫০ হাজার টাকা চাঁদা না পেয়ে হামলা চালিয়েছে সন্ত্রাসীরা। হামলায় আহত হয়েছেন ভুক্তভোগী মো. আব্দুল হাকিম সরদার (৪৮), তার স্ত্রী জিয়াসমিন আক্তার (৩৩) ও শিশু সন্তান মো. আমির হামজা (১৩)।

এদের মধ্যে মো. আব্দুল হাকিম সরদার গুরুতর আহত হয়েছেন।  এ সময় সন্ত্রাসীরা আব্দুল হাকিমের আলমারী ভেঙে নগদ দুই লাখ সাইত্রিশ হাজার টাকা, সাড়ে তিন ভরি ওজনের স্বর্নালংকার মূল্য অনুমানিক ছয় লাখ ত্রিশ হাজার টাকা, একটি কম্পিউটার, দুটি টাস মোবাইল ও একটি বাটন মোবাইল সেট লুট করে নিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসা করায়। 

চিকিৎসা শেষে শুক্রবার মো.

আব্দুল হাকিম সরদার সাত জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জনকে অভিযুক্ত করে সোনারগাঁও থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। ঘটনাটি ঘটে উপজেলার কাঁচপুর সোনাপুর কবরস্থান এলাকায় তোফাজ্জল হোসেন এর ভাড়া বাড়ীতে । 

অভিযোগে আব্দুল হাকিম সরদার উল্লেখ করেন, কাঁচপুর সোনাপুর এলাকার মামুন (৪৫), সিজান (৩৫), শরিফ (৪৫), হৃদয় (৩৫), বাবুল (২৭), সালাউদ্দিন (৩২), শাওন (২৮) সহ অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জন সন্ত্রাসী তার কছে ৫০ হাজার টাকা দাবি করে না পেয়ে বুধবার দুপুরে তার বাসায় যায়।

এ সময় তারা তার বুকে আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে আবারও চাঁদা দাবি করে। তিনি চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় তারা তাকে মারধর শুরু করে।  একপর্যায়ে ধারালো চাপাতি দিয়ে মাখায় কোপ মেরে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে। এ সময় তার শিশু পুত্র আমির হামজা ও স্ত্রী জিয়াসমিন আক্তার এগিয়ে আসলে তাদেরকেও মারধর করে আহত করে সন্ত্রাসীরা। 

পরে অভিযুক্তরা ঘরে থাকা আলমারী ভেঙে নগদ দুই লাখ সাইত্রিশ হাজার টাকা, সাড়ে তিন ভরি ওজনের স্বর্নালংকার মূল্য অনুমানিক ছয় লাখ ত্রিশ হাজার টাকা, একটি কম্পিউটার, দুটি টাস মোবাইল ও একটি বাটন মোবাইল সেট লুট করে নিয়ে যায়। যাওয়ার সময় এ ঘটনা নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে হত্যার হুমকি প্রদান করে। 

এবিষয়ে অভিযোগ তদন্তকারী কর্মকর্তা সোনারগাঁও থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শহিদ বলেন, অভিযোগ হাতে পাইনি। আমার শরীর অসুস্থ্য বোধ করায় রুমে চলে এসেছি। আগামীকাল খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবো।  

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: স ন রগ ও ন র য়ণগঞ জ সন ত র স স ন রগ

এছাড়াও পড়ুন:

বাম গণতান্ত্রিক শক্তি রাষ্ট্রক্ষমতায় গিয়ে কৃষকের প্রকৃত মুক্তি আনবে

দুঃশাসন হটিয়ে বাম গণতান্ত্রিক শক্তি রাষ্ট্রক্ষমতায় গিয়েই বৈষম্যহীন রাষ্ট্রকাঠামো গড়ে তুলে কৃষকের প্রকৃত মুক্তি আনবে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) নেতারা।

আজ শনিবার রাজধানীর মুক্তিভবনে কৃষকের তেভাগা আন্দোলন ও ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের নেত্রী ইলা মিত্রের জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় সিপিবি নেতারা এই মন্তব্য করেন।

সভায় নেতারা বলেন, তেভাগা আন্দোলন মূলত শ্রেণিহীন সমাজ প্রতিষ্ঠার বিপ্লব। কৃষকদের তেভাগা কায়েম হলেও মুক্তি মেলেনি। তেভাগা আন্দোলনের সময়কালে লড়াইটা ছিল জমিদার ও জোতদারের বিরুদ্ধে। এখন কৃষকের লড়াই বহুমাত্রিক। পুঁজিবাদী সমাজ কাঠামোয় পূঁজির মালিক, কৃষি উপকরণের উৎপাদক বহুজাতিক কোম্পানি, বাজার সিন্ডিকেটের একচেটিয়া বাণিজ্য কৃষকদের নিঃস্ব করে দিচ্ছে।

ইলা মিত্রের ছবিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি ঢাকা দক্ষিণ কমিটি, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি ঢাকা জেলা কমিটি, বাংলাদেশ কৃষক সমিতি, বাংলাদেশ ক্ষেতমজুর সমিতি, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, বাংলাদেশ যুব ইউনিয়ন ও বাংলাদেশ উদীচী শিল্পী গোষ্ঠী।

আলোচনা সভায় বক্তরা

সম্পর্কিত নিবন্ধ