ফিলিস্তিনের গাজায় বেসামরিক মানুষের ওপর শিগগিরই হামলা চালানোর পরিকল্পনা করেছে স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস—এমন অভিযোগ যুক্তরাষ্ট্রের। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর গতকাল শনিবার বলেছে, তাদের কাছে এ বিষয়ে ‘বিশ্বাসযোগ্য তথ্য’ রয়েছে। হামলা হলে সেটা ‘যুদ্ধবিরতির সরাসরি লঙ্ঘন’ হবে বলেও জানানো হয়েছে।

এক বিবৃতিতে পররাষ্ট্র দপ্তর বলেছে, ফিলিস্তিনের বেসামরিক মানুষের ওপর এমন পরিকল্পিত হামলার ঘটনা যুদ্ধবিরতি চুক্তির সরাসরি ও গুরুতর লঙ্ঘন বলে বিবেচিত হবে। সেই সঙ্গে মধ্যস্থতা প্রচেষ্টার মাধ্যমে অর্জিত উল্লেখযোগ্য অগ্রগতিকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে এটি।

পররাষ্ট্র দপ্তর সতর্ক করে বলেছে, হামাস যদি এমন হামলা চালায়, তবে গাজার মানুষকে রক্ষা ও যুদ্ধবিরতি চুক্তি টিকিয়ে রাখতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তবে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে, এর প্রভাবই–বা কেমন হবে—সেসব নিয়ে বিবৃতিতে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত সপ্তাহে গাজায় বেসামরিক লোকজনকে হত্যার জন্য হামাসের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছিলেন।

যুদ্ধবিরতিতে সম্মতি দিয়েছে হামাস ও ইসরায়েল। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ২০ দফা শান্তি পরিকল্পনা মেনে যুদ্ধবিরতি কার্যকর করা হয়েছে। এর আওতায় ইসরায়েলি বাহিনী গাজায় অভিযান বন্ধ করার কথা। বিনিময়ে গাজায় জিম্মি থাকা ব্যক্তিদের (জীবিত ও মৃত) ছেড়ে দেবে হামাস।

নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া এক পোস্টে ট্রাম্প লেখেন, ‘যদি হামাস গাজার লোকজনকে হত্যা করা অব্যাহত রাখে, যা চুক্তিতে ছিল না, তবে আমাদের তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া ছাড়া আর কোনো উপায় থাকবে না।’ এ ক্ষেত্রে ‘আমাদের’ বলতে কাদের বুঝিয়েছেন, সেটা পোস্টে স্পষ্ট করেননি ট্রাম্প।

আরও পড়ুনহামাসকে ট্রাম্পের নতুন হুমকি১৭ অক্টোবর ২০২৫

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। ইসরায়েলের দাবি, এতে ১ হাজার ১০০ জনের বেশি নিহত হন। এ ছাড়া প্রায় আড়াই শ মানুষকে জিম্মি করে গাজায় নেওয়া হয়। জবাবে ওই দিনই গাজায় নির্বিচার হামলা শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। দুই বছরের হামলায় গাজায় নিহত ব্যক্তিদের সংখ্যা ৬৮ হাজারের কাছাকাছি পৌঁছেছে।

সম্প্রতি গাজায় যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে হামাস ও ইসরায়েল। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ২০ দফা শান্তি পরিকল্পনা মেনে যুদ্ধবিরতি কার্যকরও হয়েছে। এর আওতায় ইসরায়েলি বাহিনীর গাজায় অভিযান বন্ধ করার কথা। বিনিময়ে গাজায় জিম্মি থাকা ব্যক্তিদের (জীবিত ও মৃত) ছেড়ে দেবে হামাস।

ওয়াশিংটন আরও জানিয়েছে, তারা গাজায় হামাসের সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের আশঙ্কার কথা চুক্তির নিশ্চয়তাদাতাদের অবহিত করেছে। এর মধ্যে মিসর, কাতার ও তুরস্ক রয়েছে।

এখন যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রথম পর্যায় কার্যকর করার জটিল প্রক্রিয়া চলছে। এ পর্যায়ে অবশিষ্ট সব জীবিত ও মৃত ইসরায়েলি জিম্মিদের ফিরিয়ে দেওয়ার বিষয়টি রয়েছে। এর মধ্যেই ওয়াশিংটন জানিয়েছে, তারা গাজায় হামাসের সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের আশঙ্কার কথা চুক্তির নিশ্চয়তাদাতাদের অবহিত করেছে। এর মধ্যে মিসর, কাতার ও তুরস্ক রয়েছে।

আরও পড়ুনযুদ্ধবিরতির পরও শান্তি ফিরছে না গাজায়১৫ অক্টোবর ২০২৫

গত সপ্তাহের শুরুতে গাজা উপত্যকায় ধ্বংসপ্রাপ্ত শহরগুলোর ওপর হামাস নিয়ন্ত্রণ আবারও জোরাল করেছে। অভিযোগ উঠেছে, তারা প্রতিদ্বন্দ্বী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে দমনাভিযান চালাচ্ছে। কয়েকজন অভিযুক্ত ‘শত্রুর সহযোগীর’ (ইসরায়েলকে সহায়তাকারী ব্যক্তি) মৃত্যুদণ্ডও কার্যকর করা হয়েছে।

নিজেদের অফিশিয়াল চ্যানেলে একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে হামাস। ভিডিওতে দেখা যায়, প্রকাশ্যে চোখবাঁধা ও হাঁটু গেড়ে বসিয়ে রাখা আট সন্দেহভাজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হচ্ছে। ভিডিওতে তাঁদের ‘শত্রুর সহযোগী’ ও ‘বেআইনি কাজে সম্পৃক্ত’ বলে উল্লেখ করা হয়। ভিডিওটি দৃশ্যত গত সোমবার সন্ধ্যায় ধারণা করা।

আরও পড়ুনগাজায় ইসরায়েলের হামলায় একই পরিবারের নিহত ৭ শিশুর দুজনের মরদেহ উদ্ধার হয়নি৩ ঘণ্টা আগেআরও পড়ুনইসরায়েলকে আবার যুদ্ধ শুরুর অনুমতি দেওয়া হতে পারে: ট্রাম্প১৬ অক্টোবর ২০২৫.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ইসর য় ল র ওপর

এছাড়াও পড়ুন:

গাজাবাসীর ওপর হামলা চালাতে পারে হামাস, ‘বিশ্বাসযোগ্য তথ্য’ রয়েছে: দাবি যুক্তরাষ্ট্রের

ফিলিস্তিনের গাজায় বেসামরিক মানুষের ওপর শিগগিরই হামলা চালানোর পরিকল্পনা করেছে স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস—এমন অভিযোগ যুক্তরাষ্ট্রের। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর গতকাল শনিবার বলেছে, তাদের কাছে এ বিষয়ে ‘বিশ্বাসযোগ্য তথ্য’ রয়েছে। হামলা হলে সেটা ‘যুদ্ধবিরতির সরাসরি লঙ্ঘন’ হবে বলেও জানানো হয়েছে।

এক বিবৃতিতে পররাষ্ট্র দপ্তর বলেছে, ফিলিস্তিনের বেসামরিক মানুষের ওপর এমন পরিকল্পিত হামলার ঘটনা যুদ্ধবিরতি চুক্তির সরাসরি ও গুরুতর লঙ্ঘন বলে বিবেচিত হবে। সেই সঙ্গে মধ্যস্থতা প্রচেষ্টার মাধ্যমে অর্জিত উল্লেখযোগ্য অগ্রগতিকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে এটি।

পররাষ্ট্র দপ্তর সতর্ক করে বলেছে, হামাস যদি এমন হামলা চালায়, তবে গাজার মানুষকে রক্ষা ও যুদ্ধবিরতি চুক্তি টিকিয়ে রাখতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তবে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে, এর প্রভাবই–বা কেমন হবে—সেসব নিয়ে বিবৃতিতে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত সপ্তাহে গাজায় বেসামরিক লোকজনকে হত্যার জন্য হামাসের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছিলেন।

যুদ্ধবিরতিতে সম্মতি দিয়েছে হামাস ও ইসরায়েল। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ২০ দফা শান্তি পরিকল্পনা মেনে যুদ্ধবিরতি কার্যকর করা হয়েছে। এর আওতায় ইসরায়েলি বাহিনী গাজায় অভিযান বন্ধ করার কথা। বিনিময়ে গাজায় জিম্মি থাকা ব্যক্তিদের (জীবিত ও মৃত) ছেড়ে দেবে হামাস।

নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া এক পোস্টে ট্রাম্প লেখেন, ‘যদি হামাস গাজার লোকজনকে হত্যা করা অব্যাহত রাখে, যা চুক্তিতে ছিল না, তবে আমাদের তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া ছাড়া আর কোনো উপায় থাকবে না।’ এ ক্ষেত্রে ‘আমাদের’ বলতে কাদের বুঝিয়েছেন, সেটা পোস্টে স্পষ্ট করেননি ট্রাম্প।

আরও পড়ুনহামাসকে ট্রাম্পের নতুন হুমকি১৭ অক্টোবর ২০২৫

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। ইসরায়েলের দাবি, এতে ১ হাজার ১০০ জনের বেশি নিহত হন। এ ছাড়া প্রায় আড়াই শ মানুষকে জিম্মি করে গাজায় নেওয়া হয়। জবাবে ওই দিনই গাজায় নির্বিচার হামলা শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। দুই বছরের হামলায় গাজায় নিহত ব্যক্তিদের সংখ্যা ৬৮ হাজারের কাছাকাছি পৌঁছেছে।

সম্প্রতি গাজায় যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে হামাস ও ইসরায়েল। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ২০ দফা শান্তি পরিকল্পনা মেনে যুদ্ধবিরতি কার্যকরও হয়েছে। এর আওতায় ইসরায়েলি বাহিনীর গাজায় অভিযান বন্ধ করার কথা। বিনিময়ে গাজায় জিম্মি থাকা ব্যক্তিদের (জীবিত ও মৃত) ছেড়ে দেবে হামাস।

ওয়াশিংটন আরও জানিয়েছে, তারা গাজায় হামাসের সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের আশঙ্কার কথা চুক্তির নিশ্চয়তাদাতাদের অবহিত করেছে। এর মধ্যে মিসর, কাতার ও তুরস্ক রয়েছে।

এখন যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রথম পর্যায় কার্যকর করার জটিল প্রক্রিয়া চলছে। এ পর্যায়ে অবশিষ্ট সব জীবিত ও মৃত ইসরায়েলি জিম্মিদের ফিরিয়ে দেওয়ার বিষয়টি রয়েছে। এর মধ্যেই ওয়াশিংটন জানিয়েছে, তারা গাজায় হামাসের সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের আশঙ্কার কথা চুক্তির নিশ্চয়তাদাতাদের অবহিত করেছে। এর মধ্যে মিসর, কাতার ও তুরস্ক রয়েছে।

আরও পড়ুনযুদ্ধবিরতির পরও শান্তি ফিরছে না গাজায়১৫ অক্টোবর ২০২৫

গত সপ্তাহের শুরুতে গাজা উপত্যকায় ধ্বংসপ্রাপ্ত শহরগুলোর ওপর হামাস নিয়ন্ত্রণ আবারও জোরাল করেছে। অভিযোগ উঠেছে, তারা প্রতিদ্বন্দ্বী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে দমনাভিযান চালাচ্ছে। কয়েকজন অভিযুক্ত ‘শত্রুর সহযোগীর’ (ইসরায়েলকে সহায়তাকারী ব্যক্তি) মৃত্যুদণ্ডও কার্যকর করা হয়েছে।

নিজেদের অফিশিয়াল চ্যানেলে একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে হামাস। ভিডিওতে দেখা যায়, প্রকাশ্যে চোখবাঁধা ও হাঁটু গেড়ে বসিয়ে রাখা আট সন্দেহভাজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হচ্ছে। ভিডিওতে তাঁদের ‘শত্রুর সহযোগী’ ও ‘বেআইনি কাজে সম্পৃক্ত’ বলে উল্লেখ করা হয়। ভিডিওটি দৃশ্যত গত সোমবার সন্ধ্যায় ধারণা করা।

আরও পড়ুনগাজায় ইসরায়েলের হামলায় একই পরিবারের নিহত ৭ শিশুর দুজনের মরদেহ উদ্ধার হয়নি৩ ঘণ্টা আগেআরও পড়ুনইসরায়েলকে আবার যুদ্ধ শুরুর অনুমতি দেওয়া হতে পারে: ট্রাম্প১৬ অক্টোবর ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ