মায়ের দেওয়া ল্যাপটপ বদলে দিল রাহাতের ভাগ্য, এখন মাসে আয় ২ লাখ টাকা
Published: 23rd, October 2025 GMT
বরিশালের মুলাদী উপজেলার প্রত্যন্ত প্যাদারহাট গ্রামের এক সাধারণ তরুণ রাহাত হোসেন। তবে তাঁর স্বপ্নগুলো ছিল অসাধারণ। আর সেই স্বপ্নের পথে প্রথম প্রদীপ জ্বেলে দিয়েছিল মায়ের কিনে দেওয়া একটি ল্যাপটপ। নিজের সঞ্চয় ভেঙে দেওয়া এই ল্যাপটপ শুধু একটি যন্ত্র ছিল না, ছিল সন্তানের প্রতি ভালোবাসার প্রতীক। সেই ল্যাপটপকে সঙ্গী করেই রাহাত আজ ফ্রিল্যান্সিংয়ের জগতে নিজের পরিচয় তৈরি করেছেন। এখন তাঁর মাসিক আয় দুই লাখ টাকার বেশি।
স্বপ্নের শুরু ও মায়ের ত্যাগরাহাতের এই যাত্রার শুরুটা হয়েছিল ২০২২ সালে, যখন তিনি ইউটিউব ও গুগলে ফ্রিল্যান্সিং নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি শুরু করেন। কৌতূহল থেকে জন্ম নেওয়া এই আগ্রহের কারণে তিনি ২০২৩ সালের শুরুতে একটি স্থানীয় আইটি প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানে ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্সে ভর্তি হন।
কিন্তু পথটা সহজ ছিল না। রাহাতের মায়ের নাম মোসা.
রাহাত প্রথম আলোকে বলেন, ‘এই ল্যাপটপ আমার জীবনের সবচেয়ে বড় উপহার। এটা শুধু একটা যন্ত্র নয়, এটা আমার মায়ের ত্যাগ, আমার পরিশ্রম আর আমাদের পরিবারের নতুন শুরুর প্রতীক।’ সে সময় কোর্সের ফিও রাহাত একবারে দিতে পারেননি। নিজের হাতখরচ বাঁচিয়ে ছয় থেকে আট মাসের কিস্তিতে পুরো টাকা পরিশোধ করেন।
রাহাত হোসেনউৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ল য পটপ
এছাড়াও পড়ুন:
কাজের ভার কমাতে বিখ্যাত ব্যক্তিরা যা করেন
বিশ্ব বিখ্যাত ব্যক্তিরা কাজের ভার কমাতে এবং নতুন চিন্তার খোঁজে নিজস্ব উপায় খুঁজে নেন। যেমন কেউ জঙ্গলে সময় কাটাতে চলে যান আবার কেউ-কেউ কাজ করার জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত সময়টুকু খুঁজে বের করেন।
২০১৪ সালে, টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষণায় দেখা গেছে, ‘‘মানসিক বিশ্রাম ও চিন্তা করা শেখার ক্ষেত্রে সহায়ক।
আরো পড়ুন:
কুকুরদের সম্মানে যে ‘তিহার’ পালন করে নেপাল
জাপানের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রীকে কেন ‘কট্টর রক্ষণশীল’ বলা হয়
কোনো বিষয়ে না ভাবলে অনেক বেশি শেখার চেষ্টা আপনাকে বিভ্রান্ত করে ফেলতে পারে এবং আপনাকে নতুন বিষয়ে দক্ষতা অর্জনে বাধা দিতে পারে। ’’
সুতরাং এটি গুরুত্বপূর্ণ যে, আপনি শুধু পরিশ্রম করলে হবে না, ওই পরিশ্রম কেন করছেন, কীভাবে পরিশ্রম করলে দক্ষতা বাড়ানো সহজ হবে; সেগুলোও খুঁজে বের করতে হবে। এটিও গুরুত্বপূর্ণ যে ভাবনার সময়টি যেন সুগঠিত হয়, না হলে আপনি বিভ্রান্ত হতে পারেন। চলুন জানা যাক বিখ্যাত ব্যক্তিরা কাজ ও ভাবনার মধ্যে কীভাবে সমন্বয় করেন।
বিল গেটস প্রকৃতির কাছে আশ্রয় নেন
কাজে পরিপূর্ণ মনোনিবেশ করার জন্য কাজের মাঝে বিরতি প্রয়োজন। এক্ষেত্রে বিল গেটস একটি নিয়ম মেনে চলেন। তিনি প্রতিবছর পুরো দুই সপ্তাহ সময় কাটান জঙ্গলে। এই সময়ে তিনি নতুন চিন্তার খোঁজ করেন। এই রীতির নাম দিয়েছেন ‘থিং উইক’ মানে ‘ভাবনার সপ্তাহ’। সপ্তাহজুড়ে কর্মযজ্ঞ থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়ে প্রকৃতির সঙ্গে একাত্ম হন তিনি। বিল গেটস এই প্রক্রিয়ায় আরও বেশি সৃষ্টিশীল হওয়ার উদ্দীপনা খুঁজে নেন।
ম্যালকম সবচেয়ে সুন্দর সময়ের খোঁজ করেন
আপনি কী খেয়াল করেছেন, দিনের কোনো একটি নির্দিষ্ট সময়ে আপনি সবচেয়ে মনোযোগী হয়ে কাজ করতে পারেন? ম্যালকম গ্ল্যাডওয়েল নিজের কাজ ভালোভাবে করার জন্য সময় বাঁচাতে বলেছেন। এবং কোন সময়টায় আপনি ভালো কাজ করতে পারেন, সেই সময়টা খুঁজে বের করে কাজে লাগাতে বলেছেন।
ভারমুক্ত হয়ে কাজ করতে বলেন মিশেল ওবামা
একটি কর্মক্ষেত্রে কখনও সুস্থির থাকে না। কর্মীদের মধ্যে মনোমালিন্য থাকে, বন্ধুত্ব থাকে, সহযোগিতা ও প্রতিযোগীতা থাকে। সব কিছুর আগে নিজেকে গুরুত্ব দিতে হবে। সুখকে প্রাধান্য দিতে হবে—এমনটাই মনে করেন মিশেল ওবামা। আপনিও কর্মক্ষেত্রে নিজেকে ভারমুক্ত করতে এবং নিজের কাজ এগিয়ে নিতে সহকর্মীদের পেছনে লেগে না থেকে নিজেকে গুরুত্ব দিন। এভাবে ভাবলে কর্মক্ষেত্রে চাপ কম অনুভূত হবে। ভারমুক্ত হয়ে কাজ করতে হবে। এই নীতিই মেনে চলেন মিশেল ওবামা।
সামর্থ্যের ওপর ভরসা রাখতেন মোহাম্মদ আলী
সর্বকালের সেরা বক্সার বলা হয় মোহাম্মদ আলীকে। তিনি মনে করতেন—‘আমিই সেরা’ এই বাক্যটি মনে প্রাণে ধারণ না করলে সফল হওয়া কঠিন। তার মতে, শুধু পরিশ্রম করলেই হবে না, সেরা হতে নিজের সামর্থ্যকে প্রাধান্য দিতে হবে। তবে জয়ী হতে পারবেন।
সূত্র: সাকসেস ডটকম অবলম্বনে
ঢাকা/লিপি