কনিকা মিনোল্টার ৩টি নতুন পণ্য সিরিজ উদ্বোধন
Published: 24th, November 2025 GMT
দেশের বাজারে জাপানের ডিজিটাল প্রিন্টিং মেশিন প্রস্তুতকারক কনিকা মিনোল্টার তিনটি নতুন পণ্য সিরিজ এসেছে। গত শনিবার রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে পণ্য সিরিজটির মোড়ক উন্মোচন করা হয়।
কনিকা মিনোল্টা ও তাদের বাংলাদেশি অংশীদার জিশান গ্রুপ যৌথভাবে এই পণ্য সিরিজের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এতে একটি সেমিনারও অনুষ্ঠিত হয়। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জিশান গ্রুপ এ তথ্য জানিয়েছে।
অনুষ্ঠানে কনিকা মিনোল্টা ডিজিটাল টেকনোলজির আঞ্চলিক বিক্রয় ও বিপণন মহাব্যবস্থাপক (জিএম) ফ্রান্সিস চুয়া এবং জিশান গ্রুপের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শাহাব উদ্দিন খান, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) জোয়ানা শাহাব খান, পরিচালক জিশান শাহাব খানসহ উভয় প্রতিষ্ঠানের পদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া দেশের সরকারি ও বেসরকারি খাতের শীর্ষস্থানীয় প্রিন্টিং ও প্যাকেজিং প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিনিধিরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অনুষ্ঠানে মোড়ক উন্মোচন হওয়া কনিকা মিনোল্টার তিনটি নতুন সিরিজের প্রযুক্তিগত বৈশিষ্ট্য, সম্ভাবনা ও অগ্রগতি নিয়ে কনিকা মিনোল্টার বিশেষজ্ঞরা বিশেষ উপস্থাপনা দেন। তাঁরা প্রিন্টিং ও প্যাকেজিং শিল্পে চলমান ডিজিটাল রূপান্তর তুলে ধরেন। এ ছাড়া একটি বিশেষ প্যানেল আলোচনায় আন্তর্জাতিক ডিজিটাল প্রিন্টিং ট্রেন্ড, বাংলাদেশের বাজারে এর সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ এবং খাতটির ভবিষ্যৎ উন্নয়ন কৌশল নিয়ে বিশেষজ্ঞরা মতবিনিময় করেন।
সেমিনারের শেষ অংশে নতুন সিরিজের লাইভ ডেমোসহ বিভিন্ন প্রকার প্রিন্টিং প্রোটোটাইপের প্রদর্শনী এবং কনিকা মিনোল্টার সর্বশেষ প্রযুক্তি উপস্থাপন করা হয়।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
বাংলাদেশ স্কুল মাসকাট বাংলাদেশিদের প্রত্যাশা পূরণ করুক
বাংলাদেশ স্কুল মাসকাটের পরিচালনা পরিষদের নির্বাচন গত ৩১ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হয়েছে। অভিভাবকদের ভোটাভুটিতে জয়লাভ করেছেন পাঁচজন। নতুন কমিটির কাছে অভিভাবকদের প্রত্যাশা অনেক।
বাংলাদেশি কমিউনিটির শিক্ষার্থীদের জন্য বাংলাদেশ দূতাবাসের সাবেক রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) আমিন আহমেদ চৌধুরীর (বীর বিক্রম) পৃষ্ঠপোষকতা ও বাংলাদেশ সোশ্যাল ক্লাবের সহযোগিতা ও রেমিট্যান্স–যোদ্ধাদের আর্থিক অনুদানে ও ওমান শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতা ও অনুমোদনে প্রতিষ্ঠিত হয় বাংলাদেশ স্কুল মাসকাট। ১৯৯৬ সালের ৩ সেপ্টেম্বর প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর ওই বছরের ৯ নভেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়েছিল। ব্রিটিশ নাগরিক রবার্ট কুসওয়ার্থকে প্রথম অধ্যক্ষ নিযুক্ত করা হয়েছিল। ওমান সালতানাতের কমিউনিটি স্কুলগুলোর নীতিমালা ও নির্দেশনা অনুযায়ী বিদ্যালয়টি পরিচালিত হয়। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির নতুন ভবন তৈরি করতে প্রবাসী রেমিট্যান্স–যোদ্ধারা ১০ বছর অনুদান দেন বাংলাদেশ দূতাবাসকে। প্রতিটি পাসপোর্ট সেবা থেকে ৫ রিয়াল করে প্রবাসীরা দুবার ১০ রিয়াল অনুদান করেন। ১০ বছর দূতাবাসের বিভিন্ন সেবা থেকে শতাংশ অনুযায়ী রেমিট্যান্স–যোদ্ধাদের কাছ থেকে এ অর্থ নেওয়া হয়। ১৯৯৫ সালে ওমানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব নেন মরহুম আমিন আহমেদ চৌধুরী। এরপর বাংলাদেশ সোশ্যাল ক্লাব ও বাংলাদেশ কমিউনিটির ও বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যোগে আমিন আহমেদ চৌধুরীর নেতৃত্বে গড়ে উঠে স্কুলটি।
প্রথম অধ্যক্ষ রবার্ট কুসওয়ার্থ। এরপর গ্রুপ ক্যাপ্টেন (অব.) হাজী মহিউদ্দিন আলমগীর, চিকিৎসক এস এ এস বেগম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) কায়সার আহমেদ, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. নুরুজ্জামান, লে. কর্নেল (অব.) মাহমুদ উল আলম, মেজর (অব.) নাসির উদ্দিন আহমেদ (ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ), ফারজানা করিম, জেমস এডওয়ার্ড হানিবল, সামন্তি আথালগে (ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ) ও রিয়ার এডমিরাল (অব.) প্রদীপ রত্ননায়েক অধ্যক্ষ হন। তিনি ২০২৫ সালের আগষ্ট মাসে অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ পান। ২০০৯ সালের পর থেকে বাংলাদেশি অধ্যক্ষ নিয়োগ বন্ধ।
বাংলাদেশ স্কুল মাসকাট ওমানপ্রবাসী বাংলাদেশিদের কাছে পরিচিত নাম