আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ মঙ্গলবার শুরু
Published: 24th, November 2025 GMT
নারীর প্রতি সহিংসতা বন্ধে জনসচেতনতা বাড়াতে মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) থেকে শুরু হচ্ছে ‘আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ’। ১৬ দিনব্যাপী এ কর্মসূচি চলবে আগামী ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
সোমবার (২৪ নভেম্বর) সচিবালয়ে তথ্য অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় কর্মসূচির বিস্তারিত তুলে ধরেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক এবং সমাজ কল্যাণ উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ।
তিনি বলেন, ঘর-কর্মক্ষেত্র-রাস্তা-ডিজিটাল জগত সব জায়গাতেই নারী ও কন্যাশিশু সহিংসতার শিকার হচ্ছেন। শারীরিক, যৌন, মানসিক ও অর্থনৈতিক নির্যাতনের পাশাপাশি অনলাইনে নারীর প্রতি সহিংসতা উদ্বেগজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। ‘ভায়োলেন্স এগেইনস্ট উইমেন সার্ভে–২০২৪’-এর তথ্যও সেই উদ্বেগকে স্পষ্ট করেছে।
এ বছরের প্রতিপাদ্য- ‘Unit to End Digital Violence Against All Women and Girls’। বাংলা প্রতিপাদ্য- ‘নারী ও কন্যার প্রতি সহিংসতা বন্ধে ঐক্যবদ্ধ হই, ডিজিটাল নিরাপত্তা নিশ্চিত করি’।
আগামীকাল সকাল ৯টায় বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে ১৬ দিনের কর্মসূচির উদ্বোধন হবে। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ। এতে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, উন্নয়ন সহযোগী, জাতিসংঘ সংস্থা এবং নারী–যুব সংগঠনের প্রতিনিধিরা অংশ নেবেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এবারের ১৬ দিনের কর্মসূচিতে থাকছে- সচেতনতামূলক প্রচার-প্রচারণা, র্যালি, মানববন্ধন ও আলোচনা সভা, ডকুমেন্টারি প্রদর্শনী, জাতীয় হেল্পলাইন ১০৯ প্রচার জোরদার, কুইক রেসপন্স টিম (০১৭১৩৬৫৯৫৭৩, ০১৭১৩৬৫৯৫৭৪) সম্পর্কে প্রচারণা, স্থানীয় পর্যায়ে উঠান বৈঠক ও কমিউনিটি সচেতনতা, আইনি সহায়তা ও মনোসামাজিক কাউন্সেলিং, সাইবার নিরাপত্তাবিষয়ক সচেতনতা কার্যক্রম, সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ডিজিটাল সহিংসতা প্রতিরোধে একযোগে শপথ পাঠ।
মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মমতাজ আহমেদ এবং প্রধান তথ্য কর্মকর্তা মো.
ঢাকা/এএএম/ফিরোজ
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
বাংলাদেশ স্কুল মাসকাট বাংলাদেশিদের প্রত্যাশা পূরণ করুক
বাংলাদেশ স্কুল মাসকাটের পরিচালনা পরিষদের নির্বাচন গত ৩১ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হয়েছে। অভিভাবকদের ভোটাভুটিতে জয়লাভ করেছেন পাঁচজন। নতুন কমিটির কাছে অভিভাবকদের প্রত্যাশা অনেক।
বাংলাদেশি কমিউনিটির শিক্ষার্থীদের জন্য বাংলাদেশ দূতাবাসের সাবেক রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) আমিন আহমেদ চৌধুরীর (বীর বিক্রম) পৃষ্ঠপোষকতা ও বাংলাদেশ সোশ্যাল ক্লাবের সহযোগিতা ও রেমিট্যান্স–যোদ্ধাদের আর্থিক অনুদানে ও ওমান শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতা ও অনুমোদনে প্রতিষ্ঠিত হয় বাংলাদেশ স্কুল মাসকাট। ১৯৯৬ সালের ৩ সেপ্টেম্বর প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর ওই বছরের ৯ নভেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়েছিল। ব্রিটিশ নাগরিক রবার্ট কুসওয়ার্থকে প্রথম অধ্যক্ষ নিযুক্ত করা হয়েছিল। ওমান সালতানাতের কমিউনিটি স্কুলগুলোর নীতিমালা ও নির্দেশনা অনুযায়ী বিদ্যালয়টি পরিচালিত হয়। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির নতুন ভবন তৈরি করতে প্রবাসী রেমিট্যান্স–যোদ্ধারা ১০ বছর অনুদান দেন বাংলাদেশ দূতাবাসকে। প্রতিটি পাসপোর্ট সেবা থেকে ৫ রিয়াল করে প্রবাসীরা দুবার ১০ রিয়াল অনুদান করেন। ১০ বছর দূতাবাসের বিভিন্ন সেবা থেকে শতাংশ অনুযায়ী রেমিট্যান্স–যোদ্ধাদের কাছ থেকে এ অর্থ নেওয়া হয়। ১৯৯৫ সালে ওমানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব নেন মরহুম আমিন আহমেদ চৌধুরী। এরপর বাংলাদেশ সোশ্যাল ক্লাব ও বাংলাদেশ কমিউনিটির ও বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যোগে আমিন আহমেদ চৌধুরীর নেতৃত্বে গড়ে উঠে স্কুলটি।
প্রথম অধ্যক্ষ রবার্ট কুসওয়ার্থ। এরপর গ্রুপ ক্যাপ্টেন (অব.) হাজী মহিউদ্দিন আলমগীর, চিকিৎসক এস এ এস বেগম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) কায়সার আহমেদ, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. নুরুজ্জামান, লে. কর্নেল (অব.) মাহমুদ উল আলম, মেজর (অব.) নাসির উদ্দিন আহমেদ (ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ), ফারজানা করিম, জেমস এডওয়ার্ড হানিবল, সামন্তি আথালগে (ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ) ও রিয়ার এডমিরাল (অব.) প্রদীপ রত্ননায়েক অধ্যক্ষ হন। তিনি ২০২৫ সালের আগষ্ট মাসে অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ পান। ২০০৯ সালের পর থেকে বাংলাদেশি অধ্যক্ষ নিয়োগ বন্ধ।
বাংলাদেশ স্কুল মাসকাট ওমানপ্রবাসী বাংলাদেশিদের কাছে পরিচিত নাম