বিদ্যুৎ বিল বকেয়া: জয়পুরহাটে আইএইচটির সংযোগ বিচ্ছিন্ন, অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা
Published: 24th, November 2025 GMT
এক বছর ধরে বিদ্যুতের বিপুল পরিমাণ বিল বকেয়া থাকায় জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার গোপীনাথপুর ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজির (আইএইচটি)বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি। গতকাল রোববার সকাল ১০টার পর সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। এতে গত দুই দিন পুরো আইএইচটি বিদ্যুৎবিহীন রয়েছে। বিদ্যুৎ না থাকায় আবাসিক শিক্ষার্থীরা গতকাল দুপুর থেকেই হোস্টেল ছাড়তে শুরু করেন। বাধ্য হয়ে আজ সোমবার থেকে প্রতিষ্ঠানটি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০২২ সালে গোপীনাথপুর আইএইচটির একাডেমিক কার্যক্রম শুরু হয়। প্রতিষ্ঠানটি স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের আওতাধীন হলেও এখনো অর্থনৈতিক কোড হয়নি। এ কারণে অধিদপ্তরের মাধ্যমে এর আনুষঙ্গিক ব্যয়ের অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হতো। তবে গত এক বছর ধরে সেই বরাদ্দ বন্ধ রয়েছে। এ সময় আইএইচটির ১৬ লাখ ৭৩ হাজার ৬৮৩ টাকা বিদ্যুৎ বিল বকেয়া পড়ে। পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি বারবার বিল পরিশোধের তাগাদা দিলেও বরাদ্দ না থাকায় কর্তৃপক্ষ তা পরিশোধ করতে পারেনি। শেষ পর্যন্ত গতকাল সকালে আইএইচটির বিদ্যুৎ–সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়।
আইএইচটি সূত্র জানায়, ফার্মেসি ও ল্যাব টেকনোলজি—এই দুই ট্রেডে প্রতিষ্ঠানে ৪৫০ শিক্ষার্থী পড়াশোনা করেন। দুটি পৃথক হোস্টেলে তিন শতাধিক আবাসিক শিক্ষার্থী থাকেন। বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় তাঁরা বিপাকে পড়েন। সোলার সিস্টেম থাকলেও তা শুরু থেকেই অচল। ফলে রাতের বেলায় আবাসিক শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নিরাপত্তাহীনতা অনুভব করছিলেন। এসব কারণে প্রতিষ্ঠানটি অনির্দিষ্টকালের জন্য ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। আজ সকাল থেকে পাঠদান ও প্রশাসনিক কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।
আজ দুপুর ১২টার দিকে আইএইচটিতে গিয়ে দেখা যায়, প্রতিষ্ঠানটি বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় আছে। আবাসিক শিক্ষার্থীরা হোস্টেল ছেড়ে চলে যাচ্ছেন। ল্যাব টেকনোলজির তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী হাবিবুর রহমান বলেন, ‘বিদ্যুৎ–সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় আইএইচটি অনির্দিষ্টকালের জন্য ছুটি দেওয়া হয়েছে। আমরা টাকা দিয়ে এখানে পড়াশোনা করছি। তারপরও আমাদের সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। এটা আমরা কখনো প্রত্যাশা করিনি। কর্তৃপক্ষ দ্রুত বিদ্যুতের সমস্যার সমাধানের দাবি করছি।’
আরেক শিক্ষার্থী এনামুল হক বলেন, ‘আমরা রোববার দিবাগত রাতে বিদ্যুৎবিহীন ছিলাম। রাতের বেলায় বহিরাগত ও চোর ঢুকেছিল। আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ছিলাম।’
গোপীনাথপুর আইএইচটির অধ্যক্ষ আবদুল কুদ্দুস মণ্ডল প্রথম আলোকে বলেন, ‘এখনো প্রতিষ্ঠানটির অর্থনৈতিক কোড হয়নি। স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মাধ্যমে ব্যয়ভারের বরাদ্দ দেওয়া হতো। এক বছর ধরে সেটিও বন্ধ রয়েছে। এ কারণে এক বছরের বিদ্যুৎ বিল বকেয়া পড়েছে। পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি একাধিকবার বিল পরিশোধের তাগাদা দিলেও আমরা পরিশোধ করতে পারিনি।’
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আইএইচট র ব ল বক য় এক বছর বর দ দ পর শ ধ
এছাড়াও পড়ুন:
বিদ্যুৎ বিল বকেয়া: জয়পুরহাটে আইএইচটির সংযোগ বিচ্ছিন্ন, অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা
এক বছর ধরে বিদ্যুতের বিপুল পরিমাণ বিল বকেয়া থাকায় জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার গোপীনাথপুর ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজির (আইএইচটি)বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি। গতকাল রোববার সকাল ১০টার পর সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। এতে গত দুই দিন পুরো আইএইচটি বিদ্যুৎবিহীন রয়েছে। বিদ্যুৎ না থাকায় আবাসিক শিক্ষার্থীরা গতকাল দুপুর থেকেই হোস্টেল ছাড়তে শুরু করেন। বাধ্য হয়ে আজ সোমবার থেকে প্রতিষ্ঠানটি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০২২ সালে গোপীনাথপুর আইএইচটির একাডেমিক কার্যক্রম শুরু হয়। প্রতিষ্ঠানটি স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের আওতাধীন হলেও এখনো অর্থনৈতিক কোড হয়নি। এ কারণে অধিদপ্তরের মাধ্যমে এর আনুষঙ্গিক ব্যয়ের অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হতো। তবে গত এক বছর ধরে সেই বরাদ্দ বন্ধ রয়েছে। এ সময় আইএইচটির ১৬ লাখ ৭৩ হাজার ৬৮৩ টাকা বিদ্যুৎ বিল বকেয়া পড়ে। পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি বারবার বিল পরিশোধের তাগাদা দিলেও বরাদ্দ না থাকায় কর্তৃপক্ষ তা পরিশোধ করতে পারেনি। শেষ পর্যন্ত গতকাল সকালে আইএইচটির বিদ্যুৎ–সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়।
আইএইচটি সূত্র জানায়, ফার্মেসি ও ল্যাব টেকনোলজি—এই দুই ট্রেডে প্রতিষ্ঠানে ৪৫০ শিক্ষার্থী পড়াশোনা করেন। দুটি পৃথক হোস্টেলে তিন শতাধিক আবাসিক শিক্ষার্থী থাকেন। বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় তাঁরা বিপাকে পড়েন। সোলার সিস্টেম থাকলেও তা শুরু থেকেই অচল। ফলে রাতের বেলায় আবাসিক শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নিরাপত্তাহীনতা অনুভব করছিলেন। এসব কারণে প্রতিষ্ঠানটি অনির্দিষ্টকালের জন্য ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। আজ সকাল থেকে পাঠদান ও প্রশাসনিক কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।
আজ দুপুর ১২টার দিকে আইএইচটিতে গিয়ে দেখা যায়, প্রতিষ্ঠানটি বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় আছে। আবাসিক শিক্ষার্থীরা হোস্টেল ছেড়ে চলে যাচ্ছেন। ল্যাব টেকনোলজির তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী হাবিবুর রহমান বলেন, ‘বিদ্যুৎ–সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় আইএইচটি অনির্দিষ্টকালের জন্য ছুটি দেওয়া হয়েছে। আমরা টাকা দিয়ে এখানে পড়াশোনা করছি। তারপরও আমাদের সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। এটা আমরা কখনো প্রত্যাশা করিনি। কর্তৃপক্ষ দ্রুত বিদ্যুতের সমস্যার সমাধানের দাবি করছি।’
আরেক শিক্ষার্থী এনামুল হক বলেন, ‘আমরা রোববার দিবাগত রাতে বিদ্যুৎবিহীন ছিলাম। রাতের বেলায় বহিরাগত ও চোর ঢুকেছিল। আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ছিলাম।’
গোপীনাথপুর আইএইচটির অধ্যক্ষ আবদুল কুদ্দুস মণ্ডল প্রথম আলোকে বলেন, ‘এখনো প্রতিষ্ঠানটির অর্থনৈতিক কোড হয়নি। স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মাধ্যমে ব্যয়ভারের বরাদ্দ দেওয়া হতো। এক বছর ধরে সেটিও বন্ধ রয়েছে। এ কারণে এক বছরের বিদ্যুৎ বিল বকেয়া পড়েছে। পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি একাধিকবার বিল পরিশোধের তাগাদা দিলেও আমরা পরিশোধ করতে পারিনি।’