আটক ৩১ বাংলাদেশিকে বিজিবির হাতে তুলে দিল বিএসএফ
Published: 27th, October 2025 GMT
ভারতে অবৈধভাবে প্রবেশের অভিযোগে বিভিন্ন সময় আটক বাংলাদেশি নাগরিকদের ফ্ল্যাগ মিটিং এর মাধ্যমে হস্তান্তর করল বিএসএফ। রবিবার (২৬ অক্টোবর) পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার গেদে-চুয়াডাঙ্গার দর্শনা বন্দর চেকপোস্ট দিয়ে ৩১ জন নারী-পুরুষ শিশুকে ফেরত দিল বিএসএফ।
বিজিবি ৬ নম্বর ব্যাটালিয়ন এবং বিএসএফ ৩২ নম্বর ব্যাটালিয়ন-এর যৌথ ফ্ল্যাগ মিটিংয়ের মাধ্যমে বিভিন্ন সময় পুলিশ কর্তৃক আটককৃত ১৬ জন পুরুষ, ১০ জন নারী, ২ জন হিজড়া এবং ৩ জন শিশুসহ মোট ৩১ জন বাংলাদেশি নাগরিককে ফেরত দেওয়া হয়।
আরো পড়ুন:
৫ বছর পর চীন ও ভারতের মধ্যে সরাসরি ফ্লাইট চালু
বৃষ্টির বদৌলতে আরও ‘এক পয়েন্ট’ পেল বাংলাদেশ
হস্তান্তর বৈঠকে বিজিবির পক্ষে নেতৃত্ব দেন সুবেদার মো.
বিএসএফ যাদের হস্তান্তর করেছে তাদের বাড়ি বাংলাদেশের ঢাকা, মানিকগঞ্জ, কুমিল্লা, ফেনী, নোয়াখালী, শেরপুর, মৌলভীবাজার, কুড়িগ্রাম, ময়মনসিংহ, খুলনা, যশোর, নড়াইল, সাতক্ষীরা ও চুয়াডাঙ্গায়।
দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শহীদ তিতুমীর জানান, এসব ব্যক্তিদের স্বজনদের সঙ্গে যোগাযোগ করে এদের নিজ নিজ পরিবারের কাছে পাঠানো হবে।
ফেরত যাওয়া ব্যক্তিরা জানায়, তারা কাজের সন্ধানে বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে দালালের মাধ্যমে অবৈধভাবে ভারতে গিয়েছিল। ভারতে মুম্বাই শহরে কাজ করে জীবন-জীবিকা চালাতো। সম্প্রতি ভারত জুড়ে অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের ধরপাকড় অভিযানে পুলিশ তাদের আটক করে ডিটেনশন ক্যাম্পে পাঠায়।
ঢাকা/ফিরোজ
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
সীমান্তে শেষবারের মতো বাংলাদেশি মায়ের মুখ দেখলেন ভারতীয় মেয়ে
বাংলাদেশি এক নারীর মৃত্যুর পর তাঁর ভারতীয় মেয়ের অনুরোধে চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ সীমান্তের শূন্যরেখায় লাশ দেখার সুযোগ করে দিয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।
বিজিবি জানায়, গতকাল সোমবার রাতে বার্ধক্যের কারণে মারা যান বাংলাদেশি তারা বানু (৮০)। খবর পেয়ে ভারতের মালদা জেলার দুইশতবিঘি গ্রামের বাসিন্দা মেয়ে মালেকা বেগম বিএসএফের মাধ্যমে লাশ দেখার আবেদন করেন বিজিবির কাছে। বিষয়টি জানার পর মানবিক বিবেচনায় দ্রুত সিদ্ধান্ত নেয় চাঁপাইনবাবগঞ্জের ৫৯ বিজিবি। আজ মঙ্গলবার সকালে শিবগঞ্জ সীমান্তের কিরণগঞ্জ সীমান্ত ফাঁড়ি এলাকার সীমান্ত পিলার ১৭৯/৩–এস–এর শূন্যরেখায় বিজিবি ও বিএসএফের উপস্থিতিতে স্বজনদের লাশ দেখানোর ব্যবস্থা করা হয়।
শূন্যরেখায় মায়ের মুখ দেখে আবেগে ভেঙে পড়েন মেয়ে মালেকা বেগম। আত্মীয়েরা শেষবারের মতো লাশ দেখার এমন সুযোগ পেয়ে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।
তারা বানুর ছেলে কুরবান আলী প্রথম আলোকে বলেন, ‘ছোট বোনটাক শেষবারের মতো মায়ের মুখখান দেখাইতে পারনু। নাহিলে সারা জীবনের লাইগ্যা আফসোস থাইক্যা যাইতোক অরও, হামারও। বোনটার সাথে ভগ্নিপতি, দুই ভাগনি, ভাগনিজামাইসহ ১৫–১৬ জন আত্মীয় আইস্যাছিল। কাঁটাতারের বেড়ার আগে অবাধে যাওয়া–আসা ছিল। মাত্র তো দুই শ গজ দূরের গাঁ। এপারের অনেক মেয়ের যেমন ওপারে বিয়ে হয়েছে, তেমনি ওপারের অনেক মেয়ে এপারে আছে। হামি বিজিবি–বিএসএফের কাছে কৃতজ্ঞ।’
এর আগে গত শুক্রবার একই সীমান্তে ভারতীয় মৃত বোনের মুখ দেখার সুযোগ পেয়েছিলেন বাংলাদেশি ভাই।
৫৯ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল গোলাম কিবরিয়া বলেন, বিজিবি সব সময় মানবিক প্রয়োজনে সহানুভূতিশীল ভূমিকা পালন করবে।