সোসাইটির মিটিং মেতে উঠেছে—
হেমন্তের অপ্রত্যাশিত বিদ্যুৎ বিলের ইন্দ্রজাল গল্পে।
ঋতুশূন্য আমিত্ব আচমকা আটকালো
বর্ধিত বিল পুনঃ তদন্তের আহ্বান স্বাক্ষরে।
কার্তিকের ভেজা ভোর, ঝিমধরা ঠান্ডা কাটিয়ে
আমপারা মুখস্থ ঘুমচোখ, ঝুঁকে পড়ে—
বাতাই মাছের চকচকে রৌদ্র সাঁতারে।
গাছড়া আইল বেয়ে সোনার মাঠ, বাতাসের নামতায়
হারায়—দূরের গ্রাম, ধূসর হরিৎ।
দুপুর ভাতঘুম ভেঙে, বিষণ্ন হেমন্তের রাস্তায়
অন্ধ ফকির তোলে—গাজীর গান।
ছাতিমের ঘ্রাণ বাগের ঝোপঝাড় ডিঙায়
নেমে আসে সন্ধ্যারাতের আলোশূন্যতা।
ছক বেঁধে বাড়ি বাড়ি জ্বলে ওঠে—
রাজঅশোক ফুলের দোলনায়, কুপির আলো।
সমস্ত ক্লান্তি ছুটি দিয়ে, অজুর পানি মুছতে থাকা
স্যাঁতসেঁতে মায়ের আঁচল ডেকে ওঠে,
‘বাজান—
ত্যালের বোতলটো হিগগির লিয়া আয়,
গায় মাহায়ে দেই-মায়।’
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
হাসপাতাল থেকে ফেরার পথে ট্রাকচাপায় প্রাণ গেল চাচা-ভাতিজার
চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে বালুবাহী ট্রাকচাপায় সিএনজিচালিত অটোরিকশার দুই যাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। আজ রোববার ভোরে উপজেলার চট্টগ্রাম-হাটহাজারী সড়কের দিকনদণ্ডী ইউনিয়নের লালিয়ারহাট এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত দুজন সম্পর্কে চাচা-ভাতিজা। তাঁরা নগরের একটি হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরছিলেন।
নিহত ব্যক্তিরা হলেন আবিদুল হাসান (৩৫) ও ইফতেখার রাহাত (৩০)। এর মধ্যে আবিদুল হাসান হাটহাজারী পৌরসভার আলীপুরে চানগাজী চৌধুরীবাড়ির মৃত নুর আহমদ চৌধুরীর ছেলে আর ইফতেখার রাহাত একই বাড়ির মোহাম্মদ ইউছুপ চৌধুরীর ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, গতকাল রাতে আবিদুল হাসান হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁকে চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান ভাতিজা ইফতেখারুল। সেখানে চিকিৎসা শেষে ভোরে দুজন অটোরিকশায় বাড়িতে ফিরছিলেন। এ সময় পেছন থেকে একটি বালুবাহী ট্রাক অটোরিকশাটিকে চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই ইফতেখারুলের মৃত্যু হয়। আহত অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর সকাল আটটার দিকে আবিদুলেরও মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া অটোরিকশার আরও দুই যাত্রী আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
জানতে চাইলে রাউজান হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ উল্লাহ প্রথম আলোকে বলেন, একটি বালুবাহী ট্রাক পেছন থেকে অটোরিকশাটিকে চাপা দেয় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন। তবে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ট্রাকটি পায়নি। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে।