প্রশাসন আমাদের কথায় উঠবে, আমাদের কথায় বসবে: জামায়াত নেতা শাহাজাহান
Published: 23rd, November 2025 GMT
আগামী সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে বস্তা বস্তা টাকা ও অস্ত্র ঢুকবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য শাহজাহান চৌধুরী বলেছেন, ‘নির্বাচন শুধু জনগণ দিয়ে নয়...যার যার নির্বাচনী এলাকায় প্রশাসনের যারা আছে, তাদের সবাইকে আমাদের আন্ডারে নিয়ে আসতে হবে। আমাদের কথায় উঠবে, আমাদের কথায় বসবে, আমাদের কথায় গ্রেপ্তার করবে, আমাদের কথায় মামলা করবে।’
গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম নগরের জিইসি কনভেনশন হলে জামায়াতে ইসলামী আয়োজিত ‘নির্বাচনী দায়িত্বশীল সম্মেলন’-এ বিশেষ অতিথির বক্তব্যে শাহজাহান চৌধুরী এ কথাগুলো বলেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান। তবে শাহজাহান চৌধুরীর এই বক্তব্যের সময় তিনি মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন না।
অনুষ্ঠানে সাবেক সংসদ সদস্য শাহজাহান চৌধুরী বলেন, ‘যার যার নির্বাচনী এলাকায় প্রাইমারি স্কুলের মাস্টারকে দাঁড়িপাল্লার কথা বলতে হবে। উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সমস্ত শিক্ষক, নুরুল আমিন (নগরের সেক্রেটারি) ভাইয়ের ফটিকছড়িতে দাঁড়িপাল্লার কথা বলতে হবে। পুলিশকে আপনার পেছনে পেছনে হাঁটতে হবে। ওসি সাহেব আপনার কী প্রোগ্রাম, তা সকালবেলায় জেনে নেবেন আর আপনাকে প্রটোকল দেবেন।’
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান বলেছেন, ‘আমরা চাঁদাবাজমুক্ত দেশ গড়তে চাই, আমরা অতীতেও চাঁদাবাজি করিনি, ভবিষ্যতেও করব না। আমরা দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ চাই। আমাদের অনেক রাজনৈতিক দল এ কথা জোরালোভাবে বলতেও পারে না। কারণ, বলতে গেলে তাদেরও হাসি আসবে, জনগণও হাসবে।’
শফিকুর রহমান আরও বলেন, ‘আমরা দীর্ঘ সময় ধরে জুলুম সহ্য করেছি আল্লাহর জন্য। পটপরিবর্তনের পর আমরা কারও ওপর জুলুম হতে দিইনি। দেশবাসীকে বলেছি ধৈর্য ধরতে। তাঁরা ধৈর্যের সর্বোচ্চ উদাহরণ তৈরি করেছেন। প্রশাসন ভয় পেত, আমরা তাদের সাহায্য করেছি, উৎসাহ দিয়েছি।’
অনুষ্ঠানে জামায়াতের ইসলামীর চট্টগ্রাম নগরের আমির মুহাম্মদ নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন দলের কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ শাহজাহান, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য আহসানুল্লাহ, চট্টগ্রাম অঞ্চল টিম সদস্য মুহাম্মদ জাফর সাদেক, মোস্তাফিজুর রহমান, আমিরুজ্জামান, নুরুল আমিন চৌধুরী; চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আমির আনোয়ারুল আলম চৌধুরী, উত্তর জেলা আমির আলা উদ্দিন সিকদার প্রমুখ।
এ ছাড়া নগরের সেক্রেটারি মুহাম্মদ নুরুল আমিন, দক্ষিণ জেলা সেক্রেটারি বদরুল হক, উত্তর জেলা সেক্রেটারি আবদুল জব্বার, কক্সবাজার জেলা সেক্রেটারি জাহিদুর ইসলাম, চট্টগ্রাম নগরের অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মোহাম্মদ উল্লাহ, সাংগঠনিক সম্পাদক শামসুজ্জামান হেলালীসহ চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও পার্বত্য ৩ জেলার মোট ২৩টি আসনের মনোনীত প্রার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: শ হজ হ ন চ ধ র ম হ ম মদ অন ষ ঠ ন ইসল ম র র রহম ন নগর র সদস য
এছাড়াও পড়ুন:
ছেলের দায়ের কোপে বাবার মাথা বিচ্ছিন্ন
চাঁদপুরের কচুয়ায় ছেলের দায়ের কোপে বাবার মাথা বিচ্ছিন্ন হয়েছে। পালিয়ে যাওয়ার সময় হত্যাকারীকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে এলাকাবাসী।
শনিবার (২২ নভেম্বর) বিকেল ৩টার দিকে কচুয়া উপজেলার বাইছারা নোয়াপাড়া প্রধানীয়া বাড়িতে আব্দুল খালেক নামে ৭০ বছর বয়সী বৃদ্ধকে কুপিয়ে হত্যা করে তার ছেলে মো. হোসাইন (৩০)।
নিহতের পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, তুচ্ছ বিষয় নিয়ে বাবা ও ছেলের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে হোসাইন ঘরে থাকা ধারালো দা দিয়ে বাবার মাথা ও শরীরে একের পর এক কোপ দিতে থাকে। ঘটনাস্থলেই আব্দুল খালেকের মাথা দেহ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। পরিবারের দাবি, হোসাইন দীর্ঘদিন ধরে মানসিক ভারসাম্যহীন।
আব্দুল খালেকের বড় ছেলে নোমান সরকার বলেছেন, আমার ভাই এমন ভয়ঙ্কর কাজ করবে, কখনো ভাবিনি। ও মানসিকভাবে অসুস্থ ছিল। এমন নৃশংসতায় আমরা সবাই মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছি।
স্থানীয় ইউপি সদস্য রুহুল আমিন সাংবাদিকদের বলেছেন, খবর পেয়ে এসে দেখি, লাশ রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। এমন ঘটনা আমাদের এলাকায় আগে কখনো ঘটেনি। হত্যাকারীর বিরুদ্ধে অবশ্যই দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা হওয়া উচিত।
চাঁদপুরের কচুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আজিজুল ইসলাম জানিয়েছেন, হত্যাকাণ্ডের পর পালানোর সময় স্থানীয়রা হোসাইনকে আটক করে আমাদের কাছে হস্তান্তর করেছে। আব্দুল খালেকের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চাঁদপুর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাটি আমরা গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করছি।
ঢাকা/জয়/রফিক