ইসলামী ছাত্রশিবিরের খাগড়াছড়ি জেলা শাখার সাবেক সেক্রেটারি মো. রুবেল ছাত্রদলে যোগ দিয়েছেন। রুবেলের সঙ্গে ছাত্রদলে যোগ দিয়েছেন তাঁর অর্ধশতাধিক অনুসারী। গতকাল রোববার সন্ধ্যায় খাগড়াছড়ি শহরের কলাবাগান এলাকায় কেন্দ্রীয় বিএনপির সহকর্মসংস্থান সম্পাদক ও খাগড়াছড়ি আসনের বিএনপির মনোনীত প্রার্থী ওয়াদুদ ভূঁইয়ার হাতে ফুলের তোড়া তুলে দিয়ে তাঁরা ছাত্রদলে যোগ দেন। এ সময় জেলা ছাত্রদলের নেতারা সেখানে উপস্থিত ছিলেন।

ছাত্রদলে নবাগত নেতাদের স্বাগত জানান ওয়াদুদ ভূঁইয়া। এ সময় তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করি বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে নতুন বাংলাদেশ গঠনে ভূমিকা রাখবেন নবাগত নেতারা।’

খাগড়াছড়ি জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আরিফ মোহাম্মদ, সাধারণ সম্পাদক সোহেল দেওয়ান, সাংগঠনিক সম্পাদক বাপ্পী দাশসহ নেতা-কর্মীরা নবাগত নেতাদের বরণ করে নেন। জানতে চাইলে মো.

রুবেল বলেন, ‘ছাত্রশিবির ও জামায়াতে ইসলামীর কিছু বিষয় নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হওয়ায় তিনি সংগঠন থেকে অব্যাহতি নিয়েছেন। ছাত্রদলে যোগদানের কারণে তাঁকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি দেওয়া হচ্ছে।’

রুবেল জানান, ২০১২ সালে খাগড়াছড়ি সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ে নবম শ্রেণিতে পড়ার সময় তিনি ইসলামী ছাত্রশিবিরে যোগ দেন। পরে তিনি খাগড়াছড়ির একাধিক উপজেলা শাখায় সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। পরে জেলা শাখার অফিস সম্পাদক, জেলা প্রশিক্ষণ সম্পাদক হয়ে সর্বশেষ ২০২৩ সালের জুলাই থেকে ২০২৪ সালের মে পর্যন্ত জেলা ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি পদে ছিলেন। বর্তমানে তিনি চট্টগ্রাম নগরের একটি কলেজে স্নাতক (সম্মান) চতুর্থ বর্ষে অধ্যয়নরত।

জেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক বাপ্পী দাশ প্রথম আলোকে বলেন, ‘বিএনপির রাজনীতিকে ভালোবেসে স্বেচ্ছায় ছাত্রদলে যোগ দিয়েছেন মো. রুবেল। তাঁকে আমরা স্বাগত জানিয়েছি। সন্ত্রাসী ও নিষিদ্ধ সংগঠন ছাড়া যেকোনো দলের নেতা-কর্মীরা ছাত্রদলে যোগ দিতে চাইলে তাদের আমরা স্বাগত জানাব।’

মো. রুবেলের ছাত্রদলে যোগদান প্রসঙ্গে ছাত্রশিবিরের খাগড়াছড়ি জেলা শাখার সভাপতি আবদুস সাত্তার প্রথম আলোকে বলেন, সংগঠনের শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে গত বছরের নভেম্বরে মো. রুবেলকে ছাত্রশিবির থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছিল। এখন তিনি কোথায় যোগ দিয়েছেন, কী করছেন, সেটি একান্ত তাঁর নিজস্ব ব্যাপার। তাঁর সঙ্গে শিবিরের কোনো নেতা–কর্মী ছাত্রদলে যোগ দেননি।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ছ ত রদল ব এনপ

এছাড়াও পড়ুন:

ইংলিশ চ্যানেলে রাশিয়ার যুদ্ধজাহাজ-ট্যাঙ্কার আটক

ইংলিশ চ্যানেলে রাশিয়ার একটি যুদ্ধজাহাজ ও ট্যাঙ্কার আটক করেছে যুক্তরাজ্যের একটি পেট্রোল জাহাজ। সোমবার (২৪ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন। 

ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় রবিবার (২৩ নভেম্বর) এক বিবৃতিতে বলেছে, যুক্তরাজ্যের টহল জাহাজ এইচএমএস সেভার্ন গত দুই সপ্তাহে ইংলিশ চ্যানেলের মধ্য দিয়ে যাওয়ার সময় রাশিয়ান কর্ভেট আরএফএন স্টোইকি এবং ট্যাঙ্কার ইয়েলনিয়াকে আটক করেছে ও ঘনিষ্ঠ নজরদারি চালিয়েছে। পরে ওই নজরদারির দায়িত্ব হস্তান্তর করা হয় ন্যাটোর আরেক সদস্য দেশের কাছে, ব্রিটনির উপকূলে।

আরো পড়ুন:

ইউক্রেন ও মিত্রদের সঙ্গে আলোচনা ফলপ্রসূ হওয়ার দাবি যুক্তরাষ্ট্রের

রাশিয়ার তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ইউক্রেনের হামলা

বিবৃতিতে আরো বলা হয়, গত দুই বছরে যুক্তরাজ্যের জলসীমার চারপাশে রুশ নৌ তৎপরতা ৩০ শতাংশ বেড়েছে।

ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা আরো মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, যুক্তরাজ্যের উপকূলে টহলরত জাহাজ ছাড়াও, ন্যাটো মিশনের অংশ হিসেবে ব্রিটেন আইসল্যান্ডে তিনটি পোসাইডন নজরদারি বিমান মোতায়েন করেছে, যাতে উত্তর আটলান্টিক ও আর্কটিক রুটে রুশ নৌবাহিনীর গতিবিধি রিয়েল টাইমে ধরা যায়।

ঘটনাটি এমন সময় ঘটেছে যখন প্রতিরক্ষা সচিব জন হিলি জানান, রাশিয়ার গুপ্তচর জাহাজ ইয়ান্টার স্কটল্যান্ডের উপকূলে যুক্তরাজ্যের পর্যবেক্ষণ বিমানগুলোর পাইলটদের দিকে লেজার মেরে চেক করছিল। 

ব্রিটেন ইয়ান্টারের এই কর্মকাণ্ডকে ‘বেপরোয়া ও বিপজ্জনক’ বলে আখ্যায়িত করেছে এবং জানিয়েছে যে, ব্রিটেন তার ভূখণ্ডে যেকোনো অনুপ্রবেশের বিরুদ্ধে জবাব দিতে প্রস্তুত।

রাশিয়ার লন্ডনের দূতাবাস হিলির মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় যুক্তরাজ্যের সরকারের বিরুদ্ধে ‘সামরিক উত্তেজনা ছড়ানোর’ অভিযোগ করেছে এবং বলেছে, মস্কোর কোনো আগ্রহ নেই যুক্তরাজ্যের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করার।

ব্রিটিশ সরকারের নতুন বাজেট প্রকাশের এক সপ্তাহ আগে প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয় বাড়ানোর পক্ষে যুক্তি দেখিয়ে হিলি এই সতর্কতা জারি করেছেন। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার রাশিয়া, চীন এবং ইরানের হুমকির কারণে সামরিক ব্যয় বৃদ্ধির প্রতিশ্রুতি দিলেও সরকারকে অর্থনৈতিক ঘাটতি পূরণের জন্য কর বৃদ্ধি ও ব্যয় কমানোসহ কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হবে। 

ঢাকা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ