নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে রংপুরের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কারমাইকেল কলেজের ১০৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হয়েছে। আয়োজনের মধ্যে ছিল বর্ণাঢ্য আনন্দ শোভাযাত্রা, আলোচনা সভা, স্মৃতিচারণা, কেক কাটা ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

আজ সোমবার সকাল ১০টায় ক্যাম্পাসের জি এল হোস্টেল মাঠে পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে দিনব্যাপী অনুষ্ঠান শুরু হয়। বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মুহম্মদ রেজাউল হক। এরপর একটি বর্ণাঢ্য আনন্দ শোভাযাত্রা কলেজ ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে।

পরে কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মো.

মোস্তাফিজুর রহমান সভাপতিত্বে আলোচনা সভা ও কেক কাটা হয়। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজ অধ্যক্ষ মো. আমজাদ হোসেন, সরকারি বেগম রোকেয়া কলেজ অধ্যক্ষ ইসমাইল হোসেন সরকার, সরকারি সিটি কলেজ মো. বোরহান উদ্দিন, কারমাইকেল কলেজ উপাধ্যক্ষ মো. হাবিবুর রহমান, কলেজের শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক দিলীপ কুমার প্রমুখ। পরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে কলেজের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা আনন্দে মেতে ওঠেন।

১৯১৬ সালের ১০ নভেম্বর তৎকালীন অবিভক্ত বাংলার গভর্নর লর্ড থমাস ডেভিড ব্যারন কারমাইকেল কলেজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। তাঁর নামানুসারে কলেজের নামকরণ করা হয় কারমাইকেল কলেজ।

কারমাইকেল কলেজের ১০৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্‌যাপন কমিটির আহ্বায়ক মো. সাইফুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ব্রিটিশ শাসন, পাকিস্তানি শোষণ ও বাংলাদেশ সৃষ্টির আন্দোলন-সংগ্রামসহ নানা পটভূমির সাক্ষী কারমাইকেল কলেজ একটি ইতিহাস। এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শত বছরের যে গৌরব, অর্জন, তা অবিস্মরণীয়। উত্তরের প্রাচীনতম বিদ্যাপীঠ কারমাইকেল কলেজের ১০৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্‌যাপনে নবীন-প্রবীণ শিক্ষক, শিক্ষার্থীদের মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে পুরো ক্যাম্পাস।

আয়োজক সূত্র জানায়, দুই দিনের এ আয়োজনের সমাপনী দিনে পুলিশের রংপুর রেঞ্জ ডিআইজি মো. আমিনুল ইসলাম, রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. মজিদ আলীসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিরা অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: অন ষ ঠ ন সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

কারমাইকেল কলেজের ১০৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্‌যাপন

নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে রংপুরের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কারমাইকেল কলেজের ১০৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হয়েছে। আয়োজনের মধ্যে ছিল বর্ণাঢ্য আনন্দ শোভাযাত্রা, আলোচনা সভা, স্মৃতিচারণা, কেক কাটা ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

আজ সোমবার সকাল ১০টায় ক্যাম্পাসের জি এল হোস্টেল মাঠে পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে দিনব্যাপী অনুষ্ঠান শুরু হয়। বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মুহম্মদ রেজাউল হক। এরপর একটি বর্ণাঢ্য আনন্দ শোভাযাত্রা কলেজ ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে।

পরে কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. মোস্তাফিজুর রহমান সভাপতিত্বে আলোচনা সভা ও কেক কাটা হয়। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজ অধ্যক্ষ মো. আমজাদ হোসেন, সরকারি বেগম রোকেয়া কলেজ অধ্যক্ষ ইসমাইল হোসেন সরকার, সরকারি সিটি কলেজ মো. বোরহান উদ্দিন, কারমাইকেল কলেজ উপাধ্যক্ষ মো. হাবিবুর রহমান, কলেজের শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক দিলীপ কুমার প্রমুখ। পরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে কলেজের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা আনন্দে মেতে ওঠেন।

১৯১৬ সালের ১০ নভেম্বর তৎকালীন অবিভক্ত বাংলার গভর্নর লর্ড থমাস ডেভিড ব্যারন কারমাইকেল কলেজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। তাঁর নামানুসারে কলেজের নামকরণ করা হয় কারমাইকেল কলেজ।

কারমাইকেল কলেজের ১০৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্‌যাপন কমিটির আহ্বায়ক মো. সাইফুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ব্রিটিশ শাসন, পাকিস্তানি শোষণ ও বাংলাদেশ সৃষ্টির আন্দোলন-সংগ্রামসহ নানা পটভূমির সাক্ষী কারমাইকেল কলেজ একটি ইতিহাস। এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শত বছরের যে গৌরব, অর্জন, তা অবিস্মরণীয়। উত্তরের প্রাচীনতম বিদ্যাপীঠ কারমাইকেল কলেজের ১০৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্‌যাপনে নবীন-প্রবীণ শিক্ষক, শিক্ষার্থীদের মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে পুরো ক্যাম্পাস।

আয়োজক সূত্র জানায়, দুই দিনের এ আয়োজনের সমাপনী দিনে পুলিশের রংপুর রেঞ্জ ডিআইজি মো. আমিনুল ইসলাম, রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. মজিদ আলীসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিরা অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ