ভর্তি পরীক্ষা: মেধা যাচাই নাকি প্রাতিষ্ঠানিক ট্যাগের দৌরাত্ম্য
Published: 24th, November 2025 GMT
শিক্ষা একসময় ছিল আলো ছড়ানোর হাতিয়ার। তখন বই ছিল চিন্তার জানালা, আর শিক্ষক ছিলেন আলোর দিশারি। কিন্তু এখন যেন সেই আলোর জায়গায় দাঁড়িয়েছে এক অন্ধ প্রতিযোগিতা। জ্ঞান নয়, সার্টিফিকেট এখন সফলতার মানদণ্ড।
পড়াশোনা মানে পরীক্ষার খাতা ভরাট, মুখস্থ করা উত্তর গড়গড় করে বলে দেওয়া। শিক্ষা হয়ে গেছে একধরনের ব্যবসা, যেখানে ছাত্ররা পণ্য আর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম হচ্ছে ব্র্যান্ড। এখনকার শিক্ষার্থীরা জ্ঞানী হওয়ার স্বপ্ন দেখে না, বরং ভর্তি হওয়ার স্বপ্ন দেখে। বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটে প্রবেশ করাটাই যেন জীবনের শেষ লক্ষ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। বর্তমান শিক্ষা আজ প্রতিযোগিতার মঞ্চে পরিণত হয়েছে। যেখানে একটি প্রাতিষ্ঠানিক ট্যাগই বলে দেয়, কে মেধাবী, কে নয়।
বর্তমান বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থা অনেকটাই গ্রন্থগত বিদ্যানির্ভর। শিক্ষার্থীরা শৈশব থেকেই বই মুখস্থ করার প্রতিযোগিতায় নামে। পরীক্ষার খাতায় প্রশ্নের মুখস্থ উত্তর লিখে ভালো নম্বর পাওয়া যেনই শিক্ষার একমাত্র উদ্দেশ্য। অথচ বাস্তব জীবনের সঙ্গে এসব জ্ঞানের সংযোগ প্রায় নেই বললেই চলে। সবচেয়ে বড় উদাহরণ ভর্তি পরীক্ষা। এই পরীক্ষাগুলো এখন কেবল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির পথ নয়, বরং একটি মানসিক চাপ, এক অবিরাম প্রতিযোগিতা, যেখানে শিক্ষার্থীদের ঠেলে দেওয়া হচ্ছে এমন এক যুদ্ধে, যার জয়-পরাজয় নির্ধারণ করছে সমাজে তাদের অবস্থান।
প্রতিবছর দেশে প্রায় ১৫ থেকে ২০ লাখ শিক্ষার্থী এই ভর্তিযুদ্ধে অংশ নেয়। দেশের প্রথম সারির বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শুরু করে সব বিশ্ববিদ্যালয়ে চলছে এক অমানবিক প্রতিযোগিতা। একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে আসন হয়তো ৬ হাজার, কিন্তু আবেদন পড়ে ৩ লাখ। মানে ২ লাখ ৯৪ হাজার শিক্ষার্থী অযোগ্য হয়ে যায় শুধু একটি ট্যাগ না পাওয়ার কারণে। অথচ তাদের মেধা, শ্রম কিংবা সম্ভাবনা এর দ্বারা পরিমাপ করা সম্ভব নয়। আরও ভয়ংকর বিষয় হলো, অনেকেই মনে করে, যদি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় বা মেডিকেলে ভর্তি হতে না পারে, তবে জীবন শেষ। অনেক পরিবার এমন মানসিক চাপ সৃষ্টি করে যে শিক্ষার্থী নিজেকে ব্যর্থ ভাবতে শুরু করে। এভাবেই জন্ম নেয় হতাশা, মানসিক অবসাদ, এমনকি আত্মহত্যার মতো মর্মান্তিক পরিণতি।
ভর্তি পরীক্ষার এই অমানবিক প্রতিযোগিতার পেছনে রয়েছে কিছু কারণ। যার মধ্যে অন্যতম প্রাতিষ্ঠানিক ট্যাগ–নির্ভর সমাজ। আমাদের সমাজে এখনো ‘কোথায় পড়েছ’—এই প্রশ্নটাই মুখ্য। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া শিক্ষার্থীকে মেধাবী বলে ধরে নেওয়া হয়। অথচ অন্য কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর যোগ্যতা, চিন্তাশক্তি বা সৃজনশীলতা বিবেচনায় আসে না। শিক্ষাব্যবস্থার ত্রুটি এর অন্যতম প্রধান কারণ।
আমাদের পাঠ্যক্রম এখনো মুখস্থনির্ভর। শিক্ষার্থীরা শেখে প্রশ্ন মুখস্থ করে উত্তর লেখা, শেখে না চিন্তা করা বা বিশ্লেষণ করা। ভর্তি পরীক্ষায়ও তাই চলে বই–নির্ভর তথ্যযুদ্ধ। জ্ঞানের প্রয়োগ বা বাস্তব দক্ষতার কোনো মূল্য নেই। কোচিং ও ব্যবসায়িক দৌরাত্ম্য ভর্তি পরীক্ষাকে প্রভাবিত করে। ভর্তি পরীক্ষা এখন কেবল শিক্ষা নয়, ব্যবসারও মাধ্যম।
কোচিং সেন্টারগুলো বছরে কোটি কোটি টাকা আয় করে। তাদের শেখানো টিপস বা শর্টকাটই যেন মেধার বিকল্প হয়ে উঠেছে। ফলে যাদের আর্থিক সামর্থ্য আছে তারা কিছুটা সুবিধা পায়, আর দরিদ্র মেধাবীরা পিছিয়ে পড়ে। পারিবারিক ও সামাজিক চাপ শিক্ষার্থীদের ভেঙে পড়ার মূল কারণ। অনেক মা–বাবা সন্তানের মেধাকে নয়, বরং তাদের সামাজিক মর্যাদার প্রতীক হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের নামটাকে মূল্য দেয়। এই চাপই শিক্ষার্থীদের মানসিকভাবে ভেঙে দেয়।
ভর্তি পরীক্ষা এখন আর জ্ঞানের পরিমাপ নয়, বরং একটি সামাজিক দৌড়। এই দৌড়ে টিকে থাকতে গিয়ে অনেকেই নিজেদের হারিয়ে ফেলে। কেউ হারায় মানসিক শান্তি, কেউ হারায় আত্মবিশ্বাস, কেউ হারায় জীবনের অর্থই।ভর্তিযুদ্ধের নামে চলা প্রাতিষ্ঠানিক ট্যাগের এই খেলা বন্ধের জন্য আমাদের কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। শিক্ষাব্যবস্থায় সংস্কার আনতে হবে। ভর্তি পরীক্ষাকে একমাত্র যোগ্যতার মাপকাঠি না করে স্কুল ও কলেজ পর্যায়ের ধারাবাহিক মূল্যায়নের ভিত্তিতে ভর্তিপ্রক্রিয়া গড়ে তোলা দরকার। বাস্তব জ্ঞান, যুক্তি, বিশ্লেষণ ও সৃজনশীল চিন্তার ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। প্রাতিষ্ঠানিক বৈষম্য কমাতে হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে মানের সমতা আনতে হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বা বুয়েটের মতো প্রতিষ্ঠানে অতিরিক্ত গুরুত্ব না দিয়ে অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকেও সমান সুযোগ ও মর্যাদা দিতে হবে। মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্যের দিকে নজর দিতে হবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে কাউন্সেলিং সেন্টার গড়ে তুলতে হবে, যাতে শিক্ষার্থীরা চাপের মধ্যে ভেঙে না পড়ে।
কোচিং–নির্ভরতা কমাতে হবে। কেননা ভর্তি কোচিংয়ের নামে যে ব্যবসা চলে সেখানে অনেক মা–বাবার গচ্ছিত মূলধন শেষ হয়ে যায়। অনেকাংশে দেখা যায় সন্তান কোথায় চান্সও পায় না। ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্নের ধরন এমন করতে হবে যাতে মুখস্থ নয়, বরং চিন্তা ও বোঝার ক্ষমতা যাচাই করা যায়। তাতে কোচিংয়ের প্রয়োজনীয়তাও কমে যাবে। অভিভাবক ও সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করতে হবে।
অভিভাবকদের বুঝতে হবে, একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া জীবন নয়, জীবনের একটি ধাপ মাত্র। যে কেউ যেকোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েও সফল হতে পারে। সফলতা আসে পরিশ্রম ও দক্ষতা থেকে, কোনো প্রতিষ্ঠানের নাম থেকে নয়।
ভর্তি পরীক্ষা এখন আর জ্ঞানের পরিমাপ নয়, বরং একটি সামাজিক দৌড়। এই দৌড়ে টিকে থাকতে গিয়ে অনেকেই নিজেদের হারিয়ে ফেলে। কেউ হারায় মানসিক শান্তি, কেউ হারায় আত্মবিশ্বাস, কেউ হারায় জীবনের অর্থই।
আমাদের সমাজ এমনভাবে গড়ে উঠেছে যেখানে মেধা নয়, প্রতিষ্ঠানের নাম সবকিছু নির্ধারণ করে। অথচ একজন শিক্ষার্থী যে বিশ্ববিদ্যালয়েই পড়ুক না কেন, তার পরিশ্রম, সৃজনশীলতা আর সততাই তাকে সফল করে তুলতে পারে। বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থায় এখন সবচেয়ে বড় প্রয়োজন দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন। আমাদের বুঝতে হবে, একজন ছাত্র পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে না পারলেও তার জ্ঞান কমে যায় না, বরং সমাজের দৃষ্টিই তাকে ছোট করে।
নুসরাত জাহান স্মরনীকা
শিক্ষার্থী, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: শ ক ষ ব যবস থ ন র ভর আম দ র জ বন র পর ক ষ
এছাড়াও পড়ুন:
লিয়াং ওয়েংফেং এখন চীনের শীর্ষ ১০০ ধনীর তালিকায়
চ্যাটজিপিটির মতো নিজস্ব কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) মডেল বাজারে এনেছে চীনা তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ডিপসিক। চলতি বছরের জানুয়ারিতে বাজারে আসার মুহূর্ত থেকেই এটি বিশ্বজুড়ে দৃষ্টি কাড়তে শুরু করে। চীন যে প্রযুক্তি খাতে যুক্তরাষ্ট্রকে ধীরে ধীরে পেছনে ফেলে এগিয়ে যাচ্ছে, তার আরেকটি উদাহরণ হলো এই ডিপসিক।
চ্যাটজিপিটি যখন বাজারে আসে, তখন প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর শেয়ারদর কমছিল। কিন্তু ডিপসিকের ৪০ বছর বয়সী প্রতিষ্ঠাতা লিয়াং ওয়েংফেং কেবল একটি এআই মডেল বাজারে এনেই বাজিমাত করেন। দ্রুতই তিনি বিলিয়নিয়ার বা শতকোটিপতিদের কাতারে নিজের নাম লেখান। তিনি এখন চীনের শীর্ষ ১০০ ধনীর তালিকায় জায়গা করে নিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের ফোর্বস ম্যাগাজিনের তথ্য অনুযায়ী, ডিপসিকের বর্তমান মূল্য ১৫ বিলিয়ন বা ১ হাজার ৫০০ কোটি মার্কিন ডলার।
চীনের ডিপসিক দ্রুত জনপ্রিয়তা পেয়েছে। কম খরচে মডেল তৈরি ও আলিবাবার সঙ্গে তীব্র প্রতিযোগিতার কারণে তারা এখন আলোচনায়।নতুন কোনো প্রযুক্তি কোম্পানি বাজারে এলে সাধারণত তাতে বড় ধরনের বিনিয়োগ আসে, কিন্তু ডিপসিকের ক্ষেত্রে তা হয়নি। লিয়াং এখনো নিজের অর্থেই কোম্পানিটি চালাচ্ছেন। এক যুগ আগে তিনি ‘হাইফ্লাইয়ার’ নামে যে হেজ ফান্ড গঠন করেছিলেন সেই প্রতিষ্ঠানের আয়েই এখনো পরিচালিত হচ্ছে ডিপসিক। কর্মক্ষমতার দিক থেকে ডিপসিক চ্যাটজিপিটি থেকে খুব একটা পিছিয়ে না থাকলেও মূল্যায়নে এখনো অনেক পিছিয়ে আছে।
চলতি বছরের মার্চে জাপানের সফটব্যাংকের বিনিয়োগের সময় চ্যাটজিপিটির মূল্যায়ন ছিল ৩০০ বিলিয়ন বা ৩০ হাজার কোটি ডলার। বিশ্লেষকদের মতে, ডিপসিকের বর্তমান মূল্য চ্যাটজিপিটির ৫ থেকে ১০ শতাংশ, অর্থাৎ ১ হাজার ৫০০ কোটি থেকে সর্বোচ্চ ৩ হাজার কোটি ডলার। যদিও কেউ কেউ মনে করেন, চ্যাটজিপিটির বর্তমান মূল্য ৫০০ বিলিয়ন বা ৫০ হাজার কোটি ডলার ছাড়িয়েছে।
বাজারে আসার পর চ্যাটজিপিটি একের পর এক নতুন বা উন্নত মডেল এনেছে। কিন্তু ডিপসিক এখন পর্যন্ত কেবল হালনাগাদ সংস্করণ প্রকাশ করেই সীমাবদ্ধ থেকেছে, নতুন মডেল আনেনি। ব্যবসার দিক থেকেও তারা পিছিয়ে আছে। গত বছর চ্যাটজিপিটি সাবস্ক্রিপশন থেকে ১২ বিলিয়ন বা ১ হাজার ২০০ কোটি ডলার আয় করেছে, বিপরীতে ডিপসিকের আয় অতি অল্প। চ্যাটজিপিটির বিশ্বব্যাপী ব্যবহারকারী এখন ৭০ কোটির বেশি, যাঁদের কাছ থেকে মাসে ২০ থেকে ২০০ ডলার পর্যন্ত মাশুল আদায় করা হয়। ওয়েব ডেভেলপারদের কাছ থেকেও তারা বড় অঙ্কের অর্থ আয় করে।
অন্যদিকে ডিপসিক প্রায় বিনা মূল্যেই সেবা দিচ্ছে। গত সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তাদের সক্রিয় ব্যবহারকারী ছিল ৭ কোটি ৩০ লাখ। ডেভেলপারদের কাছ থেকে তারা মাশুল নিলেও তা খুবই কম। ডেটা প্রসেসিংয়ের ওপর ভিত্তি করে এই ফি নির্ধারিত হয়। তুলনায় চ্যাটজিপিটি তাদের চেয়ে পাঁচ গুণ বেশি মাশুল আদায় করে।
ডিপসিকের আর্থিক পরিকল্পনা সম্পর্কে লিয়াং স্পষ্ট কোনো মন্তব্য করেননি। বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, তাঁর লক্ষ্য প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন ধরে রাখা। চীন এ ক্ষেত্রে দ্রুত এগোচ্ছে এবং ডিপসিক প্রযুক্তির সীমানা আরও বাড়াতে চায়।
ডিপসিকের প্রতিষ্ঠাতা লিয়াং ওয়েংফেংয়ের পরিবার খুব সম্পদশালী ছিল না। তাঁর বাবা ছিলেন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। ঝেজিয়াং বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার ভিশনে পড়াশোনা করার সময়ই এআই প্রযুক্তির প্রতি তাঁর আগ্রহ তৈরি হয়। ২০১০ সালে তথ্য ও যোগাযোগ প্রকৌশলে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করে তিনি নিজস্ব অ্যালগরিদম ব্যবহার করে হাই-ফ্লায়ার নামে হেজ ফান্ড গঠন করেন। আর্থিক তথ্য সরবরাহকারী প্রেকুইনের তথ্য অনুযায়ী, প্রতিষ্ঠানটি বর্তমানে প্রায় ৮ বিলিয়ন বা ৮০০ কোটি ডলারের সম্পদ পরিচালনা করে।
গত সেপ্টেম্বরে নেচার জার্নালের প্রচ্ছদে প্রকাশিত লিয়াং ও তাঁর দলের গবেষণাপত্রে ডিপসিকের প্রশিক্ষণপদ্ধতি তুলে ধরা হয়েছে। সেখানে উল্লেখ করা হয়, প্রতিটি এআই মডেল প্রশিক্ষণে প্রতিষ্ঠানটি ব্যয় করেছে মাত্র ২ লাখ ৯৪ হাজার ডলার, যেখানে ওপেনএআই নাকি জিপিটি-৫-এর ছয় মাসের এক পর্যায়ের প্রশিক্ষণে ব্যয় করেছে ৫০ কোটি ডলার। তবে ডিপসিকের গণনায় গত কয়েক বছরে হার্ডওয়্যারে, বিশেষ করে এনভিডিয়া চিপ কেনায় ব্যয় হওয়া আনুমানিক ১৬০ কোটি ডলার অন্তর্ভুক্ত নয় বলে জানায় যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গবেষণাপ্রতিষ্ঠান সেমিঅ্যানালিসিস।
যুক্তরাষ্ট্রে চিপ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা জোরদার হওয়ায় ডিপসিক এখন চীনা টেলিকম কোম্পানি হুয়াওয়ের চিপ কিনছে বলে জানিয়েছেন সেমিঅ্যানালিসিসের বিশ্লেষক এ জে কৌরাবি।