বড় সমস্যাটা হলো রোগীরা যখন আমাদের কাছে আসেন, তখন তাঁদের কিডনির প্রায় ৯০ শতাংশই ক্ষতিগ্রস্ত। সেই অবস্থায় শুধু ওষুধ দিয়ে আর কিছু করার থাকে না। তখন প্রয়োজন হয় ডায়ালাইসিস বা কিডনি প্রতিস্থাপনের মতো ব্যয়বহুল চিকিৎসার।

অথচ দেশে খুব অল্প মানুষই নিয়মিত এই চিকিৎসা নিতে পারেন। কেউ কেউ বাঁচার আশায় সব বিক্রি করে চিকিৎসা শুরু করেন, কিন্তু কয়েক মাসের মধ্যেই অর্থের অভাবে থেমে যেতে হয়। পরিবারটাও ভেঙে পড়ে। এ পরিস্থিতিতে সবচেয়ে কার্যকর উপায় হলো প্রতিরোধ।

আরও পড়ুনপিত্তথলিতে পাথর বা গলব্লাডার স্টোন কেন হয়, কারা বেশি ঝুঁকিতে২৫ আগস্ট ২০২৫

প্রথম দিকে কোনো লক্ষণ থাকে না, তৃতীয় পর্যায়ে গিয়ে আমরা রোগটি পরীক্ষার মাধ্যমে ধরতে পারি। এ পর্যায়ে ধরা গেলে ক্ষতি অনেক সময় থামিয়ে দেওয়া যায়, এমনকি ফিরে আসাও সম্ভব। কিন্তু শেষ ধাপে গেলে আর কিছু করার থাকে না।

রোগীরা প্রায়ই বলেন, ‘স্যার, ডায়াবেটিসের ওষুধ দিলেন, প্রেশারের ওষুধ দিলেন, রক্তশূন্যতার জন্য দিলেন, আবার ভিটামিন-ক্যালসিয়ামও দিচ্ছেন—এত কিছু কেন?’
কারণ, ডায়াবেটিসজনিত কিডনির রোগ ধীরে ধীরে বাড়ে। এর পেছনে শুধু সুগার বা প্রেশার নয়, শরীরের ভেতরের প্রদাহও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

এই প্রদাহ শুধু কিডনিই নয়, হৃৎপিণ্ড ও মস্তিষ্কেরও ক্ষতি করে। তবে আগেভাগে রোগ ধরা পড়লে; ডায়াবেটিস ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকলে; নিয়মশৃঙ্খলা বজায় থাকলে কিডনি বহু বছর সুস্থ রাখা সম্ভব।

আরও পড়ুনজীবনযাপনের যে সহজ অভ্যাস ডায়াবেটিস থেকে মুক্তি দিতে পারে১৭ ঘণ্টা আগেঅনেক ডায়াবেটিক রোগী সারা জীবন কোনো কিডনি জটিলতা ছাড়াই বাঁচেন, শুধু নিয়মশৃঙ্খলা ও চিকিৎসকের নির্দেশ মেনে.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

ছবিতে হংকংয়ের ভয়াবহ আগুন

২ / ১০ক্রেন থেকে পানি ছিটিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ