ফুটবল ইতিহাসে আরেকটি অনন্য রেকর্ড নিজের করে নিলেন লিওনেল মেসি। আর্জেন্টাইন জাদুকর হয়ে উঠলেন ইতিহাসের প্রথম ফুটবলার, যার গোল-অবদান পৌঁছেছে ১৩০০ তে। ক্লাব ও আন্তর্জাতিক মিলিয়ে এখন তার মোট গোল ৮৯৬, আর অ্যাসিস্ট ৪০৪। এক অবিশ্বাস্য অর্জন, যার ধারে-কাছেও কেউ নেই।
এই মাইলফলক স্পর্শ করে মেসি ইন্টার মায়ামিকে প্রথমবারের মতো নিয়ে গেলেন এমএলএস কাপ ফাইনালে। ইস্টার্ন কনফারেন্স সেমিফাইনালে তারা দারুণ ফুটবল উপহার দিয়ে ৪-০ গোলে উড়িয়ে দেয় এফসি সিনসিনাটিকে।
আরো পড়ুন:
সাকিবকে ছাড়িয়ে উইকেট শৃঙ্গে তাইজুল
শততম টেস্ট: সেঞ্চুরি ও ফিফটিতে পন্টিংয়ের পাশে মুশফিকুর
বিশ্বকাপজয়ী মেসি ম্যাচে নিজে এক গোল করার পাশাপাশি ভূমিকায় ছিলেন বাকি তিন গোলের পেছনে। তার নিখুঁত পাসিংয়ে বারবার ভেঙে পড়ে সিনসিনাটির রক্ষণ। তার দারুণ নির্মাণশৈলীর সুবাদে তাদেও আলেন্দে জোড়া গোল করেন, আর পুরো ম্যাচেই মায়ামি ছিল একচ্ছত্র আধিপত্যে।
বল দখলে সামান্য এগিয়ে থাকা ইন্টার মায়ামি (৫১%) ম্যাচের ১৯তম মিনিটেই এগিয়ে যায়। মাতেও সিলভেত্তির ক্রস মেসির কাছে পৌঁছাতেই তিনি সময় নষ্ট না করে বল ঠেলে দেন জালে।
সমতা ফেরানোর চেষ্টা করেছিল সিনসিনাটি। এভান্ডারের শট ক্রসবারের ওপর দিয়ে যায়। কেভিন দেনকি কিছুটা চাপও তৈরি করেছিলেন। তবু গোলের দেখা মেলেনি প্রথমার্ধে।
দ্বিতীয়ার্ধে পুরো ম্যাচটাই নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেয় মায়ামি। ৫৭তম মিনিটে সিলভেত্তির দুর্দান্ত কার্লিং শটে দ্বিতীয় গোলের অ্যাসিস্টও আসে মেসির পা থেকে।
এরপর তাদেওর সময়। ৬২ ও ৭৪ মিনিটে জোড়া গোল করে তিনি ম্যাচটিকে একতরফা বানিয়ে দেন। নিজের অর্ধ থেকে বল কেটে নিয়ে তিনটি টাচের পর তাদেওকে চমৎকার পাসে প্রথম গোল উপহার দেন মেসি। এরপর ৭৪ মিনিটে আবারও তার নিখুঁত অ্যাসিস্টে তাদেও নিশ্চিত করেন বড় জয়।
এ মৌসুমে এখন পর্যন্ত ২৮ ম্যাচে মেসির গোল ২৯, অ্যাসিস্ট ১৯। ২০২৩ সালে যোগ দেওয়ার পর ইন্টার মায়ামির হয়ে মোট ৫৩ ম্যাচে তার গোল ৫০ এবং অ্যাসিস্ট ৩৫।
ইন্টার মায়ামি ইতিহাসে প্রথমবারের মতো পৌঁছে গেছে ইস্টার্ন কনফারেন্স ফাইনালে। যেখানে ২৯ নভেম্বর তাদের প্রতিপক্ষ নিউ ইয়র্ক এফসি।
মৌসুমের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পর্বে ঢুকতেই দলের প্রতি মেসির প্রভাব আরও বেড়েছে- পরিসংখ্যানেও, খেলায়ও। আর ১৩০০ গোল-অবদান স্পর্শ করেও থামার কোনো লক্ষণ নেই এই আর্জেন্টাইন কিংবদন্তির। সামনে আরও শিরোপা, আরও রেকর্ড যেন তাকেই ডাকছে।
ঢাকা/আমিনুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র কর ড ফ টবল ইন ট র ম য় ম
এছাড়াও পড়ুন:
নারী কাবাডি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে বাংলাদেশ, নিশ্চিত প্রথম পদক
চলমান নারী কাবাডি বিশ্বকাপে আজ শনিবার (২২ নভেম্বর) সকালে উত্তেজনাপূর্ণ লড়াইয়ে থাইল্যান্ডকে হারিয়ে নিশ্চিত করল সেমিফাইনালের টিকিট। তাতে নিশ্চিত হলো নারী বিশ্বকাপের ইতিহাসে দেশের প্রথম পদকও।
ঢাকায় চলমান আসরের শুরু থেকেই পদকের প্রত্যাশার কথা জানিয়ে আসছিলেন বাংলাদেশের খেলোয়াড় ও কর্মকর্তারা। তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতার পর থাইল্যান্ডের বিপক্ষে জয়ের মাধ্যমে সেমিফাইনাল এবং পদক নিশ্চিত করার পর লাল-সবুজ শিবিরে ছিল উচ্ছ্বাস। দলের খেলোয়াড় ও কোচিং স্টাফরা শহীদ সোহরাওয়ার্দী ইনডোর স্টেডিয়ামের গ্যালারিতে থাকা দর্শকদের অভিবাদনের জবাব দিলেন লাল-সবুজ পতাকা নেড়ে।
আরো পড়ুন:
কাবাডি আমাদের ঐতিহ্য, জাতীয় চেতনার প্রতীক: উপদেষ্টা আসিফ
নারী কাবাডি বিশ্বকাপে জয়ে শুরু বাংলাদেশের
থাইল্যান্ড টস জিতে রেইড বেছে নেয়। থানিয়ালাক বেনরিথ বোনাস পয়েন্ট নিয়ে শুরু করেন। দ্বিতীয় রেইড থেকে শ্রাবণী মল্লিক বাংলাদেশকে প্রথম পয়েন্ট এনে দেন। ওটা ছিল বোনাস পয়েন্ট। পরের রেইডে শ্রাবণী একজনকে আউট করেন। শুরু থেকে এগিয়ে থাকা থাইল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশকে প্রথমার্ধের মাঝামাঝি সময়ে প্রথমবারের মতো লিড এনে দেন মেইবি চাকমা। ম্যাচ চলতে থাকে সমান তালে। রেখা আক্তারি ট্যাকল করতে গিয়ে পয়েন্ট দেন, ফিরতি রেইড থেকে পয়েন্ট নিয়ে আসেন বৃষ্টি বিশ্বাস। নবম মিনিটে ইনজুরি নিয়ে ম্যাট ছাড়েন বাংলাদেশি রেইডার শ্রাবণী মল্লিক। ১১-১১ সমতা থেকে বৃষ্টি এক রেইডে দুইজনকে আউট করেন, লিড পায় বাংলাদেশ। ১৪-১২ পয়েন্টে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় স্বাগতিকরা।
বিরতির পর দ্রুতই প্রতিপক্ষকে অলআউট করে বাংলাদেশ, এগিয়ে যায় ১৮-১৩ পয়েন্টে। সময়ের সঙ্গে অধিপত্য বাড়তে থাকে বাংলাদেশের। এই সময় রেইড এবং ট্যাকল; দুই বিভাগেই দারুণ নৈপুণ্য দেখায় লাল-সবুজরা। দ্বিতীয়বারের মতো থাইল্যান্ডকে অলআউট করে ৩১-১৮ পয়েন্টে এগিয়ে যায় স্বাগতিকরা। শেষদিকে থাইল্যান্ড মরিয়া হয়ে লড়াই করেছে বটে, তা হারের ব্যবধানই শুধু কমাতে পেরেছে। ৪০-৩১ পয়েন্টের জয়ে বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো পদক নিশ্চিত করল বাংলাদেশ।
ঢাকা/আমিনুল