বাউল আবুল সরকারের মুক্তির দাবিতে খুলনায় মানববন্ধনে হামলা, মারধর
Published: 27th, November 2025 GMT
বাউল আবুল সরকারের মুক্তির দাবি ও দেশজুড়ে মাজার–দরগাহ ভাঙচুরের প্রতিবাদে খুলনায় গণতান্ত্রিক ছাত্রজোটের মানববন্ধনে হামলা ও মারধর করা হয়েছে। এতে সংগঠনের কয়েকজন কর্মী আহত হয়েছেন। হামলাকারীরা তাঁদের ব্যানার ছিঁড়ে ও পুড়িয়ে দেয়। গতকাল বুধবার বিকেলে নগরের শিববাড়ী মোড়ে এ ঘটনা ঘটে।
গণতান্ত্রিক ছাত্রজোটের নেতা–কর্মীরা জানান, বাউলশিল্পীদের ওপর হামলা, মাজার–খানকা ভাঙচুর এবং ভিন্ন ধর্মমতের মানুষের ওপর সহিংসতার প্রতিবাদে সারা দেশে কর্মসূচি পালিত হচ্ছে। এর ধারাবাহিকতায় খুলনায় এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। তখন একই স্থানে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে ‘ছাত্র–জনতা’র ব্যানারে পাল্টা বিক্ষোভের ঘোষণা দেওয়া হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য, বেলা সাড়ে তিনটার দিকে গণতান্ত্রিক ছাত্রজোট মানববন্ধনের ঘোষণা দেয়। একই সময়ে ও একই স্থানে ‘ছাত্র–জনতা’ ব্যানারে আরেক দল উপস্থিত হয়। বিকেল পাঁচটার দিকে ছাত্রজোটের নেতা–কর্মীরা ব্যানার হাতে সড়কে নামলে তাঁদের ওপর হামলা হয়। কিল–ঘুষি ও লাঠির আঘাতে কয়েকজন আহত হন। এ সময় ব্যানার ছিনিয়ে নিয়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।
ছাত্র ইউনিয়নের জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক সজীব খান বলেন, ‘বেলা তিনটার দিকে আমরা শিববাড়ীতে অবস্থান নিই। পুলিশ উপস্থিত থাকলেও পাঁচটার দিকে আমাদের ওপর পরিকল্পিতভাবে হামলা চালানো হয়। “ছাত্র-জনতা”র নামে যারা এসেছিল, তারা আপ বাংলাদেশ ও শিবিরের কর্মী।’
অন্যদিকে আপ বাংলাদেশের খুলনা মহানগর শাখা যুগ্ম আহ্বায়ক ফয়জুল্লাহ শাকিল সাংবাদিকদের কাছে দাবি করেন, ‘ওরা আগে আমাদের এক কর্মীকে মারধর করে। পরে সবাই মিলে ওদের দিকে এগিয়ে যাই।’
খুলনা মহানগর পুলিশের সোনাডাঙ্গা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবির হোসেন বলেন, বামপন্থী ছাত্রদের মানববন্ধনে ‘ছাত্র ও সাধারণ জনতা’ মিলে হামলা চালায়। কয়েকজন আহত হলেও কেউ গুরুতর নয়। পুলিশ দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ব্যানার পোড়ানোর ঘটনায় কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। উত্তেজনা এড়াতে আগেই পুলিশ মোতায়েন ছিল। সবাইকে শান্ত থাকার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র ওপর
এছাড়াও পড়ুন:
সরকারি চাকরির নিয়োগে অস্থিরতা: চার মাসে চাকরিপ্রত্যাশীদের যত আন্দোলন
বাংলাদেশে সরকারি চাকরি পাওয়া যেন যুদ্ধজয়ের সমান। আর চাকরিপ্রত্যাশীদের আন্দোলন এখন নিত্যদিনের দৃশ্য। স্মারকলিপি, অবস্থান কর্মসূচি, মানববন্ধন, অনশন থেকে শুরু করে সড়ক ও রেলপথ অবরোধ—দাবি আদায়ে কর্মসূচির ধরনও বহুবিধ। চলতি বছরের আগস্ট থেকে নভেম্বর পর্যন্ত সরকারি চাকরির নিয়োগ নিয়ে নানামুখী আন্দোলন হয়েছে। এর মধ্যে কিছু সমাপ্ত হলেও অনেক আন্দোলন এখনো চলমান বা সাময়িকভাবে স্থগিত রয়েছে।
৪৩তম বিসিএস: নন-ক্যাডার প্রার্থীদের অনশননন-ক্যাডার নিয়োগ বিধিমালা ২০২৩ অনুযায়ী, ৪৩তম বিসিএসে ক্যাডার ও নন-ক্যাডারের ফল একসঙ্গে প্রকাশ করা হয়। নিয়োগ জটিলতা এবং কমসংখ্যক সুপারিশের কারণে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করছেন নন-ক্যাডার প্রার্থীরা। আগস্ট-সেপ্টেম্বরে তাঁরা ‘বিসিএস চাকরিপ্রত্যাশী প্রার্থীবৃন্দ’ ব্যানারে প্রায় ১০ দিন অনশন চালান। এর আগে মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছিলেন তারা। দীর্ঘ আন্দোলনেও সমাধান না মেলায়, এখন আদালতের আশ্রয় নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রার্থীরা।
আজ রোববারের মধ্যে ৪৪তম বিসিএসের ফলাফল–সংক্রান্ত ফাইল জনপ্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে প্রেরণের দাবিতে মানববন্ধন করেন ৪৪তম বিসিএসে সুপারিশ পাওয়া ক্যাডাররা