ভূমিকম্প বড় ক্ষয়ক্ষতির বার্তা দিয়েছে, সে জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। মানুষকে আতঙ্কিত না হয়ে বরং প্রস্তুতির কাজ শুরু করার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।

আজ সোমবার দুপুরে রাজধানীর রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (আইইবি) ভবনে এক সেমিনার ও মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। ‘ভূমিকম্পের ঝুঁকি হ্রাসে প্রস্তুতি ও করণীয়’ শীর্ষক এই আয়োজনের আয়োজক রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)। সভায় উপস্থিত ছিলেন শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান।

সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘আমরা দুর্যোগ অনেক মোকাবিলা করেছি। আমাদের মতোন বড় বড় বন্যা মোকাবিলা করে তার পরের মাসেই আবার দাঁড়িয়ে যায়, এমন জাতি পৃথিবীতে কম আছে। তো এটাও (ভূমিকম্প) ইনশা আল্লাহ আমরা একসঙ্গে সকলে মোকাবিলা করতে পারব।’

প্রকৃতি অনেক সময় দিয়েছে বলে মন্তব্য করেন সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। তিনি বলেন, গত কয়েক বছর যাবৎ বারবার ভূমিকম্প হচ্ছে। কিন্তু এবারের মতো ভয় আগে মানুষ পায়নি। জনমনের আতঙ্ক তখনই দূর হবে, যখন জনগণ দেখবে যে প্রশাসন তার দোরগোড়ায় যাচ্ছে তাঁর ঝুঁকিটা মূল্যায়ন করতে, ঝুঁকি নিরূপণে ব্যবস্থা নিতে।

রাজধানীর ভবনগুলোর ঝুঁকি মূল্যায়নের কাজে রাজউক ও সিটি করপোরেশনকে প্রয়োজনে কঠোর হতে হবে বলে মন্তব্য করেন সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। তিনি বলেন, ব্যক্তিগত সম্পত্তির অজুহাতে এ কাজে বাধা সৃষ্টি করা যাবে না। জননিরাপত্তার স্বার্থে রাজউককে এটা করতে হবে। প্রয়োজনে রাজউককে বিশেষ ক্ষমতা দেওয়ার কথাও বলেন তিনি।

রাসায়নিক গুদাম পুরান ঢাকাকে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ করেছে বলে উল্লেখ করেন সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। তিনি বলেন, এখানকার প্রায় প্রতিটি বাসায় ঝুঁকিপূর্ণ কেমিক্যালের কারখানা আছে। এখন পর্যন্ত সরানোর কোনো রকম কার্যকর ব্যবস্থা দেখা যায়নি। স্থায়ীভাবে দ্রুতসময়ে এসব গুদাম সরিয়ে নিতে হবে। এখানে ব্যবসায়ীরা হ্যাঁ বলুক, কি না বলুক, তার থেকে অনেক বেশি জরুরি হচ্ছে মানুষ।

৫ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্পের পর যেহেতু কম মাত্রার আফটার শক হয়েছে, তাই আপাততের জন্য বিপদ পার হয়েছে বলে মনে করেন সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। তিনি মানুষকে আতঙ্কিত না হয়ে প্রস্তুতি নিতে পরামর্শ দেন।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: প রস ত ত ভ ম কম প আতঙ ক ত র জওয় ন

এছাড়াও পড়ুন:

ভূমিকম্প নিয়ে আতঙ্কিত না হয়ে বরং প্রস্তুতির কাজ শুরু করতে হবে: পরিবেশ উপদেষ্টা

ভূমিকম্প বড় ক্ষয়ক্ষতির বার্তা দিয়েছে, সে জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। মানুষকে আতঙ্কিত না হয়ে বরং প্রস্তুতির কাজ শুরু করার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।

আজ সোমবার দুপুরে রাজধানীর রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (আইইবি) ভবনে এক সেমিনার ও মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। ‘ভূমিকম্পের ঝুঁকি হ্রাসে প্রস্তুতি ও করণীয়’ শীর্ষক এই আয়োজনের আয়োজক রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)। সভায় উপস্থিত ছিলেন শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান।

সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘আমরা দুর্যোগ অনেক মোকাবিলা করেছি। আমাদের মতোন বড় বড় বন্যা মোকাবিলা করে তার পরের মাসেই আবার দাঁড়িয়ে যায়, এমন জাতি পৃথিবীতে কম আছে। তো এটাও (ভূমিকম্প) ইনশা আল্লাহ আমরা একসঙ্গে সকলে মোকাবিলা করতে পারব।’

প্রকৃতি অনেক সময় দিয়েছে বলে মন্তব্য করেন সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। তিনি বলেন, গত কয়েক বছর যাবৎ বারবার ভূমিকম্প হচ্ছে। কিন্তু এবারের মতো ভয় আগে মানুষ পায়নি। জনমনের আতঙ্ক তখনই দূর হবে, যখন জনগণ দেখবে যে প্রশাসন তার দোরগোড়ায় যাচ্ছে তাঁর ঝুঁকিটা মূল্যায়ন করতে, ঝুঁকি নিরূপণে ব্যবস্থা নিতে।

রাজধানীর ভবনগুলোর ঝুঁকি মূল্যায়নের কাজে রাজউক ও সিটি করপোরেশনকে প্রয়োজনে কঠোর হতে হবে বলে মন্তব্য করেন সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। তিনি বলেন, ব্যক্তিগত সম্পত্তির অজুহাতে এ কাজে বাধা সৃষ্টি করা যাবে না। জননিরাপত্তার স্বার্থে রাজউককে এটা করতে হবে। প্রয়োজনে রাজউককে বিশেষ ক্ষমতা দেওয়ার কথাও বলেন তিনি।

রাসায়নিক গুদাম পুরান ঢাকাকে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ করেছে বলে উল্লেখ করেন সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। তিনি বলেন, এখানকার প্রায় প্রতিটি বাসায় ঝুঁকিপূর্ণ কেমিক্যালের কারখানা আছে। এখন পর্যন্ত সরানোর কোনো রকম কার্যকর ব্যবস্থা দেখা যায়নি। স্থায়ীভাবে দ্রুতসময়ে এসব গুদাম সরিয়ে নিতে হবে। এখানে ব্যবসায়ীরা হ্যাঁ বলুক, কি না বলুক, তার থেকে অনেক বেশি জরুরি হচ্ছে মানুষ।

৫ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্পের পর যেহেতু কম মাত্রার আফটার শক হয়েছে, তাই আপাততের জন্য বিপদ পার হয়েছে বলে মনে করেন সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। তিনি মানুষকে আতঙ্কিত না হয়ে প্রস্তুতি নিতে পরামর্শ দেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ