সময় আর কাগজপত্র—এই দুটির মধ্যে একটি মিল আছে, তারা কিছু ভোলে না। ভারতের উত্তর প্রদেশের বেরেলির প্রদীপ কুমার সাক্সেনা ৩৬ বছর আগে পুলিশি হেফাজত থেকে পালিয়ে গিয়েছিলেন। ভাইকে খুনের অপরাধে আদালত তাঁকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছিলেন। ধর্ম, নাম ও চেহারা বদলে ফেললেও শেষ পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে ধরা পড়েছেন তিনি।

১৯৮৭ সালে প্রদীপ সাক্সেনার বিরুদ্ধে তাঁর ভাইকে খুন করার অভিযোগ ওঠে। ১৯৮৯ সালে তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়।

এরপর সাক্সেনা প্যারোলে (শর্তসাপেক্ষ মুক্তি) বেরিয়ে এসে আর ফেরেননি, পুলিশের নজর এড়িয়ে পালিয়ে যান।

সাক্সেনা বেরেলি থেকে পালিয়ে প্রায় ১০০ কিলোমিটার দূরে মোরাদাবাদে চলে যান। সেখানে তিনি নতুন নামে পরিচিত হন—নাম রাখেন আবদুল রহিম। দাড়ি রেখে তিনি গাড়িচালক হিসেবে কাজ শুরু করেন। এভাবে কয়েক দশক পেরিয়ে যায়। আবদুল রহিমরূপী সাক্সেনা ভেবেছিলেন, তিনি তাঁর অতীত আর শাস্তি থেকে মুক্তি পেয়ে গেছেন।

তবে আইনের পরিকল্পনা অবশ্য অন্য রকম ছিল। গত ১৬ অক্টোবর এলাহাবাদ হাইকোর্ট পুলিশকে নির্দেশ দেয়, চার সপ্তাহের মধ্যে সাক্সেনাকে আদালতে হাজির করতে হবে। এরপর পুলিশ পুরোনো মামলার ফাইল ঘাঁটতে শুরু করে। নিখোঁজ আসামিকে খুঁজে বের করতে একটি দল গঠন করা হয়।

বেরেলিতে বসবাসরত সাক্সেনার আরেক ভাই সুরেশের সঙ্গে যোগাযোগ করে পুলিশ। ওই ভাইয়ের কাছ থেকে পুলিশ জানতে পারে, এই খুনি তাঁর ধর্ম ও পরিচয় বদলে ফেলেছে। তদন্ত করে পুলিশ আরও জানতে পারে, সাক্সেনা আসলে কিছুদিন আগে বেরেলিতে এসেছিলেন। তাঁর ধারণা ছিল, পুলিশ তাঁকে ভুলে গেছে। কিন্তু পুলিশ ভোলেনি। এরপর তাঁকে বেরেলি থেকেই গ্রেপ্তার করে আদালতে হাজির করে পুলিশ।

পুলিশের বক্তব্য

পুলিশ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, জিজ্ঞাসাবাদের সময় তিনি স্বীকার করেছেন, তাঁর নাম প্রদীপ কুমার সাক্সেনা। ১৯৮৯ সালে তিনি প্যারোলে মুক্তি পেয়ে আর কারাগারে ফিরে যাননি। তিনি পালিয়ে গেছেন। আদালতের শাস্তি এড়াতে ২০০২ সালে তিনি ধর্ম পরিবর্তন করে মোরাদাবাদে বসবাস করতে শুরু করেন। গতকাল তাঁকে আদালতে হাজির করা হয়েছে।

বেরেলি সিটি পুলিশের প্রধান মানুশ পারিখ জানান, ১৯৮৭ সালের খুনের মামলায় সাক্সেনাকে খুন ও চুরির অপরাধে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল। তিনি বলেন, ‘প্রদীপ সাক্সেনা হাইকোর্টে সাজা মওকুপের আবেদন করেছিলেন এবং তারপর প্যারোলে মুক্তি পেয়ে পালিয়ে যান। হাইকোর্ট যখন তাঁকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেন, তখন আমরা জানতে পারি, তিনি আইনের চোখকে ফাঁকি দিতে পরিচয় লুকিয়ে ধর্ম পরিবর্তন করেছেন।’

এই প্রবীণ পুলিশ কর্মকর্তা আরও বলেন, সাক্সেনা মোরাদাবাদে একজন মুসলিম নারীকে বিয়ে করে সেখানেই থাকতেন। পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, তাঁকে তাঁর হত্যার অপরাধে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল এবং যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। ৩৬ বছর পর তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের গ্রুপে কারা

২০২৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ‘সি’ গ্রুপে খেলবে বাংলাদেশ দল। আগামী ফেব্রুয়ারি-মার্চে ভারত ও শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠেয় বিশ্বকাপে বাংলাদেশের গ্রুপসঙ্গী ইংল্যান্ড, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, নেপাল ও নবাগত ইতালি।

কাল আইসিসি গ্রুপিং ও সূচি চূড়ান্ত করেছে, যেখানে অনুমিতভাবেই ভারত ও পাকিস্তানকে এক গ্রুপে রেখেছে আইসিসি। গ্রুপ ‘এ’–তে ভারত ও পাকিস্তানের সঙ্গী যুক্তরাষ্ট্র, নামিবিয়া ও নেদারল্যান্ডস।

৭ ফেব্রুয়ারি শুরু বিশ্বকাপের প্রথম দিনেই কলকাতায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ।

আরও পড়ুনটি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারত–পাকিস্তান ম্যাচ ১৫ ফেব্রুয়ারি১৩ ঘণ্টা আগে

ইতালি ও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের পরের দুটি ম্যাচও কলকাতায়। গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচটি খেলতে এরপর বাংলাদেশ যাবে মুম্বাইয়ে।

গ্রুপ

সুপার এইট পর্বে উঠতে হলে গ্রুপে শীর্ষ দুইয়ের মধ্যে থাকতে হবে। সুপার এইটে প্রতিটি দল তিনটি করে ম্যাচ খেলবে।

এরপর শীর্ষ চার দল উঠবে সেমিফাইনালে। ৪ ও ৫ মার্চ সেমিফাইনাল। ৮ মার্চ ফাইনাল। পাকিস্তান ফাইনালে উঠলে কলম্বোতে হবে সেটি। নইলে আহমেদাবাদে হবে ফাইনাল।

গ্রুপ পর্বে বাংলাদেশের ম্যাচ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সাড়ে ৩ কেজি সোনা পরেন রাজস্থানের ফল ব্যবসায়ী, এখন চাঁদা দাবি করছে সন্ত্রাসীরা
  • নোয়াখালীতে বিদ্যালয়ের শৌচাগার থেকে ছাত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
  • আমাকে হারাতে জেলা বিএনপি ১০০ কোটি টাকার বাজেট করেছে, বললেন বিএনপির প্রার্থী
  • জকসু নির্বাচনের প্রার্থীদের ডোপ টেস্ট স্থগিত
  • ‘শেখ হাসিনাকে প্রত্যর্পণের অনুরোধ খতিয়ে দেখছে ভারত’
  • শাকিবের নায়িকা রহস্য
  • ওসির পদায়নও হবে লটারিতে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
  • চেলসির কাছে পাত্তা পেল না বার্সেলোনা
  • টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের গ্রুপে কারা