বাউল আবুল সরকারের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে হেফাজতের বিক্ষোভ
Published: 28th, November 2025 GMT
মহান আল্লাহ, পবিত্র কোরআন ও ইসলাম নিয়ে কটূক্তি করায় বাউল আবুল সরকারের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। আজ বাদ জুমা রাজধানীর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের উত্তর গেটে হেফাজতে ইসলাম ঢাকা মহানগরের পল্টন জোন এই কর্মসূচির আয়োজন করে।
সমাবেশে হেফাজতের কেন্দ্রীয় জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব জুনায়েদ আল হাবিব বলেন, আবুল সরকার যে ধৃষ্টতা দেখিয়েছে, তা কোনো মুসলমান কখনো মেনে নিতে পারে না। এটি শুধু ধর্ম অবমাননা নয়; বরং মুসলমানদের ইমানের ওপর প্রকাশ্য আঘাত। হেফাজতে ইসলাম আবুল সরকারের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছে।
সমাবেশে অন্য বক্তারা বলেন, যারা আবুল সরকারকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দিচ্ছে কিংবা তৌহিদি জনতার বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক মামলা দিয়েছে, তাদেরকেও মনে রাখতে হবে, এই দেশের ইমানদার জনতা চুপচাপ বসে থাকবে না। যদি অবিলম্বে মামলা প্রত্যাহার ও আবুল সরকারের বিচার না হয়, তাহলে তৌহিদি জনতা রাজপথে নামবে। প্রয়োজনে দেশ অচল করে দেওয়া হবে।
সরকারের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বক্তারা বলেন, ধর্মদ্রোহীদের রক্ষা করা মানেই ইসলামবিদ্বেষীদের মদদ দেওয়া। মুসলমানেরা তা কখনো মেনে নেবে না। এই জাতি উপযুক্ত জবাব দিতে জানে।
সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন হেফাজতে ইসলামের নেতা মাওলানা আবদুর রব ইউসুফী, মাওলানা মুহিউদ্দীন রব্বানী, মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী, মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী, মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী, মুফতি ফখরুল ইসলাম প্রমুখ।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ইসল ম
এছাড়াও পড়ুন:
সেলিমা রহমানকে মনোনয়ন দেওয়ার দাবিতে বাবুগঞ্জে মানববন্ধন ও মহাসড়ক অবরোধ
বরিশাল–৩ (বাবুগঞ্জ–মুলাদী) আসনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী বেগম সেলিমা রহমানকে মনোনয়ন দেওয়ার দাবিতে মানববন্ধন ও মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন তাঁর অনুসারী নেতা–কর্মীরা। আজ শুক্রবার বিকেলে বাবুগঞ্জ উপজেলার রহমতপুর এলাকায় ঢাকা–বরিশাল মহাসড়কে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
‘বাবুগঞ্জ ও মুলাদী উপজেলার সর্বস্তরের জনগণ’–এর ব্যানারে আয়োজিত কর্মসূচিতে বিএনপির একাংশের নেতা–কর্মীদের পাশাপাশি বিভিন্ন শ্রেণি–পেশার মানুষ অংশ নেন। ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচিতে প্রায় এক কিলোমিটার মহাসড়কে যান চলাচল বিঘ্নিত হয়।
৩ নভেম্বর রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সারা দেশের ২৩৭টি আসনে দলের সম্ভাব্য প্রার্থীদের তালিকা ঘোষণা করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এতে বরিশালের ছয়টি আসনের মধ্যে পাঁচটিতে প্রার্থী দিলেও বরিশাল–৩ আসনে কাউকে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়নি। এতে স্থানীয় নেতা–কর্মীদের মধ্যে হতাশা বিরাজ করছে।
আজ বাবুগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও বরিশাল দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য ইসরত হোসেন তালুকদারের সভাপতিত্বে কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন জেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক মো. মোহসীন আলম, জেলা যুবদলের সহসভাপতি মো. আওলাদ হোসেন, বাবুগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. জাকির হোসেন, মো. কামাল সরদার, সেলিম সরদার, দেহেরগতি ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. মিলন খান, মাধবপাশা ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি মো. মাহবুব তালুকদার, উপজেলা বিএনপির সদস্য মো. পারভেজ মৃধা, মনিরুজ্জামান, মিজানুর রহমান, উপজেলা কৃষক দলের সভাপতি মো. আরিফুর রহমান, কৃষক দলের সহসভাপতি মো. মাহবুব আলম তালুকদার, জেলা ছাত্রদলের সহসভাপতি মো. আরিফুর রহমান প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের আস্থাভাজন নেতা হিসেবে পরিচিত বেগম সেলিমা রহমান দীর্ঘদিন ধরে বরিশাল–৩ আসনের মানুষের পাশে আছেন। তাঁর রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা, ত্যাগ ও সাংগঠনিক দক্ষতা বিবেচনায় আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তাঁকে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী করা সময়ের দাবি। ত্যাগী ও জনপ্রিয় এই নেতাকে উপেক্ষা করে অন্য কাউকে মনোনয়ন দিলে তৃণমূলে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হবে এবং দলের সাংগঠনিক শক্তি দুর্বল হবে। নির্বাচনের ফলাফলেও এর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।
বক্তারা দ্রুত বরিশাল–৩ আসনে সেলিমা রহমানকে আনুষ্ঠানিক প্রার্থী ঘোষণা করার দাবি জানান। মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল মহাসড়ক প্রদক্ষিণ করে।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, এ আসনে চার মনোনয়নপ্রত্যাশী আলোচনায় আছেন। সেলিমা রহমান ছাড়া অন্য তিনজন হলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন, কেন্দ্রীয় আইনজীবী ফোরামের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান ও বরিশাল জেলা বিএনপির সদস্য ও মুলাদী উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুস সাত্তার খান। তাঁদের মধ্যে সেলিমা রহমান, মনিরুজ্জামান ও আবদুস সাত্তার খান একই মঞ্চে একাধিক সভা–সমাবেশ, উঠান বৈঠক ও গণসংযোগে ‘রাষ্ট্র মেরামতের ৩১ দফা’ বাস্তবায়নের পক্ষে প্রচারণা চালাচ্ছেন। অন্যদিকে ভাইস চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীনও দলীয় সভা–সমাবেশে সক্রিয় আছেন।