ইস্পাহানি–প্রথম আলো আন্তবিশ্ববিদ্যালয় ফুটবলের ঢাকা পর্বের উদ্বোধনী ম্যাচ খেলেই বিদায় নিতে হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে (ঢাবি)। প্রতিপক্ষ ছিল প্রথম আসরের চ্যাম্পিয়ন গণ বিশ্ববিদ্যালয়। সাভারের বিরুলিয়ায় ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির মাঠে নির্ধারিত ৭০ মিনিটজুড়ে গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সমানে লড়েছে ঢাবি, গোলশূন্য থেকেছে ম্যাচ। টাইব্রেকারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হেরে যায় ৪–৩ গোলে।  

প্রথম আসরের চ্যাম্পিয়ন গণ বিশ্ববিদ্যালয় দ্বিতীয় আসরের কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে ছিটকে পড়েছিল। এবার তারা শিরোপা পুনরুদ্ধারের লড়াই শুরু করল টাইব্রেকারের জয়ে। ম্যাচে দুটি ভালো সেভ করার পর টাইব্রেকারে একটি পেনাল্টি ঠেকিয়ে দলের গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের জয়ের নায়ক গোলকিপার মো.

রাহুল হোসেন, তিনিই পান ম্যাচসেরার পুরস্কার।

টুর্নামেন্টে দারুণ সূচনা করেছে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি। প্রথম আসরে খেললেও দ্বিতীয় আসরে ছিল অনুপস্থিত, বিরতি ভেঙে ফেরার ম্যাচেই মুখোমুখি হয় নবাগত গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের। ম্যাচের চতুর্থ মিনিটেই নর্থ সাউথকে এগিয়ে দেন ফরোয়ার্ড শাহজালাল সিজান।

আরও পড়ুনঢাকা অঞ্চলের উদ্বোধন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে বিদায় করল সাবেক চ্যাম্পিয়ন গণ বিশ্ববিদ্যালয়৬ ঘণ্টা আগে

তবে পরের মিনিটেই  সহ–অধিনায়ক নাজমুল হাসানের গোলে সমতায় ফেরে গ্রিন ইউনিভার্সিটি। ৫৩ মিনিটে সিজানের পেনাল্টি গোলে নির্ধারিত হয় ম্যাচের ভাগ্য। ২–১ গোলে জয় তুলে নিয়ে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকল নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি। জোড়া গোল করে ম্যাচসেরার পুরস্কার পেয়েছেন সিজান।

দিনের তৃতীয় ম্যাচে মাঠে আসেনি বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়। ভূমিকম্পের কারণে বিশ্ববিদ্যালয় ছুটি ঘোষণা করায় খেলোয়াড়েরা হল ছাড়তে বাধ্য হন। ফলে ম্যাচে ২–০ ব্যবধানে ওয়াকওভার পায় স্টেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ। দিনের তিনটি ম্যাচই ছিল ‘ই’ গ্রুপের।

টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিপক্ষে ওয়াকওভার পেয়ে জিতেছে স্টেট ইউনিভার্সিটি

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ইউন ভ র স ট প রথম

এছাড়াও পড়ুন:

সেলিমা রহমানকে মনোনয়ন দেওয়ার দাবিতে বাবুগঞ্জে মানববন্ধন ও মহাসড়ক অবরোধ

বরিশাল–৩ (বাবুগঞ্জ–মুলাদী) আসনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী বেগম সেলিমা রহমানকে মনোনয়ন দেওয়ার দাবিতে মানববন্ধন ও মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন তাঁর অনুসারী নেতা–কর্মীরা। আজ শুক্রবার বিকেলে বাবুগঞ্জ উপজেলার রহমতপুর এলাকায় ঢাকা–বরিশাল মহাসড়কে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।

‘বাবুগঞ্জ ও মুলাদী উপজেলার সর্বস্তরের জনগণ’–এর ব্যানারে আয়োজিত কর্মসূচিতে বিএনপির একাংশের নেতা–কর্মীদের পাশাপাশি বিভিন্ন শ্রেণি–পেশার মানুষ অংশ নেন। ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচিতে প্রায় এক কিলোমিটার মহাসড়কে যান চলাচল বিঘ্নিত হয়।

৩ নভেম্বর রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সারা দেশের ২৩৭টি আসনে দলের সম্ভাব্য প্রার্থীদের তালিকা ঘোষণা করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এতে বরিশালের ছয়টি আসনের মধ্যে পাঁচটিতে প্রার্থী দিলেও বরিশাল–৩ আসনে কাউকে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়নি। এতে স্থানীয় নেতা–কর্মীদের মধ্যে হতাশা বিরাজ করছে।

আজ বাবুগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও বরিশাল দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য ইসরত হোসেন তালুকদারের সভাপতিত্বে কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন জেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক মো. মোহসীন আলম, জেলা যুবদলের সহসভাপতি মো. আওলাদ হোসেন, বাবুগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. জাকির হোসেন, মো. কামাল সরদার, সেলিম সরদার, দেহেরগতি ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. মিলন খান, মাধবপাশা ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি মো. মাহবুব তালুকদার, উপজেলা বিএনপির সদস্য মো. পারভেজ মৃধা, মনিরুজ্জামান, মিজানুর রহমান, উপজেলা কৃষক দলের সভাপতি মো. আরিফুর রহমান, কৃষক দলের সহসভাপতি মো. মাহবুব আলম তালুকদার, জেলা ছাত্রদলের সহসভাপতি মো. আরিফুর রহমান প্রমুখ।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের আস্থাভাজন নেতা হিসেবে পরিচিত বেগম সেলিমা রহমান দীর্ঘদিন ধরে বরিশাল–৩ আসনের মানুষের পাশে আছেন। তাঁর রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা, ত্যাগ ও সাংগঠনিক দক্ষতা বিবেচনায় আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তাঁকে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী করা সময়ের দাবি। ত্যাগী ও জনপ্রিয় এই নেতাকে উপেক্ষা করে অন্য কাউকে মনোনয়ন দিলে তৃণমূলে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হবে এবং দলের সাংগঠনিক শক্তি দুর্বল হবে। নির্বাচনের ফলাফলেও এর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।

বক্তারা দ্রুত বরিশাল–৩ আসনে সেলিমা রহমানকে আনুষ্ঠানিক প্রার্থী ঘোষণা করার দাবি জানান। মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল মহাসড়ক প্রদক্ষিণ করে।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, এ আসনে চার মনোনয়নপ্রত্যাশী আলোচনায় আছেন। সেলিমা রহমান ছাড়া অন্য তিনজন হলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন, কেন্দ্রীয় আইনজীবী ফোরামের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান ও বরিশাল জেলা বিএনপির সদস্য ও মুলাদী উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুস সাত্তার খান। তাঁদের মধ্যে সেলিমা রহমান, মনিরুজ্জামান ও আবদুস সাত্তার খান একই মঞ্চে একাধিক সভা–সমাবেশ, উঠান বৈঠক ও গণসংযোগে ‘রাষ্ট্র মেরামতের ৩১ দফা’ বাস্তবায়নের পক্ষে প্রচারণা চালাচ্ছেন। অন্যদিকে ভাইস চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীনও দলীয় সভা–সমাবেশে সক্রিয় আছেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ