পঞ্চগড়ে আজও ১০ ডিগ্রির নিচে তাপমাত্রা
Published: 15th, January 2025 GMT
উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে জেঁকে বসেছে শীত। টানা দুইদিন ধরে জেলার ওপর দিয়ে বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। তাপমাত্রা আজও বিরাজ করছে ১০ ডিগ্রির নিচে।
বুধবার (১৫ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় জেলার তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।
এর আগে, মঙ্গলবার একই সময়ে এখানে তাপমাত্রা রেকর্ড হয় ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিন দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিলো ২৬ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া অফিসের তথ্যমতে, ৮ দশমিক ১ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে তাপমাত্রা বিরাজ করলে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বলা হয়। সে হিসেবে এ এলাকার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।
এদিকে, দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা কিছুটা বৃদ্ধি পেলেও সন্ধ্যার পর থেকে কমতে থাকে। রাত বাড়তে থাকলে বাড়ে শীতের তীব্রতা। সকাল অবধি কুয়াশাচ্ছন্ন থাকে পথঘাট।
এই শীতে দুর্ভোগে রয়েছে খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষেরা। সময়মত কাজে যেতে পারছেন না শ্রমজীবীরা। বিপাকে যানবাহন চালকরাও। তাদেরকে সকালের দিকেও হেডলাইট জ্বালিয়ে সাবধানে চলাচল করতে হচ্ছে। শীতের প্রকোপ থেকে বাঁচতে অনেকেই খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় বলেন, “আজ সর্বনিম্ন ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। বাতাসের আর্দ্রতা ছিলো ৭৮ শতাংশ। সামনের দিনে দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা আরো কমতে পারে।”
ঢাকা/নাঈম/ইমন
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স লস য় স দশম ক
এছাড়াও পড়ুন:
রেকর্ড রান তাড়া করে দুর্দান্ত জয়ে এশিয়া কাপের মিশন শুরু বাংলাদেশের
‘চ্যাম্পিয়নরা চ্যাম্পিয়নদের মতোই খেলল’ - বাংলাদেশের দুর্দান্ত জয়ের পর এমন কথা নিশ্চিতভাবেই বলাবলি হচ্ছে সংযুক্ত আরব আমিরাতে। অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ টুর্নামেন্টে রেকর্ড রান তাড়া করে জিতেছে বাংলাদেশ।
মহাদেশীয় কিংবা বৈশ্বিক কোনো প্রতিযোগিতায় ২৮৪ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড ছিল না বাংলাদেশের। শনিবার দুবাইয়ে আফগানিস্তান যুবাদের দেওয়া ২৮৩ রানের লক্ষ্য বাংলাদেশ জিতে যায় ৩ উইকেটে, ৭ বল হাতে রেখে।
টস জিতে আগে ব্যাটিং করতে নেমে আফগানিস্তান ৭ উইকেটে ২৮৩ রান করে। দলের টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান ফয়সাল শিনোজাদার সেঞ্চুরিতে বিশাল পুঁজি পায় আফগান যুবারা। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে জাওয়াদ আবরার ও রিফাত বেগের ১৫১ রানের জুটি বাংলাদেশকে এগিয়ে নেয়। সেঞ্চুরির পথে ছিলেন জাওয়াদ। কিন্তু ৪ রানের আক্ষেপে পুড়তে হয় তাকে। ৯৬ রানে সীমানায় দারুণ এক ক্যাচে কাটা পড়ে তার উইকেট।
এছাড়া রিফাত বেগ ৬২ রান করেন। দুজনের পর অধিনায়ক আজিজুল হাকিমের ৪৭ রানের ইনিংসে বাংলাদেশকে লক্ষ্যের পথে এগিয়ে যায়। মনে হচ্ছিল সহজ জয় পাবে বাংলাদেশ। কিন্তু জয়ের ঠিক আগ মুহূর্তে ২০ রানে ৩ উইকেট হারায় লাল সবুজের প্রতিনিধিরা। সেখান থেকে রিজানের অপরাজিত ১৭ ও পারভেজ হোসেনের ১৩ রানে জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ।
লক্ষ্য তাড়ায় বাংলাদেশ ৩০৭ রান করেও ম্যাচ জিতেছে। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে, ২০২৩ সালে। সেটা ছিল দ্বিপাক্ষিক সিরিজে। এবার মহাদেশীয় আসরে রেকর্ড রান তাড়া করে জিতল যুবারা। ম্যাচ জয়ের নায়ক আবরার ৯ চার ও ৬ ছক্কায় সাজান নিজের ইনিংস।
এর আগে ব্যাটিংয়ের শুরুটা ভালো হয়নি আফগানিস্তানের। ওপেনার খালিদ আহমেদজাই চতুর্থ ওভারে উইকেটের পেছনে ৩ রানে ক্যাচ দেন। সেখান থেকে দ্বিতীয় উইকেটে উসমান সাদাত ও ফয়সাল শিনোজাদা ৬৬ রানের জুটি গড়েন। ওপেনার উসমান ৩৪ রানে ফিরে আসলেও ফয়সালের ব্যাট চলতে থাকে।
উইকেটের চারিপাশে শট খেলতে থাকেন অনায়েসে। তৃতীয় উইকেটে আবার বড় জুটি পায় আফগানিস্তান। ফয়সালের নতুন সঙ্গী এবার উজায়রুল্লাহ নিয়াজাই। দুজন দলকে টেনে নেন ১৭৫ রান পর্যন্ত। ফয়সাল তুলে নেন সেঞ্চুরি। ৫৯ বলে ফিফটি ছোঁয়া এই ব্যাটসম্যান শতরান পেয়েছেন ৯১ বলে। এরপর অবশ্য ইনিংসটি বড় করতে পারেননি তিনি। ৯৪ বলে ৮ চার ও ৪ ছক্কায় ১০৩ রান করে ইকবাল হোসেন ইমনের বলে আউট হন।
তার সঙ্গী উজায়রুল্লাহ ৬ রানের আক্ষেপে পুড়েন। ৪৪ রানে থামে তার ইনিংস। সেখান থেকে আফগানিস্তানের ইনিংস বড় করেন আজিজুল্লাহ মিখাইল ও আব্দুল আজিজ। আজিজুল্লাহ ২টি করে চার ও ছক্কায় ৩৬ বলে ৩৮ এবং আব্দুল ১৬ বলে ৩ ছক্কায় ২৬ রান করেন।
বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে ইকবাল হোসেন ৬৩ রানে ও শাহরিয়ার আহমেদ ৪৩ রানে ২টি করে উইকেট নেন। ১টি করে উইকেট নেন সাদ ইসলাম, সাইমুন বশির ও রিজান হোসেন।
এশিয়া কাপের হ্যাটট্রিক মিশনে বাংলাদেশ। ১৫ ডিসেম্বর বাংলাদেশের পরের ম্যাচ নেপাল অনূর্ধ্ব-১৯ দলের বিপক্ষে।
ঢাকা/ইয়াসিন