উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে জেঁকে বসেছে শীত। টানা দুইদিন ধরে জেলার ওপর দিয়ে বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। তাপমাত্রা আজও বিরাজ করছে ১০ ডিগ্রির নিচে। 

বুধবার (১৫ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় জেলার তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। 

এর আগে, মঙ্গলবার একই সময়ে এখানে তাপমাত্রা রেকর্ড হয় ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিন দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিলো ২৬ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আবহাওয়া অফিসের তথ্যমতে, ৮ দশমিক ১ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে তাপমাত্রা বিরাজ করলে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বলা হয়। সে হিসেবে এ এলাকার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।

এদিকে, দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা কিছুটা বৃদ্ধি পেলেও সন্ধ্যার পর থেকে কমতে থাকে। রাত বাড়তে থাকলে বাড়ে শীতের তীব্রতা। সকাল অবধি কুয়াশাচ্ছন্ন থাকে পথঘাট। 

এই শীতে দুর্ভোগে রয়েছে খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষেরা। সময়মত কাজে যেতে পারছেন না শ্রমজীবীরা। বিপাকে যানবাহন চালকরাও। তাদেরকে সকালের দিকেও হেডলাইট জ্বালিয়ে সাবধানে চলাচল করতে হচ্ছে। শীতের প্রকোপ থেকে বাঁচতে অনেকেই খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। 

তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় বলেন, “আজ সর্বনিম্ন ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। বাতাসের আর্দ্রতা ছিলো ৭৮ শতাংশ। সামনের দিনে দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা আরো কমতে পারে।”

ঢাকা/নাঈম/ইমন

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স লস য় স দশম ক

এছাড়াও পড়ুন:

বাড়ির কাজে ব্যস্ত ছিলেন মা, আড়াই বছরের আদিল ডুবল পাশের ডোবায়

বাড়িতে গৃহস্থালির কাজ করছিলেন মা রোজিনা আক্তার। এ সময় বাড়ির আঙিনায় খেলছিল তার আড়াই বছরের শিশুসন্তান আদিল মাহমুদ। মায়ের অগোচরে একপর্যায়ে বাড়ির পাশের ডোবায় পড়ে যায় শিশুটি। কাজের ফাঁকে ছেলের খোঁজ করে দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন মা। পরে ডোবায় ভাসতে দেখেন শিশু আদিলকে। দ্রুত উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

শুক্রবার (২৮ নভেম্বর) বিকেলে নেত্রকোণার কলমাকান্দা উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের আনন্দপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আদিল মাহমুদ ওই গ্রামের রাশিদুজ্জামানের ছেলে।

খবর পেয়ে কলমাকান্দা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবু হানিফ হাসপাতালে গিয়ে সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত করেছেন। পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

কলমাকান্দা থানার ওসি মোহাম্মদ লুৎফুর রহমান বলেন, ‘‘শিশুটি সবার অগোচরে ডোবায় পড়ে যায়। পরিবারের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কোনো অভিযোগ করেনি।’’

ঢাকা/ইবাদ/রাজীব

সম্পর্কিত নিবন্ধ