গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ-দিনাজপুর আঞ্চলিক মহাসড়কে খলসি এলাকায় সড়কের বিভিন্ন স্থান এখন আবর্জনার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। উল্লেখযোগ্য মোড়, নদীনালাগুলোতে আবর্জনার স্তূপ পড়েছে। উৎকট দুর্গন্ধ ও ধোঁয়ায় গন্ধে নাকাল পথচারীসহ পৌরবাসী। বেড়েছে মশামাছির উপদ্রব।
জানা গেছে, অপরিকল্পিতভাবে দিনের পর দিন পৌরসভা থেকে এসব ময়লা-আবর্জনা ফেলা হয় রাস্তাসহ ডোবানালায়। এতে ভরাট হচ্ছে করতোয়া নদী। রাস্তায় নাক কাপড় দিয়ে ঢেকে চলাচল করতে হয় শিক্ষার্থী ও পথচারীদের। দুর্গন্ধে অনেকেই বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। সম্প্রতি রাস্তায় পৌরসভার গাড়ি করে ময়লা ফেলার সময় ছবি তোলার চেষ্টা করা হয়। ওই সময় তড়িঘড়ি করে ময়লাসহ গাড়ি ফেরত যায়। পরদিন আবারও সেখানে ময়লা ফেলা হয়।
ছামিউল আলম নামে স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, মাঝেমধ্যে ময়লার ভাগাড়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। পোড়া পলিথিনের দুর্গন্ধে এলাকায় থাকা দায় হয়ে পড়ে। এতে পরিবেশের ভয়াবহ ক্ষতি হয়। পৌরবাসী নানাবিধ রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। শিগগিরই ব্যবস্থা না নিলে স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়বে পৌরবাসী।
পৌরসভার দুই নম্বর ওয়ার্ডের আব্দুল ওয়াহেদ বলেন, ময়লার দুর্গন্ধে স্বাভাবিক নিঃশ্বাস নেওয়া যায় না। নাক বন্ধ করে দ্রুত স্থান ত্যাগ করতে হয়। পৌরসভায় বারবার অভিযোগ করেও
সমাধান মেলেনি।
১ নম্বর ওয়ার্ডের শাহিনুর ইসলাম বলেন, করতোয়া নদীর ধারে দীর্ঘদিন ধরে ময়লা ফেলা হচ্ছে। সরু নালায় পরিণত এ নদী যেন ময়লার ভাগাড়। নদী ভরাটের পাশাপাশি আবর্জনার দুর্গন্ধে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ওই এলাকার মানুষের স্বাস্থ্য। সেখানে টিকে থাকা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।
পৌর প্রশাসকের দায়িত্বে থাকা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দা ইয়াসমিন সুলতানা আবর্জনার সমস্যার কথা স্বীকার করে বলেন, আবর্জনা ফেলার জন্য পৌরসভার নির্দিষ্ট ডাম্পিং স্টেশন নেই। আবর্জনাগুলো কোথাও না কোথাও ফেলতে হবে। ময়লা অন্য কোথাও ফেলা যায় কিনা সে চেষ্টা চলছে। তিনি আরও বলেন, পৌরসভার ময়লার জন্য বর্জ্য শোধনাগার নির্মাণ করা হচ্ছে। আপাতত একটি সমস্যার কারণে কাজ বন্ধ আছে। কাজ শেষ হলে এ সমস্যা আর থাকবে না।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: প রসভ র
এছাড়াও পড়ুন:
ফরিদপুরে প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনায় জিডি
ফরিদপুর সদরের কানাইপুর ইউনিয়নের খাসকান্দি সর্বজনীন শ্রীশ্রী কালী ও দুর্গামান্দিরের কালীপ্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনায় থানায় জিডি হয়েছে। তবে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত জড়িত কাউকে শনাক্ত করতে পারেনি পুলিশ।
গত বুধবার বিকেলের মধ্যেই প্রতিমার ভেঙে ফেলা অংশগুলো মেরামত করা হয়। ওই প্রতিমা নির্মাণশিল্পী কানাইপুরের বিজন পাল প্রতিমাটি মেরামত করেন। এ জন্য আনুষঙ্গিক ব্যয় হয়েছে আড়াই হাজার টাকা।
মন্দিরের পরিচালনা কমিটির সভাপতি বাসুদেব বিশ্বাস বুধবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় এ বিষয়ে একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। তিনি বলেন, ‘এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের নাম আমাদের জানা নেই। এ জন্য মামলা হয়নি।’
বাসুদেব বিশ্বাস আরও বলেন, প্রতিমা মেরামতের টাকা জেলা পুলিশ দিতে চেয়েছিল। কিন্তু তাঁরা তা গ্রহণ না করে নিজেরাই এর ব্যয়ভার বহন করেন।
কানাইপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহ্ মোহাম্মদ আলতাফ হুসাইন বলেন, আগামী রোববার (৩ আগস্ট) এলাকাবাসীকে নিয়ে ওই মন্দির প্রাঙ্গণে মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়েছে। মন্দিরের নিরাপত্তা বাড়ানোর বিষয়ে সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আসাদউজ্জামান জানান, এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্ত করতে এলাকায় গোয়েন্দা তল্লাশি চালানো হচ্ছে। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, আসামিদের শনাক্ত করে দ্রুত গ্রেপ্তার করা হবে।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার রাত ১০টা থেকে বুধবার সকাল ৬টার মধ্যে কোনো এক সময় কানাইপুর ইউনিয়নের খাসকান্দি সর্বজনীন শ্রীশ্রী কালী ও দুর্গামন্দিরে প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।