Samakal:
2025-05-01@07:13:31 GMT

যে পথ দিয়ে যেতে হয় নাক চেপে

Published: 17th, January 2025 GMT

যে পথ দিয়ে যেতে হয় নাক চেপে

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ-দিনাজপুর আঞ্চলিক মহাসড়কে খলসি এলাকায় সড়কের বিভিন্ন স্থান এখন আবর্জনার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। উল্লেখযোগ্য মোড়, নদীনালাগুলোতে আবর্জনার স্তূপ পড়েছে। উৎকট দুর্গন্ধ ও ধোঁয়ায় গন্ধে নাকাল পথচারীসহ পৌরবাসী। বেড়েছে মশামাছির উপদ্রব।
জানা গেছে, অপরিকল্পিতভাবে দিনের পর দিন পৌরসভা থেকে এসব ময়লা-আবর্জনা ফেলা হয় রাস্তাসহ ডোবানালায়। এতে ভরাট হচ্ছে করতোয়া নদী। রাস্তায় নাক কাপড় দিয়ে ঢেকে চলাচল করতে হয় শিক্ষার্থী ও পথচারীদের। দুর্গন্ধে অনেকেই বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। সম্প্রতি রাস্তায় পৌরসভার গাড়ি করে ময়লা ফেলার সময় ছবি তোলার চেষ্টা করা হয়। ওই সময় তড়িঘড়ি করে ময়লাসহ গাড়ি ফেরত যায়। পরদিন আবারও সেখানে ময়লা ফেলা হয়। 
ছামিউল আলম নামে স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, মাঝেমধ্যে ময়লার ভাগাড়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। পোড়া পলিথিনের দুর্গন্ধে এলাকায় থাকা দায় হয়ে পড়ে। এতে পরিবেশের ভয়াবহ ক্ষতি হয়। পৌরবাসী নানাবিধ রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। শিগগিরই ব্যবস্থা না নিলে স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়বে পৌরবাসী। 
পৌরসভার দুই নম্বর ওয়ার্ডের আব্দুল ওয়াহেদ বলেন, ময়লার দুর্গন্ধে স্বাভাবিক নিঃশ্বাস নেওয়া যায় না। নাক বন্ধ করে দ্রুত স্থান ত্যাগ করতে হয়। পৌরসভায় বারবার অভিযোগ করেও 
সমাধান মেলেনি। 
১ নম্বর ওয়ার্ডের শাহিনুর ইসলাম বলেন, করতোয়া নদীর ধারে দীর্ঘদিন ধরে ময়লা ফেলা হচ্ছে। সরু নালায় পরিণত এ নদী যেন ময়লার ভাগাড়। নদী ভরাটের পাশাপাশি আবর্জনার দুর্গন্ধে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ওই এলাকার মানুষের স্বাস্থ্য। সেখানে টিকে থাকা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।
পৌর প্রশাসকের দায়িত্বে থাকা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দা ইয়াসমিন সুলতানা আবর্জনার সমস্যার কথা স্বীকার করে বলেন, আবর্জনা ফেলার জন্য পৌরসভার নির্দিষ্ট ডাম্পিং স্টেশন নেই। আবর্জনাগুলো কোথাও না কোথাও ফেলতে হবে। ময়লা অন্য কোথাও ফেলা যায় কিনা সে চেষ্টা চলছে। তিনি আরও বলেন, পৌরসভার ময়লার জন্য বর্জ্য শোধনাগার নির্মাণ করা হচ্ছে। আপাতত একটি সমস্যার কারণে কাজ বন্ধ আছে। কাজ শেষ হলে এ সমস্যা আর থাকবে না।
 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: প রসভ র

এছাড়াও পড়ুন:

পাকিস্তানে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা পদেও আইএসআই প্রধান মালিক

পাকিস্তানের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা (এনএসএ) হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন দেশটির গোয়েন্দা সংস্থা ইন্টার সার্ভিস ইন্টেলিজেন্সের (আইএসআই) বর্তমান মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল মুহাম্মদ অসিম মালিক। বৃহস্পতিবার পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য ডনের খবরে এই তথ্য জানানো হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সরকারিভাবে দেশের প্রধান গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের বর্তমান মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল মুহাম্মদ অসিম মালিককে নতুন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা (এনএসএ) নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তিনি পাকিস্তানের দশম জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা। 

গত মঙ্গলবার মন্ত্রিসভা বিভাগ থেকে জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, জেনারেল মালিক আইএসআই মহাপরিচালক হিসেবে তার বর্তমান পদেও বহাল থাকবেন।২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর থেকে তিনি এই পদে রয়েছেন। প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, লেফটেন্যান্ট জেনারেল মুহাম্মদ অসিম মালিক জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করবেন।

তার এই নিয়োগের মাধ্যমে প্রথমবারের মতো একজন আইএসআই প্রধান একই সঙ্গে এনএসএ'র দায়িত্ব পেলেন। সম্প্রতি ভারতশাসিত কাশ্মীরের পেহেলগামে হামলার পর ভারতের সঙ্গে পাকিস্তানের সামরিক উত্তেজনার মধ্যে লেফটেন্যান্ট জেনারেল মুহাম্মদ অসিম মালিক নতুন দায়িত্ব পাওয়ার খবর এলো। 

২০২২ সালের এপ্রিলে ইমরান খানের নেতৃত্বাধীন পিটিআই সরকার অনাস্থা ভোটে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে পাকিস্তানের এনএসএ পদটি শূন্য ছিল। সে সময় মঈদ ইউসুফ এনএসএ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ