সাকিব আল হাসানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
Published: 19th, January 2025 GMT
চেক ডিজঅনার মামলায় আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য ও ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানসহ চারজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
সাকিব আল হাসান ও অন্য তিনজন আজ আদালতে হাজির না হওয়ায় এই আদেশ দেন ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম মো. জিয়াউর রহমান।
আইএফআইসি ব্যাংকের রিলেশনশিপ অফিসার শাহিবুর রহমান এই মামলা দায়ের করেন।
গত বছরের ১৫ ডিসেম্বর ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুল হকের আদালতে আইএফআইসি ব্যাংকের রিলেশনশিপ অফিসার শাহিবুর রহমান বাদী হয়ে সাকিবসহ ৪ জনকে আসামি করে মামলা করেন।
এর প্রেক্ষিতে গত বছরের ১৮ ডিসেম্বর ঢাকার আরেকটি আদালত আসামিদের আজকে হাজির হওয়ার জন্য সমন জারি করেছিলেন।
মামলার অপর আসামিরা হলেন, সাকিব আল হাসান অ্যাগ্রো ফার্ম লিমিটেডের এমডি গাজী শাহাগীর হোসাইন, প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক ইমদাদুল হক ও মালাইকা বেগম। এর মধ্যে আসামি ইমদাদুল হক ও মালাইকা বেগম আদালতে হাজিরা দেন। অপর আসামিরা আদালতে হাজির না হওয়ায় আদালত তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
মামলার নথি অনুযায়ী, সাকিব আল হাসানের মালিকানাধীন অ্যাগ্রো ফার্ম ব্যবসার জন্য বিভিন্ন সময় আইএফআইসি ব্যাংকের বনানী শাখা থেকে ঋণ নেয়। এর বিপরীতে সাকিবের মালিকানাধীন কোম্পানি দুটি চেক ইস্যু করে। পরে, চেক দুটি অপর্যাপ্ত তহবিলের কারণে তা ডিজঅনার হয়। দুটি চেকের মোট টাকার পরিমাণ প্রায় ৪ কোটি ১৪ লাখ টাকা।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: স ক ব আল হ স ন আওয় ম ল গ গ র প ত র পর য় ন স ক ব আল হ স ন
এছাড়াও পড়ুন:
বিএনপি নেতাকে মারধর: খুলনা সদর থানার সাবেক ওসি কারাগারে
খুলনা মহানগর বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ফখরুল আলমের করা মামলায় সদর থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান আল মামুনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
রোববার আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন হাসান আল মামুন। খুলনা মহানগর দায়রা জজ মো. শরীফ হোসেন হায়দার তার জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এদিকে আদালত চত্বরে থাকা বিএনপি নেতাকর্মীরা মামুনকে লক্ষ্য করে ডিম ও পচা আম নিক্ষেপ করেন। তার শাস্তির দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেন তারা। পরে নেতাকর্মীদের সরিয়ে দেন সেনা সদস্যরা।
মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) এ কে এম শহিদুল আলম বলেন, মামলাটিতে উচ্চ আদালতের জামিনে ছিলেন হাসান আল মামুন। উচ্চ আদালতের নির্দেশে রোববার খুলনা মহানগর দায়রা জজ আদালতে তিনি আত্মসমর্পণ করেন। এ সময় তার আইনজীবীরা জামিনের আবেদন করেন। আমরা জামিনের বিরোধিতা করি। আদালত জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ২০২২ সালের ৫ জানুয়ারি কে ডি ঘোষ রোডের দলীয় কার্যালয়ের সামনে বিএনপির সমাবেশে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। এ সময় তৎকালীন ওসি মামুন নিজেই
ফখরুল আলমকে বেদম মারধর করেন। লাঠির আঘাতে ফখরুল আলমের একটি চোখ নষ্ট হয়ে যায়। এ ঘটনায় ২০২৪ সালের ১৯ আগস্ট মামুনের বিরুদ্ধে নির্যাতন ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে আদালতে মামলা করেন ফখরুল।