সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারছেন না রাশমিকা
Published: 28th, January 2025 GMT
২০২৪-এর জুন মাসে শুরু হয়েছিল দক্ষিণী অভিনেত্রী রাশমিকা মান্দানা ও সালমানের ‘সিকান্দার’ সিনেমার শুটিং। শুটিং চলার কিছু দিন পরে সালমান পাঁজরে চোট পাওয়ার কারণে বন্ধ ছিল কাজ। সালমানের বাড়িতে গুলি চলার কারণেও শুটিং বন্ধ ছিল। এবার রাশমিকার পায়ের আঘাতে ফের স্থগিত শুটিং।
শুটিং তো বন্ধ আছেই। রাশমিকা মান্দানা বাতিল করেছেন সিনেমার প্রচার, স্থগিত হয়েছে একাধিক অনুষ্ঠান। পায়ের চোট বড্ড ভোগাচ্ছে দক্ষিণী এই অভিনেত্রীকে। অবস্থার উন্নতিও হয়নি। রাশমিকা জানিয়েছেন, পায়ের ব্যথায় ঠিকমতো দাঁড়াতেই পারছেন না।
তবে অসুস্থতা সত্ত্বেও বসে নেই রাশমিকা। অভিনয় করতে না পারলেও সিনেমার প্রচারে সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছেন। মুম্বাইয়ে একটি সিনেমার ট্রেলার মুক্তির দিনে অভিনেত্রী কিছু ছবি ইনস্টাগ্রামে প্রকাশ করেছেন। সেখানে দাবি করেন, একদমই ভালো নেই তিনি।
ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, রাশমিকা হুইলচেয়ারে বসেই তৈরি হচ্ছিলেন। পরে তার সহ-অভিনেতা ভিকি কৌশল তাকে মঞ্চে উঠতে সাহায্য করেন। সেসব ছবিই পরে ইনস্টাগ্রামে দিয়েছেন রাশমিকা।
ছবির ক্যাপশনে তিনি লেখেন, ‘আমায় খুব সুন্দর করে সাজিয়েছেন সবাই। কিন্তু, একেবারেই বাহ্যিক। পায়ের ভেতরে তিনটি ফ্র্যাকচার। যার জন্য যন্ত্রণায় পেশি ছিঁড়ে যাচ্ছে। আমি দুই সপ্তাহ পা নামাতে পারিনি। সত্যিই সোজা হয়ে নিজের পায়ে দাঁড়ানোটা খুব মিস করি।’
কদিন ধরে পায়ের যন্ত্রণায় অস্থির রাশমিকা ভক্ত-সমর্থকের উদ্দেশ্যে একটি মেসেজও দিয়েছেন, ‘দয়া করে আপনারা নিজেদের শরীরের যত্ন নিন। শরীরকে অবহেলা করবেন না।’
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
কাশ্মীর নিয়ে পাকিস্তান সেনাপ্রধান আসিম মুনিরের মন্তব্যে ভারতে ক্ষোভ, কী বলেছেন তিনি
পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনির সাধারণত আলোচনার কেন্দ্রে আসেন না। তবে সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে খবরের শিরোনাম হয়ে উঠেছেন তিনি—শুধু পাকিস্তানে নয়, সীমানা পেরিয়ে ভারত ও বিশ্বের বিভিন্ন কূটনৈতিক কেন্দ্রেও।
ভারতনিয়ন্ত্রিত জম্মু ও কাশ্মীরের জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্র পেহেলগামে গত ২২ এপ্রিল বন্দুকধারীদের হামলায় ২৬ জন নিহত হন। এর কয়েক দিন আগে কাশ্মীর নিয়ে কিছু মন্তব্য করেন আসিম মুনির। তাঁর এসব মন্তব্য পাকিস্তান সেনাবাহিনীর অবস্থান ও আঞ্চলিক উত্তেজনায় তাদের ভূমিকা নিয়ে নতুন করে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।
ভারত ও পাকিস্তান উভয়ই কাশ্মীরকে পুরোপুরি নিজেদের বলে দাবি করে। কিন্তু তারা এটির একেক অংশ শাসন করে। ১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর থেকে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনার কেন্দ্রে রয়েছে এ ভূখণ্ড।
জেনারেল মুনিরের বক্তব্য যদিও প্রত্যক্ষভাবে পেহেলগামের হামলার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নয়, তবু তাঁর বক্তব্য বিশ্লেষণ করে এটিকে বেশি আগ্রাসী মনোভাবের হিসেবে দেখা হচ্ছে।
সেনাপ্রধান হিসেবে জেনারেল আসিম মুনিরকে বর্তমানে পাকিস্তানের সবচেয়ে ক্ষমতাধর ব্যক্তি হিসেবে ধরা হয়। দেশটির রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ, সরকারকে ক্ষমতায় বসানো ও অপসারণে দীর্ঘদিন ধরে সেনাবাহিনী নানা ভূমিকা রাখছে বলে অভিযোগ করা হয়ে থাকে। এখন ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা বেড়ে যাওয়ায় পারমাণবিক অস্ত্রের অধিকারী প্রতিবেশী এ দুই দেশে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠছেন তিনি।
ইসলামাবাদে গত ১৭ এপ্রিল প্রবাসীদের সঙ্গে একটি বৈঠকে আসিম মুনির বলেন, ‘আমরা প্রতিটি ক্ষেত্রে হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ থেকে আলাদা।’ কাশ্মীরকে পাকিস্তানের ‘জীবন সঞ্চারণী শিরা’ উল্লেখ করে তিনি অঙ্গীকার করেন, ‘ভারতের দখলদারত্বের বিরুদ্ধে কাশ্মীরিদের বিরোচিত লড়াইকে পাকিস্তান কখনো পরিত্যাগ করবে না।’২০২২ সালের নভেম্বরে সেনাপ্রধানের দায়িত্ব নেন জেনারেল মুনির। দায়িত্ব গ্রহণের পর তাঁকে প্রকাশ্যে তেমন কথা বলতে শোনা যায়নি। তবে তাঁর একটি বক্তব্য ব্যাপকভাবে মনোযোগ কেড়েছে।
আরও পড়ুনভারতে অনলাইনে ছড়ানো হচ্ছে মুসলিমবিদ্বেষী গান, কনটেন্ট২৯ এপ্রিল ২০২৫ইসলামাবাদে গত ১৭ এপ্রিল প্রবাসীদের সঙ্গে একটি বৈঠকে আসিম মুনির বলেন, ‘আমরা প্রতিটি ক্ষেত্রে হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ থেকে আলাদা।’ কাশ্মীরকে পাকিস্তানের ‘জীবন সঞ্চারণী শিরা’ উল্লেখ করে তিনি অঙ্গীকার করেন, ‘ভারতের দখলদারত্বের বিরুদ্ধে কাশ্মীরিদের বিরোচিত লড়াইকে পাকিস্তান কখনো পরিত্যাগ করবে না।’
জেনারেল মুনিরের এ বক্তব্যের সঙ্গে পেহেলগামে হামলার কোনো সংশ্লিষ্টতা না থাকতে পারে। কেননা পাকিস্তানের নেতারা অনেক বছর ধরেই এমন ধরনের আদর্শিক বক্তব্য–বিবৃতি দিয়ে আসছেন।
ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে হামলার স্থলে ছড়িয়ে আছে চেয়ার–টেবিল