প্লে-অফে উঠতে হলে শেষ দুই ম্যাচে জয় ছাড়া কোনো বিকল্প ছিল না খুলনা টাইগার্সের সামনে। রংপুর রাইডার্সকে হারানোর পর মেহেদী হাসান মিরাজের ব্যাটে চড়ে এবার  ঢাকা ক্যাপিটালকে হারিয়ে প্লে-অফ নিশ্চিত করেছে  খুলনা। তাদের জয়ে অপেক্ষায় থাকা দুর্বার রাজশাহীও বাদ পড়ে গেলো। 

শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) মিরপুর শের-ই-বাংলায় টস জিতে ব্যাটিং করতে নেমে ৯ উইকেটে মাত্র ১২৩ রান করে ঢাকা। তাড়া করতে নেমে ১৯ বল হাতে রেখে ৬ উইকেটে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে মিরাজের দল।  

এই জয়ে ১২ ম্যাচে খুলনার পয়েন্ট হয় ১২। সমান ম্যাচে রাজশাহীরও একই পয়েন্ট ছিল। তবে রানরেটে এগিয়ে থাকায় প্লে-অফের দরজা খুলে যায় খুলনার জন্য।

আরো পড়ুন:

ফিক্সিংয়ের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা, আমি বিব্রত, কষ্ট পাচ্ছি: বিজয় 

ফিক্সিংয়ের সংবাদ নিয়ে মিথুন 
আমার সম্মান নিয়ে কেউ খেলবে, এটা কখনো ছাড় দেই না

মেহেদী হাসান মিরাজ ৭৪ রানে অপরাজিত থেকে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন। তিনি ৫৫ বলে চারটি ছয় ও পাঁচটি ছয়ের মারে এই রান করে। বিপিএলে মিরাজের এটি দ্বিতীয় ফিফটি। বিপিএলে মিরাজের সর্বমোট রান ৩৪১। সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের তালিকায় আছেন সপ্তম স্থানে।  তার সঙ্গে মোহাম্মদ নাওয়াজ ৬ রানে অপরাজিত ছিলেন। 

অথচ শুরুতেই ধাক্কা খায় খুলনা। আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান নাঈম শেখ ফেরেন শূন্য রানে। তিনে নেমে নাঈমের মতো শূন্য রানে ফেরেন আফিফ হোসেন ধ্রুবও। এরপর অ্যালেক্স রসকে নিয়ে হাল ধরেন মিরাজ। রস ২২ রানে ফিরলে ভাঙে ৬৮ রানের জুটি।

রসের পর মিরাজের সঙ্গী হন বোসিস্টো।  দুজনের ব্যাটে জয়ের পথে ছিল খুলনা। জয়ের কাছে গিয়ে ১৮ রানে ফেরেন বোসিস্টো। ঢাকার হয়ে সর্বোচ্চ তিন উইকেট নেন মোস্তাফিজুর রহমান। 

এর আগে তানজীদ হাসানের ফিফটিতে ভর করে ১২৪ রানের লক্ষ্য দিতে পারে ঢাকা। ৭টি ছয়ের মারে ৩৭ বলে এই রান করেন তানজীদ। তিনি ছাড়া ঢাকার কোনো ব্যাটার সুবিধা করতে পারেননি। এ ছাড়া সাব্বির রহমান ২০ ও ১৩ রান করেন মেহেদী হাসান রানা। খুলনার হয়ে সর্বোচ্চ ২ উইকেট করে নেন উইলিয়াম বোসিস্টো ও হাসান মাহমুদ।

ঢাকা/রিয়াদ/নাভিদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব প এল র ন কর উইক ট

এছাড়াও পড়ুন:

রূপগঞ্জে টেক্সটাইল কারখানায় গ্যাসের মিটার বিস্ফোরণে চারজন দগ্ধ

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে একটি টেক্সটাইল কারখানায় গ্যাসের মিটার বিস্ফোরণ থেকে অগ্নিকাণ্ডে চার নিরাপত্তা প্রহরী দগ্ধ হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে তিনজনের শ্বাসনালি পুড়ে গেছে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার রূপসী কাজীপাড়া এলাকার জৈনপুরী আশরাফিয়া টেক্সটাইল কারখানায় (মঞ্জু টেক্সটাইল) এ ঘটনা ঘটে।

নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ আল আরেফিন এসব তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, মে দিবসের কারণে কারখানার উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ। এ জন্য লাইনে গ্যাসের উচ্চ চাপ সৃষ্টি হয়ে মিটারে বিস্ফোরণ হয়। সেখান থেকে আগুন ধরে চারজন নিরাপত্তা প্রহরী দগ্ধ হয়েছেন। ফায়ার সার্ভিস পৌঁছানোর আগেই কারখানার লোকজন ও স্থানীয় লোকজন মিলে আগুন নিভিয়ে ফেলেন।

এ ঘটনায় দগ্ধ আবদুল হান্নান (৫০), কবির হোসেন (৪৫) ও সাইফুল ইসলামকে (২৫) রাজধানীর জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। দগ্ধ অন্যজনের নাম জানা যায়নি। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

হাসপাতালের আবাসিক সার্জন শাওন বিন রহমান প্রথম আলোকে বলেন, বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধ চারজনকে হাসপাতালে আনা হয়। আঘাত গুরুতর না হওয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে একজনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বাকি তিনজনের শরীরের ৩৪ থেকে ৫৩ শতাংশ পুড়ে গেছে। তাঁদের শ্বাসনালি পুড়ে যাওয়ায় অবস্থা আশঙ্কাজনক।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন বলেন, রাতের ডিউটি (দায়িত্ব) শেষে সকাল আটটার দিকে শ্রমিকেরা কারখানা ছেড়ে চলে যান। এর কিছুক্ষণ পর তিতাস গ্যাস সংযোগের আরএমএস কক্ষে বিকট শব্দে একটি দেয়াল ধসে পড়ে এবং আগুন ধরে যায়। তখনই চারজন দগ্ধ হন। পরে কারখানার লোকজন ও স্থানীয় লোকজন মিলে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।

ঘটনাটি ‘অনাকাঙ্ক্ষিত’ দাবি করে কারখানার মালিক মঞ্জুরুল হক ভূঁইয়া বলেন, ঘটনার পর আপাতত কারখানা বন্ধ রাখা হয়েছে। শ্রমিকদের সব চিকিৎসার ব্যয় কারখানা থেকে বহন করা হবে। তাঁদের প্রয়োজনীয় ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।

রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিয়াকত আলী প্রথম আলোকে বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেছে। দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত এ ঘটনায় কোনো মামলা হয়নি। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ