রুপালি জগতের ঝলমলে আলোর অন্তরালে লুকিয়ে আছে আঁধার। এই অঙ্গনে কাজ করতে গিয়ে অনেক তারকা অভিনেত্রী কুপ্রস্তাব পেয়েছেন। ভারতীয় বাংলা সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেত্রী অঞ্জনা বসুও তার ব্যতিক্রম নন। তিক্ত সেই অভিজ্ঞতা ভক্তদের জন্য ভাগ করে নিয়েছেন।

ভারতীয় একটি গণমাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন অঞ্জন বসু। এ আলাপচারিতায় একটি ঘটনা বর্ণনা করেন। ‘বধূবরণ’ তারকা বলেন, “রামকৃষ্ণ ও সারদা সিরিয়ালে যখন সুযোগ পাই, কাজ পাকা হওয়ার পর ধারাবাহিকটির নির্বাহী প্রযোজক আমাকে ফোন করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, তার সঙ্গে রাত না কাটালে আমি নাকি সেই ধারাবাহিক থেকে বাদ পড়ব।”

এরপর অঞ্জনা প্রযোজককে সাফ জানিয়ে দেন, এটা পারবেন না। প্রয়োজনে তারা তাকে বাদ দিতে পারেন। যদিও তেমন কিছু ঘটেনি। কারণ সেই ধারাবাহিকের জন্য অঞ্জনাকে নির্বাচন করেছিলেন পরিচালক। যদিও আতঙ্কে থাকতেন এই অভিনেত্রী।

আরো পড়ুন:

চলচ্চিত্রে পা রাখছেন শাশ্বত কন্যা

অরিন্দমের বিরুদ্ধে স্ত্রীর গুরুতর অভিযোগ

এই প্রস্তাব পাওয়ার ভীষণ কষ্ট পেয়েছিলেন অঞ্জনা। তার মতে, “ফোনে জবাব দেওয়ার পর সারারাত ছেলেকে জড়িয়ে ধরে কেঁদেছিলাম। ওই লোকটার ভয়ে গ্রিনরুমে সারাক্ষণ দরজা বন্ধ করে থাকতাম। ওর কোনো কাজ আমি করিনি। তবে অনেক পরে কারো সঙ্গে রাত না কাটিয়েও যে টলিউডে কাজ করা যায়, তা বোঝাতে ওর একটি বিজ্ঞাপনে দ্বিগুণ টাকা নিয়ে কাজ করেছিলাম।”

পরে বিজ্ঞাপনের পারিশ্রমিকের টাকা বিছানায় বিছিয়ে তার ওপরে ঘুমিয়েছিলেন অঞ্জনা। কারণ এর মাধ্যমে অতীতের দুঃসহ সেই স্মৃতি ভুলতে চেয়েছিলেন এই অভিনেত্রী।

অসংখ্য টিভি সিরিয়ালে যেমন অভিনয় করেছেন, তেমনি ভারতীয় বাংলা সিনেমায়ও তার সরব উপস্থিতি। প্রযোজক ছাড়াও এক পরিচালক অঞ্জনাকে কুপ্রস্তাব দিয়েছিলেন। সেই ঘটনাও বর্ণনা করেছেন ‘বাই বাই ব্যাংকক’ তারকা।

অঞ্জনা বসু বলেন, “এক নামি পরিচালক তার বয়স এখন অনেক। তিনি তার সিনেমায় আমাকে নিতে চেয়েছিলেন। এরপর তার অফিসে গিয়ে, তাকে সঙ্গ দিতে বলেন। জানিয়েছিলেন সেই সময়ের অনেক নামি অভিনেত্রীরা নাকি তাকে সঙ্গ দেন। কিন্তু আমি সাফ জানিয়ে দিই যাব না। তাতে আমাকে বাদও দিতে পারেন। কাজ পেতে কখনো আপোস করিনি।”

অঞ্জনা বসু অভিনীত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র হলো— ‘যারা বৃষ্টিতে ভিজেছিল’, ‘ছ-এ ছুটি’, ‘বাই বাই ব্যাংকক’, ‘ল্যাপটপ’, ‘ব্যোকেশ ফিরে এলো’, ‘আবার বসন্ত’, ‘কিসমিস’ প্রভৃতি।

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র

এছাড়াও পড়ুন:

চার দিনের জ্বরে ভুগে মারা গেল কিশোর

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড পৌর সদরের ফকিরহাট এলাকায় আশরাফুর রহমান (১৪) নামের এক কিশোর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে। গত শুক্রবার সে জ্বরে আক্রান্ত হয়। আজ মঙ্গলবার ভোর পাঁচটার দিকে পৌর সদরের জেনারেল হাসপাতাল থেকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে নেওয়ার পথে সে মারা যায়।

আশরাফুর রহমান ওই এলাকার মিজানুর রহমানের একমাত্র ছেলে। সে সীতাকুণ্ড আলিয়া মাদ্রাসার ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। চলতি বছরে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে সীতাকুণ্ডে এই প্রথম একজন মারা গেল।

আশরাফুর রহমানের দাদা এম এ আলীম আলী প্রথম আলোকে বলেন, গত শুক্রবার তাঁর নাতির জ্বর আসে। সামান্য ব্যথাও ছিল। জ্বর কমছে না দেখে রোববার সকালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান তাঁরা। সেখানে রক্ত পরীক্ষায় ডেঙ্গু ধরা পড়ে। এরপর আশরাফুরকে পৌর সদরের জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। গতকাল সোমবার রাতে তার অবস্থার অবনতি হয়। আজ ভোর পাঁচটার দিকে সে মারা যায়। দুপুরে মডেল মসজিদ এলাকায় জানাজার নামাজ শেষে ফকিরহাট নলুয়া দিঘি এলাকায় পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয় আশরাফকে।

জানতে চাইলে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আলতাফ হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, তিনি হাসপাতালের দায়িত্বগত চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেছেন। সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ওই কিশোর ভালো ছিল। আজ ভোর চারটার দিকে তার পাতলা পায়খানা ও খিঁচুনি হয়। এরপর তারা দ্রুত চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলেন। সেখানে নেওয়ার পথে কিশোরটি মারা যায়।

সীতাকুণ্ডে আজ এক দিনেই ৬ জনের শরীরে ডেঙ্গু ভাইরাস শনাক্ত হয় বলে জানান উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আলতাফ হোসেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • জুলাই অভ্যুত্থানের সময় ভিপিএনও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল
  • রূপ নয়, সাহস দিয়ে জয় করা এক নায়িকা
  • টানা দুই জয়ের পর এবার হার বাংলাদেশের যুবাদের
  • ভারতের অর্থনীতি মৃত, ট্রাম্প ঠিকই বলেছেন: রাহুল
  • হেনরির ৬ উইকেটের পর দুই ওপেনারে নিউজিল্যান্ডের দিন
  • অসুখবিসুখে কষ্ট পেয়ে, বিছানায় পড়ে বাঁচতে চাই না: ববিতা
  • নিশ্ছিদ্র দাপটে উরুগুয়েকে উড়িয়ে ফাইনালে ও অলিম্পিকে ব্রাজিল
  • যে জীবন মানুষের উপকারে আসে না, সে জীবন সার্থক নয়: ববিতা
  • প্রেমের টানে চীনা যুবকের বাংলাদেশে এসে বিয়ে
  • চার দিনের জ্বরে ভুগে মারা গেল কিশোর