শাহজাদপুরে ঋণের টাকা পরিশোধ করতে পাওয়ানাদারকে সরকারি খালের পাশে ৫০টি গাছ বিক্রি করে টাকা নিতে বলেন দাদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরি মো. সেলিম। পাওয়ানাদার হাজি রাসেল ব্যাপারী গাছগুলো আবু তালেবের কাছে ২ লাখ ৬০ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেন। ১৪টি গাছ কাটার পর এলাকাবাসীর বাধার মুখে চলে যান আবু তালেবের লোকজন।
জালালপুর ইউনিয়নের সৈয়দপুর গ্রামের সুজাবুল আলম ও তাঁর ভাই মো.
৫ আগস্টের পর থেকে সুজাবুল আলম পলাতক। তাঁর ভাই দপ্তরি সেলিমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। সাংবাদিকদের উপস্থিতি টের পেয়ে সটকে পড়েন তিনি।
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মুরাদ হোসেন জানান, তদন্তের জন্য সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তাকে পাঠানো হয়েছে। সত্যতা পেলে সেলিমের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
১৮টি গাছ বিক্রি করলেন প্রধান শিক্ষক অনুমতি না নিয়ে ১৮টি গাছ বিক্রি করলেন উল্লাপাড়ার ভাটবেড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দেলোয়ার হোসেন। বুধবার গাছ কাটার বিষয় জানতে পেরে উপজেলা প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা।
প্রধান শিক্ষক বলছেন, কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে গাছ কাটা হয়েছে। উপজেলা শিক্ষা অফিস বলছে, প্রধান শিক্ষক আবেদন করেছেন। তাঁকে এখনও অনুমতি দেওয়া হয়নি।
দুর্গানগর ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য ও ভাটবেড়া গ্রামের সাইদুল ইসলাম অভিযোগে জানান, প্রধান শিক্ষক কাউকে না জানিয়ে স্কুল চত্বরের ১৮টি ইউক্যালিপটাস গাছ দেড় লাখ টাকায় বিক্রি করে দিয়েছেন। বুধবার সকালে ক্রেতারা গাছগুলো কাটতে এলে তাদের বাধা দেওয়া হয়। ততক্ষণে কয়েকটি গাছ কাটা হয়ে গেছে। পরে প্রশাসন ও শিক্ষা অফিসে অভিযোগ দেওয়া হয়।
জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক দেলোয়ার হোসেন বলেন, বিদ্যালয়ের জন্য ওয়াশ ব্লক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। চত্বরের গাছগুলো বিক্রি করে সেটা বসানো হবে। শিক্ষা অফিসে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
এ বিষয়ে কথা বলতে শিক্ষা অফিসে যোগাযোগ করলে শিক্ষা কর্মকর্তা ছানোয়ার হোসেন জানান, প্রধান শিক্ষক গাছ বিক্রির অনুমতি চেয়ে আবেদন করেছেন। আবেদনটি জেলা শিক্ষা অফিসের মাধ্যমে পাবনা বন বিভাগের কাছে পাঠানো হয়েছে। এখনও অনুমতি পাওয়া যায়নি। এর আগে গাছ কেটে ফেলা অবৈধ। এ বিষয়ে তদন্ত করা হবে। সত্যতা পেলে তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কেটে ফেলা গাছগুলো মাঠে সংরক্ষণ করা হয়েছে। অনুমতি পাওয়ার পর এগুলো নিলামে বিক্রি হবে।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হারুনর রশিদ জানান, গাছ প্রতিষ্ঠানের সম্পদ। প্রয়োজন হলে কাটতে হবে। তার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হবে। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: উল ল প ড় কর মকর ত র জন য সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
নেহাল ফেরায় কাবিলার জন্য ভালো নাকি মন্দ হলো, কী বলছেন পলাশ
আসল নামটাই যেন তাঁর বদলে গেছে। ভক্তদের কাছে তিনি সাত বছর ধরে ‘কাবিলা’ নামে পরিচিত। যেখানেই যান, সবাই কাবিলা বলেই সম্বোধন করে। অনেক সময় এই অভিনেতার জিয়াউল হক পলাশ নামটিই আড়ালে পড়ে যায়। তবে পর্দার নামটিও তাঁর কাছে গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়। এটাকে দর্শকদের উপহার হিসেবে নেন ‘ব্যাচেলর পয়েন্টের’ এই কাবিলা খ্যাত অভিনেতা।
হাবু, পাশা, রোকেয়া, বোরহান চরিত্রের মধ্যে আলাদা করে সাড়া জাগিয়েছেন কাবিলা। এই ধারাবাহিক পলাশকে জনপ্রিয়তা দেওয়ার অন্যতম কারণ তাঁর ভাষা নোয়াখালী অঞ্চলের। একই সঙ্গে গল্পে ব্যাচেলরদের জীবনের নানান চিত্র তুলে ধরার কারণে, এটি দর্শক পছন্দ করেন। সিরিজগুলোতে আলাদা করে আসে পলাশের চরিত্রের পরিসর, যা দর্শক বেশির ভাগ সময়ই গ্রহণ করেন। তারপরও এই অভিনেতাকে তেমন কোনো ধারাবাহিকে দেখা যায় না। এর কারণ কী?
অভিনেতা পলাশ। ছবি: ফেসবুক থেকে