ধোনি কি অবসর নেবেন, গিলক্রিস্ট–পোলকরা যা বলছেন
Published: 1st, May 2025 GMT
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ছবি ভাইরাল হয়েছে। আইপিএলে গতকাল পাঞ্জাব কিংসের কাছে চেন্নাই সুপার কিংস ৪ উইকেটে হারের পর ছবিটি তোলা হয়েছে। এমএ চিদাম্বরম স্টেডিয়ামে মাঠের এক কোণে চেন্নাইয়ের মালিকপক্ষের সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ কথা বলেন ফ্র্যাঞ্চাইজিটির অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি। তখন ছবিটি তোলা হয়।
পাঞ্জাবের কাছে হেরে চেন্নাই আইপিএলের প্লে–অফে ওঠার দৌড় থেকে ছিটকে পড়ার পর অনেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছবিটি শেয়ার করে বলছেন, চিদাম্বরমে এটাই হয়তো ধোনির শেষ ম্যাচ।
আরও পড়ুনসূর্যবংশীর প্রসঙ্গ উঠতেই বোল্ট বললেন, ‘আমি গেইল, ডি ভিলিয়ার্সকেও বল করেছি’৪২ মিনিট আগেযদিও টসের সময় নিজের অবসর নিয়ে কিছুই পরিষ্কার করে বলেননি ধোনি। ধারাভাষ্যকার ড্যানি মরিসন তাঁর কাছে জানতে চেয়েছিলেন, চেন্নাইয়ের হয়ে আগামী মৌসুমে তিনি খেলবেন কি না? ধোনির মজার উত্তর, ‘পরের ম্যাচে আসব কি না আমি জানি না।’
প্লে–অফে ওঠার দৌড় থেকে ছিটকে পড়লেও এবার ঘরের মাঠে আরও একটি ম্যাচ খেলবে চেন্নাই। ১২ মে চিদাম্বরমে তাদের প্রতিপক্ষ রাজস্থান রয়্যালস। কিন্তু আগামী মৌসুম? ২০২৬ আইপিএলের সময় ধোনি ৪৫–এ পা রাখবেন। তত দিন পর্যন্ত কি তিনি খেলবেন? উত্তর ধোনি ছাড়া কেউ জানেন না।
এবারের আইপিএল শুরুর আগে অবসর প্রসঙ্গে ধোনি বলেছিলেন, ‘যে কয় বছর বাকি আছে, যতটুকু খেলতে পারি, আমি ক্রিকেটটা উপভোগ করতে চাই।’ তখন ধোনি এই ইঙ্গিতও দিয়েছিলেন, ২০২৬ আইপিএলে খেলা না–খেলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে তাঁর হাতে আরও ১০ মাস সময় আছে।
আরও পড়ুন২০২৫ সালের মিরাজে যেভাবে ফিরল ১৯৮৪৭ ঘণ্টা আগেকিন্তু চেন্নাই প্লে–অফে উঠতে ব্যর্থ হওয়ার পর বেশির ভাগ সাবেক ক্রিকেটারের চাওয়া ধোনির এবার অবসর নেওয়াই ভালো। দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক পেসার শন পোলক ক্রিকবাজের আলোচনা অনুষ্ঠানে যেমন বলেছেন, ‘তার আর কিছুই অর্জনের বাকি নেই। ব্যাপারটা নির্ভর করছে, সে কী চায় তার ওপর। ফ্র্যাঞ্চাইজিটিতে তার যে লিগ্যাসি ও প্রভাব, সেটার ওপর নির্ভর করে তাকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে। সেটা কি পাল্টাবে? মালিকপক্ষ কি তার সঙ্গে কথা বলবে? আমরা জানি না। আমরা অনেক দিন ধরেই এ বিষয়ে অনুমান করার চেষ্টা করছি। তবে আগামী বছর তাকে এখানে (আইপিএল) দেখলে খুব বিস্মিত হব।’
ক্রিকজবাজের অনুষ্ঠানে একই প্যানেলে ছিলেন অস্ট্রেলিয়ান কিংবদন্তি অ্যাডাম গিলক্রিস্ট। ধোনিকে নিয়ে তাঁর ভাষ্য, ‘তার কারও কাছে কোনো কিছু প্রমাণের নেই। সে সবকিছুই জিতেছে। সে–ই জানে কী করতে চায়। আমি বলছি ভবিষ্যতের কথা। তার সম্ভাবত আগামী বছর সেখানে (আইপিএল) থাকার প্রয়োজন নেই। এমএস, আমি তোমাকে ভালোবাসি। একজন চ্যাম্পিয়ন। একজন আইকন।’
ভারতের সাবেক ক্রিকেটার মোহাম্মদ কাইফও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্টে ধোনিকে নিয়ে লিখেছেন, ‘এটাই কি ধোনির শেষ মৌসুম? সিএসকের মৌসুম যেভাবে কাটছে, পরিবর্তনের এটাই কি (সঠিক) সময়?’
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
২১ কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করলো বিএসইসি
গত ৫ মার্চ চেয়ারম্যান ও কমিশনারদের অবরুদ্ধ করে হেনস্তা করার অভিযোগে নিজ সংস্থার ২১ কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে শেয়ার বাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। একইসঙ্গে এ ঘটনায় দুইজন কর্মকর্তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার বিএসইসির জরুরি কমিশন সভায় এ কর্মকর্তাদের সাময়িক বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত হয়। আজ বুধবার সকালে কাজে যোগ দেওয়ার পর সাময়িক দরখাস্তের আদেশ হাতে পেয়েছেন তারা।
বিএসইসির সংশ্লিষ্ট সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
সাময়িক বরখাস্ত কর্মকর্তাদের মধ্যে রয়েছেন- বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক রেজাউল করিম (৫৪), পরিচালক আবু রায়হান মো. মোহতাছিন বিল্লা (৫১), অতিরিক্ত পরিচালক নজরুল ইসলাম (৫০), যুগ্মপরিচালক রাশেদুল ইসলাম (৪৮), উপপরিচালক বনী ইয়ামিন (৪৫), উপপরিচালক আল ইসলাম (৩৮), উপপরিচালক শহিদুল ইসলাম (৪২), উপপরিচালক তৌহিদুল ইসলাম (৩২), সহকারী পরিচালক জনি হোসেন (৩১), সহকারী পরিচালক রায়হান কবীর (৩০), সহকারী পরিচালক সাজ্জাদ হোসেন, সহকারী পরিচালক আবদুল বাতেন (৩২), লাইব্রেরিয়ান মো. সেলিম রেজা বাপ্পী (৩১) এবং ব্যক্তিগত কর্মকর্তা আবু ইউসুফকে (২৯)।
মামলার আসামিদের বাইরে আরো যে ৬ জনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে, তারা হলেন- পরিচালক আবুল হাসান, পরিচালক ফখরুল ইসলাম মজুমদার, অতিরিক্ত পরিচালক মিরাজ উস সুন্নাহ, উপ-পরিচালক নানু ভূঁইয়া, সরকারি পরিচালক আমিনুর রহমান খান এবং সহকারী পরিচালক তরিকুল ইসলাম।
যে দুই কর্মকর্তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে, তারা হলেন- মাকসুদা মিলা, সহকারী পরিচালক (রেজিস্ট্রেশন) এবং কাউসার পাশা বৃষ্টি, ব্যক্তিগত কর্মকর্তা।
বরখাস্তের আদেশে হিসেবে গত ৫ মার্চ শেয়ারবাজার তদন্ত কমিটির চারটি প্রতিবেদনের বিষয় সিদ্ধান্ত গ্রহণের সময় বৈঠককালে কমিশনের অনুমতি ছাড়াই সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জোরপূর্বক প্রবেশ করে চেয়ারম্যান ও কমিশনারদের হেনস্তা এবং ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছেন বলে অভিযোগ আনা হয়েছে।
সাময়িক বরখাস্ত মিরাজ উস সুন্নাহর বিরুদ্ধে জোরপূর্বক কমিশন সভায় ঢুকে চেয়ারম্যান ও কমিশনারদের অভিযোগ আনা হলেও ওই সভায় চেয়ারম্যান ও কমিশনারদের সঙ্গে আগে থেকেই উপস্থিত ছিলেন।
এ ঘটনায় আগেই (গত ৬ মার্চ) ১৬ জনের বিরুদ্ধে বিএসইসি চেয়ারম্যানের গানম্যান মো. আশিকুর রহমান বাদী হয়ে শেরে বাংলা নগর থানায় মামলাটি করেছিলেন। এ মামলায় চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট থেকে জামিনে আছেন তারা।
মামলার ১৬ আসামির মধ্যে নির্বাহী পরিচালক সাইফুর রহমানকে এরই মধ্যে বাধ্যতামূলক অবসর দেওয়া হয়েছে। আরেকজন নির্বাহী পরিচালক মাহবুবুল আলম স্বেচ্ছায় অবসরে যাওয়ার আবেদন করেছেন।
ওই মামলার আসামিদের বাইরে আরো ছয়জনকে ঘটনার সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগ এনে বরখাস্ত করা হয়েছে।