মানুষের শখের শেষ নেই। ডাকটিকিট, দুর্লভ বই, প্রাচীন আসবাব বা পুরোনো মডেলের টেলিফোন বা মুঠোফোন সংগ্রহ করে অনেকে নাম কুড়িয়েছেন। চামচ সংগ্রহের প্রথাটিও বেশ আলোচিত। যুক্তরাষ্ট্রের আইওয়া অঙ্গরাজ্যের ক্যামি পোল নামের এক নারী দাবি করেছেন, তাঁর সংগ্রহে নানা ধরনের ৩৮ হাজার ১৬২টি চামচ রয়েছে। তাঁর দাবি সত্যি হলে তিনি শিগগিরই গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস ভেঙে ফেলছেন।

গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের তথ্যমতে, বর্তমানে বিশ্বে সর্বোচ্চ সংখ্যক চামচ আছে অস্ট্রেলিয়ার ডেস ওয়ারেন নামের এক ব্যক্তির। তাঁর চামচের সংখ্যা ৩০ হাজার। রেকর্ডটি গিনেসে নথিভুক্ত হয়েছিল ১৯৯০ সালে। ওয়ারেন পরে নিজের চামচের সংগ্রহ বাড়িয়েছিলেন কি না, তা জানা যায়নি।

আইওয়া অঙ্গরাজ্যের বাসিন্দা ক্যামি পোল মিসিসিপি স্পুন গ্যালারির মালিক। সম্প্রতি তিনি নিজের সংগ্রহের চামচগুলো গণনা করিয়েছেন। এ জন্য নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল ২০ জনের বেশি স্বেচ্ছাসেবক। চামচগুলো গুনতে তাঁদের প্রায় পাঁচ ঘণ্টা সময় লেগেছে।

পোল বলেন, তাঁর সংগ্রহ শুধু চা-চামচেই সীমাবদ্ধ নয়। তাঁর গ্যালারিতে লবণের চামচ, তেলের চামচ, গিলডেড যুগের চামচ ও শতাব্দীপ্রাচীন নানা রকম চামচ রয়েছে।

দাদা-দাদির কাছ থেকে পোল চামচ সংগ্রহের অনুপ্রেরণা পান। তাঁর দাদা-দাদি চা পার্টিতে যেতেন। সেখান থেকে তাঁরা চামচ নিয়ে আসতেন। কোনো কোনো সময় ছোট্ট পোলকেও চা পার্টিতে নিয়ে যেতেন তাঁর দাদা-দাদি। মৃত্যুর আগে তাঁর দাদি তাঁকে ১২৭টি চামচ উপহার দিয়েছিলেন। তখন থেকেই চামচ সংগ্রহের প্রতি তাঁর আগ্রহ তৈরি হয়।

আইওয়ায় একটি জাদুঘরও গড়ে তুলেছেন ক্যামি পোল। এই জাদুঘর গড়ে তোলা সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘চামচ সংগ্রহ একটি চমৎকার কাজ। এর সৌন্দর্য ও ইতিহাস তুলে ধরতে আমি এই জাদুঘর গড়ে তুলেছি। সাধারণ মানুষকে চামচের সৌন্দর্য সম্পর্কে সচেতন করাও এই জাদুঘরের অন্যতম উদ্দেশ্য।’

পোল স্থানীয় ডব্লিউকিউএডি টিভিকে বলেন, ‘অনেকে চামচকে শিল্প মনে করেন না। কিন্তু এগুলোর সূক্ষ্ম কারুকাজ দেখলেই বোঝা যায়, এগুলো কতটা সুন্দর। এই রেকর্ডটা আমার জন্য অনেক কিছু; কারণ, এটা প্রমাণ করে এগুলো কেবল চামচ নয়, এগুলো শিল্পও বটে। আমি সেই শিল্পে বিশ্ব রেকর্ড গড়েছি!’

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র কর ড

এছাড়াও পড়ুন:

৩৮ হাজারের বেশি চামচ তাঁর সংগ্রহে

মানুষের শখের শেষ নেই। ডাকটিকিট, দুর্লভ বই, প্রাচীন আসবাব বা পুরোনো মডেলের টেলিফোন বা মুঠোফোন সংগ্রহ করে অনেকে নাম কুড়িয়েছেন। চামচ সংগ্রহের প্রথাটিও বেশ আলোচিত। যুক্তরাষ্ট্রের আইওয়া অঙ্গরাজ্যের ক্যামি পোল নামের এক নারী দাবি করেছেন, তাঁর সংগ্রহে নানা ধরনের ৩৮ হাজার ১৬২টি চামচ রয়েছে। তাঁর দাবি সত্যি হলে তিনি শিগগিরই গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস ভেঙে ফেলছেন।

গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের তথ্যমতে, বর্তমানে বিশ্বে সর্বোচ্চ সংখ্যক চামচ আছে অস্ট্রেলিয়ার ডেস ওয়ারেন নামের এক ব্যক্তির। তাঁর চামচের সংখ্যা ৩০ হাজার। রেকর্ডটি গিনেসে নথিভুক্ত হয়েছিল ১৯৯০ সালে। ওয়ারেন পরে নিজের চামচের সংগ্রহ বাড়িয়েছিলেন কি না, তা জানা যায়নি।

আইওয়া অঙ্গরাজ্যের বাসিন্দা ক্যামি পোল মিসিসিপি স্পুন গ্যালারির মালিক। সম্প্রতি তিনি নিজের সংগ্রহের চামচগুলো গণনা করিয়েছেন। এ জন্য নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল ২০ জনের বেশি স্বেচ্ছাসেবক। চামচগুলো গুনতে তাঁদের প্রায় পাঁচ ঘণ্টা সময় লেগেছে।

পোল বলেন, তাঁর সংগ্রহ শুধু চা-চামচেই সীমাবদ্ধ নয়। তাঁর গ্যালারিতে লবণের চামচ, তেলের চামচ, গিলডেড যুগের চামচ ও শতাব্দীপ্রাচীন নানা রকম চামচ রয়েছে।

দাদা-দাদির কাছ থেকে পোল চামচ সংগ্রহের অনুপ্রেরণা পান। তাঁর দাদা-দাদি চা পার্টিতে যেতেন। সেখান থেকে তাঁরা চামচ নিয়ে আসতেন। কোনো কোনো সময় ছোট্ট পোলকেও চা পার্টিতে নিয়ে যেতেন তাঁর দাদা-দাদি। মৃত্যুর আগে তাঁর দাদি তাঁকে ১২৭টি চামচ উপহার দিয়েছিলেন। তখন থেকেই চামচ সংগ্রহের প্রতি তাঁর আগ্রহ তৈরি হয়।

আইওয়ায় একটি জাদুঘরও গড়ে তুলেছেন ক্যামি পোল। এই জাদুঘর গড়ে তোলা সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘চামচ সংগ্রহ একটি চমৎকার কাজ। এর সৌন্দর্য ও ইতিহাস তুলে ধরতে আমি এই জাদুঘর গড়ে তুলেছি। সাধারণ মানুষকে চামচের সৌন্দর্য সম্পর্কে সচেতন করাও এই জাদুঘরের অন্যতম উদ্দেশ্য।’

পোল স্থানীয় ডব্লিউকিউএডি টিভিকে বলেন, ‘অনেকে চামচকে শিল্প মনে করেন না। কিন্তু এগুলোর সূক্ষ্ম কারুকাজ দেখলেই বোঝা যায়, এগুলো কতটা সুন্দর। এই রেকর্ডটা আমার জন্য অনেক কিছু; কারণ, এটা প্রমাণ করে এগুলো কেবল চামচ নয়, এগুলো শিল্পও বটে। আমি সেই শিল্পে বিশ্ব রেকর্ড গড়েছি!’

সম্পর্কিত নিবন্ধ