কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার লিচুর গ্রাম হিসেবে খ্যাত মঙ্গলবাড়িয়ায় এবার ফলটির বাম্পার ফলন হয়েছে। উপজেলার কৃষি বিভাগ জানায়, পাঁচ হাজারের বেশি লিচুগাছ থেকে এবার প্রায় ১০ কোটি টাকা বিক্রি হতে পারে।

স্থানীয় চাষিরা বলছেন, চলতি মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় লিচুর বাম্পার ফলন হয়েছে। আগামী সপ্তাহের মধ্যেই বাজারে পাওয়া যেতে পারে ফলটি।

গ্রামের প্রবীণ ব্যক্তি আবদুর রহমান, মজিবুর রহমানসহ কয়েকজন জানান, তাঁরা প্রবীণদের কাছে শুনেছেন, মঙ্গলবাড়িয়া গ্রামের এক ব্যক্তি চীনে গিয়েছিলেন। ১৮০২ সালের দিকে সেখান থেকে ফেরার সময় দুটি লিচুর চারা দেশে এনেছিলেন তিনি। এগুলো রোপণ করা হয়েছিল মঙ্গলবাড়িয়ায়। সেই থেকে গ্রামটিতে লিচু চাষের শুরু। তাই স্থানীয় লোকজনের দাবি, গ্রামটিতে লিচু চাষের ২২৩ বছরের ঐতিহ্য আছে।

স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে জানা গেছে, প্রায় তিন বর্গকিলোমিটারের মঙ্গলবাড়িয়া গ্রামের প্রতিটি বাড়ির উঠান বা সামনের অংশ, পুকুরপাড়, খেতের আলসহ ফাঁকা জায়গায় লিচুগাছ লাগানো হয়েছে। দাম কিছুটা বেশি হলেও অন্য এলাকার লিচুর চেয়ে এই এলাকার লিচুর চাহিদা বেশি। গ্রামটিতে উৎপাদিত লিচুতে একধরনের মিষ্টি ঘ্রাণ আছে। বিচি ছোট হওয়ায় শাঁসের পরিমাণও বেশি। আর আকারেও বড়। এ ছাড়া এ লিচুর নজরকাড়া গোলাপি রং সহজেই ক্রেতাদের আকর্ষণ করে।

তবে দূরদুরান্ত থেকে আসা ক্রেতারা অভিযোগ করেছেন, মঙ্গলবাড়িয়ার লিচু দেশে ‘ব্র্যান্ড’ হয়ে যাওয়ায় দাম তুলনামূলক বেশি রাখা হয়। শুধু তা–ই নয়, অন্য জায়গা থেকে লিচু এনে সেগুলো মঙ্গলবাড়িয়ার বলে চালিয়ে দেন বিক্রেতারা।

চলতি মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় লিচুর বাম্পার ফলন হয়েছে.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

‘২০০ বছর ধরে’ লিচুর আবাদ হচ্ছে মঙ্গলবাড়িয়ায়, এবারও গাছে গাছে ঝুলছে টসটসে লিচু

কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার লিচুর গ্রাম হিসেবে খ্যাত মঙ্গলবাড়িয়ায় এবার ফলটির বাম্পার ফলন হয়েছে। উপজেলার কৃষি বিভাগ জানায়, পাঁচ হাজারের বেশি লিচুগাছ থেকে এবার প্রায় ১০ কোটি টাকা বিক্রি হতে পারে।

স্থানীয় চাষিরা বলছেন, চলতি মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় লিচুর বাম্পার ফলন হয়েছে। আগামী সপ্তাহের মধ্যেই বাজারে পাওয়া যেতে পারে ফলটি।

গ্রামের প্রবীণ ব্যক্তি আবদুর রহমান, মজিবুর রহমানসহ কয়েকজন জানান, তাঁরা প্রবীণদের কাছে শুনেছেন, মঙ্গলবাড়িয়া গ্রামের এক ব্যক্তি চীনে গিয়েছিলেন। ১৮০২ সালের দিকে সেখান থেকে ফেরার সময় দুটি লিচুর চারা দেশে এনেছিলেন তিনি। এগুলো রোপণ করা হয়েছিল মঙ্গলবাড়িয়ায়। সেই থেকে গ্রামটিতে লিচু চাষের শুরু। তাই স্থানীয় লোকজনের দাবি, গ্রামটিতে লিচু চাষের ২২৩ বছরের ঐতিহ্য আছে।

স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে জানা গেছে, প্রায় তিন বর্গকিলোমিটারের মঙ্গলবাড়িয়া গ্রামের প্রতিটি বাড়ির উঠান বা সামনের অংশ, পুকুরপাড়, খেতের আলসহ ফাঁকা জায়গায় লিচুগাছ লাগানো হয়েছে। দাম কিছুটা বেশি হলেও অন্য এলাকার লিচুর চেয়ে এই এলাকার লিচুর চাহিদা বেশি। গ্রামটিতে উৎপাদিত লিচুতে একধরনের মিষ্টি ঘ্রাণ আছে। বিচি ছোট হওয়ায় শাঁসের পরিমাণও বেশি। আর আকারেও বড়। এ ছাড়া এ লিচুর নজরকাড়া গোলাপি রং সহজেই ক্রেতাদের আকর্ষণ করে।

তবে দূরদুরান্ত থেকে আসা ক্রেতারা অভিযোগ করেছেন, মঙ্গলবাড়িয়ার লিচু দেশে ‘ব্র্যান্ড’ হয়ে যাওয়ায় দাম তুলনামূলক বেশি রাখা হয়। শুধু তা–ই নয়, অন্য জায়গা থেকে লিচু এনে সেগুলো মঙ্গলবাড়িয়ার বলে চালিয়ে দেন বিক্রেতারা।

চলতি মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় লিচুর বাম্পার ফলন হয়েছে

সম্পর্কিত নিবন্ধ