স্মার্টফোন ক্যামেরায় ভালো ছবি তুলবেন যেভাবে
Published: 1st, May 2025 GMT
স্মার্টফোনের ক্যামেরা এখন এতটাই উন্নত হয়েছে যে মানসম্মত ছবি তুলতে আলাদা করে দামি ক্যামেরা কিংবা বাড়তি সরঞ্জামের প্রয়োজন হয় না। সঠিক সেটিংস ও সুবিধা ব্যবহার করে স্মার্টফোন দিয়েই তোলা সম্ভব চমৎকার সব ছবি। তবে কয়েকটি বিষয় খেয়াল রাখলে ক্যামেরার পারফরম্যান্স আরও বাড়ানো যায়। স্মার্টফোনে ভালো ছবি তুলতে কীভাবে ক্যামেরার সক্ষমতা বাড়ানো যায়, তা দেখে নেওয়া যাক।
যন্ত্রের সুবিধা কাজে লাগানো
বর্তমানে বাজারের বেশির ভাগ স্মার্টফোনে নাইট মোড, পোর্ট্রেট মোড এবং এইচডিআর মোডের মতো সুবিধা দেওয়া থাকে। ছবি তোলার সময় আলো ও পরিবেশের অবস্থা বুঝে এসব সুবিধা ব্যবহার করলে ছবির মান অনেকটাই উন্নত হয়। দিনের আলোয় কিংবা রাতের অল্প আলোয় সঠিক মোড নির্বাচন করলে ছবি স্পষ্ট হয় এবং প্রাণবন্ত রং বজায় থাকে।
আলোর ওপর গুরুত্ব দেওয়া
ফটোগ্রাফির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হলো আলো। প্রাকৃতিক আলোয় তোলা ছবি প্রাণবন্ত ও উজ্জ্বল হয়। বিশেষ করে সূর্যোদয়ের পর ও সূর্যাস্তের আগের সময় ছবির জন্য আদর্শ বলে বিবেচিত। এ সময়ের নরম আলোয় বিষয়বস্তু পরিষ্কারভাবে ফুটে ওঠে এবং ছবিতে উষ্ণ টোন পাওয়া যায়। এর ফলে আলাদা কোনো অতিরিক্ত সরঞ্জামের প্রয়োজন পড়ে না।
ভিন্ন অ্যাঙ্গেল
সাধারণ দৃশ্যেও ভিন্নতা আনতে দৃষ্টিকোণের পরিবর্তন জরুরি। ছবি তোলার সময় একাধিক কোণ থেকে শট নেওয়ার চেষ্টা করতে হবে। নিচ থেকে, পাশ থেকে বা ওপর থেকে তোলা ভিন্ন ভিন্ন কোণ ছবিতে নতুন মাত্রা যোগ করে। এতে ছবির গঠনশৈলী আরও আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে।
ক্যামেরার সেটিংস ঠিক করা
অনেক স্মার্টফোন ক্যামেরায় আইএসও, ফোকাস ও এক্সপোজার ম্যানুয়ালি নিয়ন্ত্রণের সুবিধা দেওয়া থাকে। ছবি তোলার আগে এগুলো ঠিকমতো সমন্বয় করলে ছবির সূক্ষ্ম বিষয়গুলোও আরও স্পষ্ট হয়ে ওঠে। রং হয় নিখুঁত, ঝাপসা ভাব কমে আসে।
লেন্স পরিষ্কার রাখা
ক্যামেরার লেন্সে ধুলাবালু জমে থাকলে ছবির মান খারাপ হতে পারে। ছবি তোলার আগে লেন্স পরিষ্কার রাখা জরুরি। নরম মাইক্রোফাইবার কাপড় দিয়ে নিয়মিত লেন্স মুছে নিতে হবে। এতে লেন্সের ওপর থাকা ধুলা বা দাগ দূর হবে এবং ছবির স্বচ্ছতা বজায় থাকবে।
সূত্র: টেকলুসিভ
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
রাইজিংবিডিতে সংবাদ প্রকাশ: ডেরা রিসোর্টের লাইসেন্স বাতিল
মানিকগঞ্জের ঘিওরের বালিয়াখোড়ায় অবস্থিত ডেরা রিসোর্ট এন্ড স্পা সেন্টারের নানা অনিয়ম নিয়ে রাইজিংবিডিতে ‘কবরস্থানে হরিণের খামারসহ নানা অনিয়মের আখড়া ডেরা রিসোর্ট’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশের পর প্রতিষ্ঠানটির লাইসেন্স বাতিল করেছে বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়। একইসঙ্গে ডেরা রিসোর্টে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করতে মানিকগঞ্জের জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সহকারী নিয়ন্ত্রক (সিনিয়র সহকারী সচিব) শেখ রাশেদুজ্জামান স্বাক্ষরিত এক নির্দেশনা পত্রে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
জানা গেছে, ডেরা রিসোর্ট এন্ড স্পা সেন্টার ২০২২ সালের ১৮ ডিসেম্বর লাইসেন্স প্রাপ্তির আবেদন করেন। নানা অনিয়মের কারণে তাদের লাইসেন্স নামঞ্জুর করা হয়েছে। রিসোর্টের লাইসেন্স না থাকায় প্রশাসনকে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
২০২৫ সালের ১৪ জানুয়ারি ‘ফসলি জমি দখল করে ডেরা রিসোর্ট নির্মাণ, বিপাকে কৃষক’; ১৯ মার্চ ‘ছাড়পত্র ছাড়াই চলছে ডেরা রিসোর্ট, তদন্ত কমিটি গঠন’ শিরোনামে দুটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে রাইজিংবিডি। গত ১৩ সেপ্টেম্বর ‘কবরস্থানে হরিণের খামারসহ নানা অনিয়মের আখড়া ডেরা রিসোর্ট’ শিরোনামে প্রতিবেদনটি প্রকাশের পর বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয় ডেরার লাইসেন্স নামঞ্জুর করে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন।
সুশাসনের জন্য নাগরিক মানিকগঞ্জ জেলা কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ইন্তাজ উদ্দিন বলেন, “অনলাইন নিউজ পোর্টাল রাইজিংবিডিতে ডেরা রিসোর্ট নিয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনগুলোতে সাধারণ মানুষের ক্ষোভ ও ভোগান্তি তুলে ধরা হয়েছে। প্রতিবেদক অনুসন্ধান করে ডেরা রিসোর্টের নানা অনিয়ম তুলে এনেছেন। প্রতিবেদন প্রকাশের পর প্রশাসন লাইসেন্স বাতিল করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছে এটি ভালো উদ্যোগ। তবে এসব নির্দেশনা কাগজে কলমের মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে বাস্তবায়ন করাটাই বড় কাজ। নির্দেশনা বাস্তবায়ন হলে সুশাসন নিশ্চিত হবে।”
মানিকগঞ্জের জেলা প্রশাসক ড. মানোয়ার হোসেন মোল্লা বলেন, “মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনার কপি পেয়েছি। সে অনুযায়ী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
ডেরা রিসোর্ট এন্ড স্পা সেন্টারের ব্যবস্থাপক ওমর ফারুক বলেন, “লাইসেন্সের বিষয়ে কোন নোটিশ এখনও পাইনি আমরা। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার বিষয়েও জানা নেই। যদি লাইসেন্স বাতিল করে থাকে, তাহলে আমরা আইনিভাবে বিষয়টি সমাধান করব।”
এ বিষয়ে জানতে বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সকালে এশিউর গ্রুপের অঙ্গসংগঠন ডেরা রিসোর্ট এন্ড স্পা সেন্টারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শেখ সাদীর মোবাইলে ফোন করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
ঢাকা/চন্দন/এস