আগ বাড়িয়ে উসকানিমূলক পদক্ষেপ নেবে না পাকিস্তান: ইসহাক দার
Published: 1st, May 2025 GMT
কাশ্মীরে সন্ত্রাসী হামলা ঘিরে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যে পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার বলেছেন, আগ বাড়িয়ে উসকানিমূলক কোনো পদক্ষেপ নেবে না ইসলামাবাদ। তবে, উসকানি দেওয়া হলে, তার কঠোর জবাব দেওয়া হবে।
বুধবার ইসলামাবাদে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ইসহাক দার এ কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনে পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র শাফকাত আলী খানও উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা পাকিস্তানের অভ্যন্তরে সন্ত্রাসবাদে ভারতের মদদ দেওয়ার অভিযোগ তোলেন।
আরও পড়ুনপাকিস্তানের উড়োজাহাজের জন্য আকাশসীমা বন্ধ করল ভারত৩ ঘণ্টা আগেইসহাক দার অভিযোগ করে বলেন, পেহেলগাম হামলার পরিপ্রেক্ষিতে ‘ভারতের তৈরি করা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং অত্যন্ত উসকানিমূলক পরিবেশের’ কারণে পুরো অঞ্চলের শান্তি ও স্থিতিশীলতা গুরুতর হুমকির মুখে পড়েছে।
পাকিস্তানের এই বলেন, ‘গত কয়েক দিন ধরে বিশ্ব নেতারা সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানিয়ে আসছেন। আমি সরকার এবং জাতির পক্ষ থেকে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছি, পাকিস্তান প্রথমে কোনো উসকানিমূলক পদক্ষেপ নেবে না। তবে, যদি ভারত থেকে কোনো উসকানিমূলক পদক্ষেপ নেওয়া হয়, তাহলে আমরা কঠোরভাবে জবাব দেব।’
আরও পড়ুনআকাশসীমায় নজরদারি বাড়িয়েছে পাকিস্তান৩ ঘণ্টা আগেআইএসপিআরের মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী বলেন, যেখানে হামলা হয়েছে সেখান থেকে পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত আজাদ জম্মু ও কাশ্মীরের সবচেয়ে কাছের বাঘ শহর অনেক দূরে অবস্থিত। এর অর্থ হলো ভারতের অভিযোগ ভিত্তিহীন।
সামরিক বাহিনীর এই কর্মকর্তা বলেন, ‘অভিযোগ অনুযায়ী পাকিস্তানভিত্তিক তথাকথিত সন্ত্রাসীরা এই ঘটনা ঘটিয়েছে। কিন্তু আমাদের বুঝতে হবে, ঘটনাস্থলটি (ভারত-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের) অনেক গভীরে অবস্থিত। আপনি যদি ওই এলাকার ভৌগোলিক পরিস্থিতি দেখেন, তাহলে বুঝতে পারবেন এটা গভীর পাহাড়ি এলাকা। এটা এমন এলাকা, যেখানে সব ধরনের আবহাওয়ায় চলাচলের উপযোগী পাকা রাস্তা নেই।’
আরও পড়ুনপাকিস্তানের পাল্টা পদক্ষেপে নিয়ন্ত্রণরেখার কাছ থেকে পিছু হটল ভারতের রাফায়েল যুদ্ধবিমান, দাবি ইসলামাবাদের৯ ঘণ্টা আগে.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ইসহ ক দ র পদক ষ প ন
এছাড়াও পড়ুন:
ডিজিটাল খাতে বাজেটের প্রভাব কেমন
২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট প্রতিক্রিয়ায় ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (আইএসপিএবি) সভাপতি আমিনুল হাকিম বলেন, বাজেট গতানুগতিক। দেশের ইন্টারনেট খাতের জন্য বিশেষ কিছু নেই। মাঝারি ও ছোট আইএসপিদের জন্য বাজেটে তেমন কোনো সুখবর নেই। আগে যা ছিল, এখনও তা-ই আছে। ছোট ও মাঝারি ব্যবসায়ী যারা আছেন, তারা শতভাগ দেশি উদ্যোক্তা। তবে করপোরেট গ্রাহকের জন্য ইন্টারনেট সেবা দেয়, তারা
কিছুটা সুবিচার পেতে পারেন।
কারণ, সব ধরনের করপোরেট প্রতিষ্ঠান অ্যাডভান্স ইনকাম ট্যাক্স (এআইটি) কেটে রেখে বিল পরিশোধ করে। এআইটি ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করায় স্বল্প সংখ্যক আইএসপি কিছুটা সুবিচার পেতে পারে। সরকার ইন্টারনেটের দাম কমাতে চায়। কিন্তু ভ্যাট, ট্যাক্সে হাত দেবে না; ইকুইপমেন্টের মধ্যেও হাত দেবে না। ফলে কোনো লাভ হবে না। ভ্যাট, ট্যাক্সে হাত না দিলে ইন্টারনেটের দাম কমবে না।
শাওমি বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার জিয়াউদ্দিন চৌধুরী বাজেট প্রসঙ্গে বলেন, আমি মনে করি, ভোক্তা পর্যায়ে স্মার্টফোন খাতে তেমন কোনো প্রভাব পড়বে না। উৎপাদন পর্যায়ে মোবাইল হ্যান্ডসেট নির্মাতার লাভের পরিমাণ কিছুটা কমে যেতে পারে। তবে সেটিও খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ নয়। ইতোমধ্যে বেশির ভাগ মোবাইল হ্যান্ডসেট প্রস্তুতকারক প্রায় ৩০ শতাংশ মূল্য সংযোজন করে এবং ভোক্তা পর্যায়ে পৌঁছাতে এত বেশি ব্যয় হয় না। ধারণা করছি, ব্যবসায়িক পর্যায়েও এর কোনো উল্লেখযোগ্য প্রভাব পড়বে না।
২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে ওভার দ্য টপ প্ল্যাটফর্ম (ওটিটি) পরিষেবায় আরোপ করা হয়েছে ১০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক। এতে চরকি, নেটফ্লিক, বঙ্গ ছাড়াও কয়েকটি ওটিটিতে সিনেমা ও সিরিজ ছাড়াও ভালো মানের কনটেন্ট দেখতে দর্শকের ব্যয় বাড়বে। বর্তমানে ১৫ শতাংশ ভ্যাট ও ২ শতাংশ অগ্রিম আয়কর দিতে হয়।
সংশ্লিষ্ট অনেকে মনে করছেন, ওটিটি পরিষেবার ওপর ১০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপের প্রস্তাব দূরদৃষ্টিহীন সিদ্ধান্ত। দেশের উদীয়মান ডিজিটাল অর্থনীতি ও উদ্ভাবনী শিল্পের বিকাশ ব্যাহত করবে। সিদ্ধান্তটি একদিকে যেমন দর্শকের ব্যয় বাড়াবে, অন্যদিকে ডিজিটাল বাংলাদেশের অগ্রযাত্রায় বড় ধরনের বাধা হবে। সরকারের উচিত, দ্রুত সিদ্ধান্তটি পুনর্বিবেচনা করা এবং ডিজিটাল অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে সহায়ক নীতিমালা গ্রহণ করা।