কাশ্মীরে সন্ত্রাসী হামলা ঘিরে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যে পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার বলেছেন, আগ বাড়িয়ে উসকানিমূলক কোনো পদক্ষেপ নেবে না ইসলামাবাদ। তবে, উসকানি দেওয়া হলে, তার কঠোর জবাব দেওয়া হবে।

বুধবার ইসলামাবাদে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ইসহাক দার এ কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনে পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র শাফকাত আলী খানও উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা পাকিস্তানের অভ্যন্তরে সন্ত্রাসবাদে ভারতের মদদ দেওয়ার অভিযোগ তোলেন।

আরও পড়ুনপাকিস্তানের উড়োজাহাজের জন্য আকাশসীমা বন্ধ করল ভারত৩ ঘণ্টা আগে

ইসহাক দার অভিযোগ করে বলেন, পেহেলগাম হামলার পরিপ্রেক্ষিতে ‘ভারতের তৈরি করা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং অত্যন্ত উসকানিমূলক পরিবেশের’ কারণে পুরো অঞ্চলের শান্তি ও স্থিতিশীলতা গুরুতর হুমকির মুখে পড়েছে।

পাকিস্তানের এই বলেন, ‘গত কয়েক দিন ধরে বিশ্ব নেতারা সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানিয়ে আসছেন। আমি সরকার এবং জাতির পক্ষ থেকে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছি, পাকিস্তান প্রথমে কোনো উসকানিমূলক পদক্ষেপ নেবে না। তবে, যদি ভারত থেকে কোনো উসকানিমূলক পদক্ষেপ নেওয়া হয়, তাহলে আমরা কঠোরভাবে জবাব দেব।’

আরও পড়ুনআকাশসীমায় নজরদারি বাড়িয়েছে পাকিস্তান৩ ঘণ্টা আগে

আইএসপিআরের মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী বলেন, যেখানে হামলা হয়েছে সেখান থেকে পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত আজাদ জম্মু ও কাশ্মীরের সবচেয়ে কাছের বাঘ শহর অনেক দূরে অবস্থিত। এর অর্থ হলো ভারতের অভিযোগ ভিত্তিহীন।

সামরিক বাহিনীর এই কর্মকর্তা বলেন, ‘অভিযোগ অনুযায়ী পাকিস্তানভিত্তিক তথাকথিত সন্ত্রাসীরা এই ঘটনা ঘটিয়েছে। কিন্তু আমাদের বুঝতে হবে, ঘটনাস্থলটি (ভারত-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের) অনেক গভীরে অবস্থিত। আপনি যদি ওই এলাকার ভৌগোলিক পরিস্থিতি দেখেন, তাহলে বুঝতে পারবেন এটা গভীর পাহাড়ি এলাকা। এটা এমন এলাকা, যেখানে সব ধরনের আবহাওয়ায় চলাচলের উপযোগী পাকা রাস্তা নেই।’

আরও পড়ুনপাকিস্তানের পাল্টা পদক্ষেপে নিয়ন্ত্রণরেখার কাছ থেকে পিছু হটল ভারতের রাফায়েল যুদ্ধবিমান, দাবি ইসলামাবাদের৯ ঘণ্টা আগে.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ইসহ ক দ র পদক ষ প ন

এছাড়াও পড়ুন:

পাকিস্তানে ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণে ৫ সেনা নিহত

পাকিস্তানের বেলুচিস্তান প্রদেশের কেচ জেলার শেরবান্দি এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনীর ক্লিয়ারেন্স অভিযান চলাকালে ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণে পাঁচজন সেনা সদস্য নিহত হয়েছেন। একই অভিযানে ‘ভারত-সমর্থিত’ পাঁচজন সন্ত্রাসীও নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)। খবর সামা টিভির।

আইএসপিআর এক বিবৃতিতে জানায়, শেরবান্দি এলাকায় সন্ত্রাসীদের আস্তানা ধ্বংসে নিরাপত্তা বাহিনী অভিযান চালাচ্ছিল। এ সময় একটি ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণে সেনাবাহিনীর গাড়ি আঘাতপ্রাপ্ত হয়, এতে পাঁচজন সেনা নিহত হন। 

আরো পড়ুন:

পাকিস্তানকে সহজেই হারিয়ে ‘সুপার ফোরে’ এক পা ভারতের

ব্যাটিং ব্যর্থতায় পাকিস্তানের মামুলি সংগ্রহ

নিহত সেনারা হলেন- ক্যাপ্টেন ওয়াকার আহমদ (লোরালাই), নায়েক আসমাতুল্লাহ (ডেরা গাজী খান), ল্যান্স নায়েক জুনায়েদ আহমদ (সুক্কুর), ল্যান্স নায়েক খান মোহাম্মদ (মারদান) এবং সিপাহী মোহাম্মদ জাহুর (সোয়াবি)।

আইএসপিআর বলেছে, পাকিস্তানের সাহসী অফিসার ও সেনাদের ত্যাগ দেশ থেকে সন্ত্রাস নির্মূলের দৃঢ় সংকল্পকে আরও শক্তিশালী করে।

এদিকে, সাম্প্রতিক সময়ে পাকিস্তানের বিভিন্ন অঞ্চলে নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে সহিংসতা বাড়ছে। শুধু গত এক সপ্তাহেই খাইবার পাখতুনখোয়ার বিভিন্ন অভিযানে অন্তত ১৯ জন সেনা নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে খাইবার পাখতুনখোয়ার লালকিলা মাইদান এলাকায় ‘ভারত সমর্থিত সন্ত্রাসী’দের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে সাতজন সেনা সদস্য নিহত হন।

পাকিস্তানি নিরাপত্তা বাহিনী জানিয়েছে, এসব অভিযানে তারা গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে এবং অপারেশন চলমান থাকবে।

ঢাকা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নুরুল হকের ওপর হামলার ঘটনায় জি এম কাদেরের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন
  • পাকিস্তানে ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণে ৫ সেনা নিহত