১.

বাংলাদেশের কয়টি স্থান ‘Ramsar Siites’–এর অন্তর্ভুক্ত?

ক. ২ টি

খ. ৩ টি

গ. ৪ টি

ঘ. ৫ টি

উত্তর: খ. ৩ টি

২.

ঢাকার বাইরে প্রথম মালবাহী বা কার্গো ফ্লাইট পরিচালনাকারী বিমানবন্দর—

ক. ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, সিলেট

খ. শাহ আমানত বিমানবন্দর, চট্টগ্রাম

গ. শাহ মখদুম বিমানবন্দর, রাজশাহী

ঘ. সৈয়দপুর বিমানবন্দর

উত্তর: ক.

ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, সিলেট

৩.

বাজারে প্রচলিত সারের তুলনায় প্রায় ৮২ শতাংশ পর্যন্ত ব্যয় সাশ্রয়ী ন্যানো ইউরিয়া উদ্ভাবন করেছেন—

ক. ড. ফ্রেডেরিক কেন্ডিরগি

খ. ড. হ্যারিসন ইউন

গ. ড. আবুল ফজল আখতারুজ্জামান

ঘ. ড. জাভেদ হোসেন খান

উত্তর: ঘ. ড. জাভেদ হোসেন খান

আরও পড়ুন৯ ব্যাংকের ৯৭৪ পদের প্রিলিমিনারি পরীক্ষার সময়সূচি প্রকাশ, দেখুন নির্দেশনা৩ ঘণ্টা আগে

৪.

জনপ্রিয় ই-কমার্স কোম্পানি পেপ্যাল (PayPal) কোন দেশে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল?

ক. যুক্তরাষ্ট্র

খ. জার্মানি

গ. ডেনমার্ক

ঘ. সুইডেন

উত্তর : ক. যুক্তরাষ্ট্র

৫.

১৯৬০ সালে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে স্বাক্ষরিত ‘সিন্ধু পানি চুক্তি’তে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করে কোন আন্তর্জাতিক সংস্থা?

ক. জাতিসংঘ

খ. বিশ্বব্যাংক

গ. খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (FAO)

ঘ. আন্তর্জাতিক আদালত

উত্তর: খ. বিশ্বব্যাংক

৬.

‘জন্মই আমার আজন্ম পাপ’—উক্তিটি কার?

ক. দাউদ হায়দার

খ. সৈয়দ শামসুল হক

গ. রফিক আজাদ

ঘ. হুমায়ুন আজাদ

উত্তর: ক. দাউদ হায়দার

৭.

বর্তমানে এশিয়ার বৃহত্তম অর্থনীতির দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান কততম?

ক. সপ্তম

খ. নবম

গ. দশম

ঘ. দ্বাদশ

উত্তর: খ. নবম

আরও পড়ুনবিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসে বিশাল নিয়োগ, পদ ৬৬২২৩ এপ্রিল ২০২৫

৮.

১৯৯১ সালে বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে আঘাত হানা প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড়ে মার্কিন সামরিক বাহিনীর ত্রাণ অভিযান কী নামে পরিচিত?

ক. অপারেশন ওমেগা

খ. ওভারল্যান্ড রিলিফ অপারেশন

গ. অপারেশন রিস্টোর হোপ

ঘ. অপারেশন সি অ্যাঞ্জেল

উত্তর: ঘ. অপারেশন সি অ্যাঞ্জেল

৯.

বাংলাদেশের একক বৃহত্তম দ্বিপক্ষীয় উন্নয়ন অংশীদার কোন দেশ?

ক. যুক্তরাষ্ট্র

খ. যুক্তরাজ্য

গ. জাপান

ঘ. চীন

উত্তর: গ. জাপান

১০.

প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের উদ্যোগে এক ঠিকানায় সব নাগরিক সেবা প্রদানের লক্ষ্যে কোন নতুন সেবা আউটলেট চালু করা হচ্ছে?

ক. নাগরিক সেবা বাংলাদেশ

খ. জনসেবা কেন্দ্র

গ. সরকারি হেল্প সেন্টার

ঘ. ডিজিটাল সার্ভিস হাব

উত্তর: ক. নাগরিক সেবা বাংলাদেশ (সংক্ষেপিত রূপ ‘নাগরিক সেবা’)

১১.

সম্প্রতি অনুষ্ঠিত কানাডার সাধারণ নির্বাচনে বিজয়ী দল—

ক. লিবারেল পার্টি

খ. কনজার্ভেটিভ পার্টি

গ. নিউ ডেমোক্রেটিক পার্টি

ঘ. গ্রীন পার্টি

উত্তর: ক. লিবারেল পার্টি (টানা চতুর্থবারের মতো জয়লাভ করেছে)

আরও পড়ুনসরকারি ব্যাংকে ষষ্ঠ-নবম-দশম গ্রেডে বড় নিয়োগ, পদ ৬০৮টি২৪ এপ্রিল ২০২৫

১২.

বিখ্যাত হে মার্কেট ট্র্যাজেডি কত সালে সংঘটিত হয়, যা পরবর্তী সময়ে মে দিবসের ভিত্তি স্থাপন করে?

ক. ১৮৫৮ সালে

খ. ১৮৮৬ সালে

গ. ১৮৯৬ সালে

ঘ. ১৯৩৪ সালে

উত্তর: খ. ১৮৮৬ সালে

১৩.

১৮৮৬ সালের মে দিবসের শ্রমিক আন্দোলনের প্রধান দাবি কী ছিল?

ক. বেতন বৃদ্ধি

খ. কর্মঘণ্টা হ্রাস

গ. ট্রেড ইউনিয়নের স্বীকৃতি

ঘ. শ্রমিকদের জন্য উন্নত আবাসন

উত্তর: খ. কর্মঘণ্টা হ্রাস

১৪.

বিশ্বব্যাংকের খাদ্য মূল্যস্ফীতির তালিকায় বাংলাদেশ টানা দুই বছর ধরে শ্রেণিতে রয়েছে?

ক. বেগুনি

খ. হলুদ

গ. লাল

ঘ. সবুজ

উত্তর: গ. লাল

১৫.

পোপ ফ্রান্সিস রোমান ক্যাথলিক চার্চের কততম পোপ ছিলেন?

ক. ১২৩তম

খ. ১৯৪তম

গ. ২২৪তম

ঘ. ২৬৬তম

উত্তর : ঘ. ২৬৬তম

আরও পড়ুনঅস্ট্রেলিয়া অ্যাওয়ার্ডস স্কলারশিপে আবেদনের সময় বৃদ্ধি, আইএলটিএসে ৬.৫ অথবা টোয়েফলে ৮৪ হলে আবেদন২ ঘণ্টা আগে

১৬.

সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৬৫৬০ ফুট গভীরে চীনের প্রস্তাবিত ‘ডিপ সি স্পেস স্টেশন’টি কোথায় নির্মিত হবে?

ক. পীত সাগর (Yellow Sea)

খ. পূর্ব চীন সাগর (East China Sea)

গ. দক্ষিণ চীন সাগর (South China Sea)

ঘ. বোহাই সাগর (Bohai Sea)

উত্তর : গ. দক্ষিণ চীন সাগর (South China Sea)

১৭.

অমীমাংসিত ভূখণ্ড ‘কালাপানি’ কোন দুটি দেশের মধ্যে অবস্থিত?

ক. নেপাল, চীন

খ. নেপাল, ভারত

গ. ভারত, চীন

ঘ. ভারত, পাকিস্তান

উত্তর: খ. নেপাল, ভারত

১৮.

‘পুটুনির দ্বীপ’ কোথায় অবস্থিত?

ক. টেকনাফের দক্ষিণে

খ. সুন্দরবনের দক্ষিণে

গ. পদ্মা নদীর মোহনায়

ঘ. পটুয়াখালী জেলায়

উত্তর: খ. সুন্দরবনের দক্ষিণে

১৯.

প্রতিবছর বিশ্ব ম্যালেরিয়া দিবস পালিত হয়—

ক. ১২ এপ্রিল

খ. ২৩ এপ্রিল

গ. ২৫ এপ্রিল

ঘ. ৩০ এপ্রিল

উত্তর: গ. ২৫ এপ্রিল

২০.

‘চেরনোবিল’ শহরটি বর্তমানে কোন দেশে অবস্থিত?

ক. রাশিয়া

খ. বেলারুশ

গ. সার্বিয়া

ঘ. ইউক্রেন

উত্তর: ঘ. ইউক্রেন

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: অবস থ

এছাড়াও পড়ুন:

বিদ্যুৎ খাতে সংঘবদ্ধ দুর্নীতি হয়েছে: পর্যালোচনা কমিটি

বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তির নামে বিদ্যুৎ কোম্পানিগুলো সরকারের কাছ থেকে বিদ্যুৎকেন্দ্রের ভাড়া বাবদ অর্থ নিয়েছে, যেখানে বিদ্যুৎ সরবরাহের চেয়ে দুর্নীতিই মুখ্য ছিল বলে অভিমত দিয়েছে সরকার গঠিত চুক্তি পর্যালোচনা কমিটি। তারা বলেছে, চুক্তিতে ব‍্যবসায়ীদের কোনো ঝুঁকি নেই, সব ঝুঁকি সরকারের। এটি সরকারের অদক্ষতাজনিত ব‍্যর্থতা নয়, দুর্নীতি জড়িত। তাই চুক্তি বাতিল করা সম্ভব।

বিদ্যুৎ খাতের চুক্তি পর্যালোচনা কমিটির তিন সদস্যের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে। তাঁরা বলেছেন, গত সরকারের দেড় দশকে বিদ্যুৎ উৎপাদন বেড়েছে চার গুণ, খরচ বেড়েছে ১১ গুণ। বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি আইনটি করাই হয়েছে দুর্নীতির জন্য। এখানে সংঘবদ্ধ দুর্নীতি হয়েছে। বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তিগুলো ভাড়া আদায়ের নিরাপদ বিনিয়োগ হিসেবে কাজ করেছে। বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো জ্বালানি আমদানি করেছে নিজেরা। এতেও দুর্নীতি হয়েছে।

তবে এখন এসব চুক্তি বাতিল করতে হলে অনুসন্ধান করে দুর্নীতির প্রমাণ খুঁজে বের করতে হবে বলে উল্লেখ করেছেন পর্যালোচনা কমিটির সদস্যরা। তাঁরা প্রথম আলোকে বলেন, তাঁদের প্রতিবেদন নিয়ে সরকারের দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তদন্ত করতে পারে। গত সরকারের সময় বিশেষ ক্ষমতা আইনে একের পর এক একতরফা চুক্তি করা হয়েছে। চুক্তিতে সব সুবিধা দেওয়া হয়েছে ব্যবসায়ী গোষ্ঠীকে, রাষ্ট্রের কথা চিন্তা করা হয়নি। একটি চুক্তি যেন আরেকটির প্রতিলিপি। সাবেক প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে শুরু করে বিদ্যুৎ সংস্থাগুলো এতে জড়িত ছিল। গ্যাস পাওয়া যাবে না, চুক্তি করা হোক—এমন সুপারিশও দেখা গেছে মন্ত্রণালয়ের সুপারিশে।

পর্যালোচনা কমিটির তিনজন সদস্যের সঙ্গে কথা বলেছে প্রথম আলো। নাম প্রকাশ না করার শর্তে তাঁরা বলেন, শুধু চুক্তি নয়, চুক্তির আগের পুরো প্রক্রিয়া যাচাই করে দেখা হয়েছে। এতে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সরাসরি হস্তক্ষেপের নমুনা পাওয়া গেছে। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বেও ছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী। সাবেক দুই বিদ্যুৎসচিব, যাঁরা পরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব হয়েছিলেন; তাঁদের সংশ্লিষ্টতা আছে সংঘবদ্ধ দুর্নীতিতে। এই দুজন হলেন আবুল কালাম আজাদ ও আহমদ কায়কাউস।

# চুক্তি পর্যালোচনা কমিটির অন্তর্বর্তী প্রতিবেদন
# দেড় দশকে বিদ্যুৎ উৎপাদন বেড়েছে চার গুণ, খরচ বেড়েছে ১১ গুণ
# ব্যবসায়ী, আমলা, সরকারের শীর্ষ পর্যায় মিলে সংঘবদ্ধ দুর্নীতি
# চুক্তি বাতিল সম্ভব, দুদকের তদন্ত করতে হবে
# আদানির চুক্তিতে অনিয়মের প্রমাণ পাওয়া গেছে

দায়মুক্তি আইন হিসেবে পরিচিত বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইনটি বাতিল করা হয় গত বছরের নভেম্বরে। এর আগেই এ আইনের অধীনে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে গত সরকারের করা চুক্তিগুলো পর্যালোচনায় গত বছরের ৫ সেপ্টেম্বর পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়।

কমিটির আহ্বায়ক হিসেবে আছেন হাইকোর্ট বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মঈনুল ইসলাম চৌধুরী। কমিটির বাকি সদস্যরা হলেন বুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক প্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ও সহ-উপাচার্য আবদুল হাসিব চৌধুরী, কেপিএমজি বাংলাদেশের সাবেক প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা (সিওও) আলী আশফাক, বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন, ইউনিভার্সিটি অব লন্ডনের ফ্যাকাল্টি অব ল অ্যান্ড সোশ্যাল সায়েন্সের অর্থনীতির অধ্যাপক মোশতাক হোসেন খান ও সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী শাহদীন মালিক।

জানুয়ারিতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন

আজ রোববার বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের কাছে একটি অন্তর্বর্তী প্রতিবেদন জমা দিয়েছে চুক্তি পর্যালোচনা কমিটি। আগামী জানুয়ারির মাঝামাঝি চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেবে তারা। এ ছাড়া ভারতের আদানি গ্রুপের বিদ্যুৎকেন্দ্রের সঙ্গে করা চুক্তির অনিয়ম নিয়েও একটি প্রতিবেদন জমা দিয়েছে তারা। প্রতিবেদন জমার পর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে একটি সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন কমিটির সদস্যরা।

সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, কারণ ছাড়া চুক্তি বাতিল করলে তার ক্ষতিপূরণের বিষয়টি চুক্তিতেই বলা আছে। তবে প্রতিটি চুক্তিতেই স্বীকারোক্তি থাকে যে এই চুক্তিতে কোনো দুর্নীতির আশ্রয় নেওয়া হয়নি। এটা যদি লঙ্ঘিত হয়, তাহলে চুক্তি বাতিল করা যায়। কিন্তু মুখের কথা তো আদালত মানতে চাইবেন না, সুনির্দিষ্ট প্রমাণ দিতে হবে আদালতে। কমিটির সহায়তায় চুক্তির অনিয়ম খুঁজে দেখা হচ্ছে। কারণ, খুঁজে পাওয়া গেলে চুক্তি বাতিলে দ্বিধা করা হবে না।

কমিটির আহ্বায়ক মঈনুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, চুক্তি কতটা বাতিল করা যাবে, তা ভবিষ্যৎ বলে দেবে। বিদ্যুৎ খাতের চুক্তিগুলো পুরোপুরি কারিগরি, তাই সময় লেগেছে পর্যালোচনায়। এতে ব্যাপক দুর্নীতি পাওয়া গেছে। আগামী জানুয়ারির মাঝামাঝি চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে কমিটির সদস্য জাহিদ হোসেন বলেন, চুক্তি–সম্পর্কিত নথি দেখা হয়েছে। পিডিবি থেকে পরিশোধ করা বিলের তথ্য নেওয়া হয়েছে। এগুলো বিশ্লেষণ করে দেখা হয়েছে, কী কী ধরনের অনিয়ম হয়েছে। ক্ষমতার কেন্দ্রীয়করণ ছিল, মন্ত্রণালয় সব সময় প্রধানমন্ত্রীর হাতে ছিল। বিদ্যুৎ খাতে যে পরিমাণ বিল পরিশোধ করা হয়েছে এবং এর বিপরীতে যে বিদ্যুৎ উৎপাদিত হয়েছে, এর হিসাব আইনস্টাইনও মেলাতে পারবেন না।

চুক্তি বাতিল করলে ক্ষতিপূরণের বিষয়ে জানতে চাইলে কমিটির সদস্য শাহদীন মালিক বলেন, যাঁরা ক্ষতিপূরণ দাবি করবেন, তাঁরা তাঁদের ক্ষতির হিসাব দেবেন। তাই ক্ষতিপূরণের বিষয়টা তো এ কমিটি বলতে পারবে না।

দুর্নীতির কারণে বেড়েছে বিদ্যুতের দাম

সংবাদ সম্মেলনে কমিটির সদস্য মোশতাক হোসেন খান বলেন, ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে। দুর্নীতির কারণে বিদ্যুতের দাম ২৫ শতাংশ বেশি হয়ে গেছে। ভর্তুকি না থাকলে ৪০ শতাংশ বেড়ে যেত। এ দামে ব্যবসা-বাণিজ্য টিকতে পারবে না। এটা কমাতে হবে। যারা টাকা নিয়ে চলে গেছে, তাদের বোঝাতে হবে, তারা পার পাবে না। তাড়াতাড়ি করলে ভুল হতে পারে, তাই সময় লেগেছে। তবে রাষ্ট্রের সঙ্গে কোম্পানির চুক্তিগুলো সার্বভৌম চুক্তি। চাইলেই এটা বাতিল করা যায় না। বড় জরিমানা দিতে হতে পারে।

আদানির বিদ্যুৎকেন্দ্রের সঙ্গে চুক্তি নিয়ে মোশতাক হোসেন বলেন, আদানির চুক্তির অনিয়ম-দুর্নীতি নিয়ে আদালতে রিট হয়েছে। আদালত প্রতিবেদন চেয়েছেন। মাসখানেকের মধ্যে শক্ত প্রমাণ সামনে আসবে। এসব প্রমাণ নিয়ে দেশে-বিদেশে আইনি প্রক্রিয়া নেওয়া যাবে।

পর্যালোচনা কমিটির সুপারিশে মূলত ভবিষ্যতে সুরক্ষা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। যাতে এ ধরনের চুক্তি না করা হয়। চুক্তির আগে স্বাধীন কমিশনের মাধ্যমে যাচাই করে দেখার কথা বলা হয়েছে। পর্যালোচনা কমিটির পরামর্শে গত ২১ জানুয়ারি করা হয় বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ট্যারিফ (বিদ্যুতের দাম) পর্যালোচনা কমিটি। এ কমিটির কাজ চলমান।

চুক্তি অনুসারে প্রতিটি বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ কিনে নেয় বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি)। প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম নির্ধারণে একটি সূত্র দেওয়া আছে চুক্তিতে। এ সূত্র অনুসারে দাম নির্ধারিত হয়। একেক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ক্ষেত্রে একেক দাম। সমঝোতার মাধ্যমে কাউকে কাউকে বিশেষ সুবিধা দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ আছে। দরপত্র ছাড়া বিশেষ বিধান আইনে এভাবে চুক্তি করার সুযোগ নিয়েছে গত আওয়ামী লীগ সরকার।

বিশেষ বিধান আইনটি করা হয় ২০১০ সালে। এরপর দফায় দফায় মেয়াদ বাড়ানো হয়। এই আইনের অধীনে নেওয়া কোনো সিদ্ধান্ত নিয়ে আদালতে প্রশ্ন তোলা যাবে না। এর কারণে এটি দায়মুক্তি আইন হিসেবে পরিচিত। এ আইনের অধীনে দরপত্র ছাড়া একটার পর একটা চুক্তি করেছিল গত সরকার।

সম্পর্কিত নিবন্ধ