শেষ মুহূর্তে সুযোগ পেয়েও গোল করতে ব্যর্থ ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। আর তার ক্লাব আল নাসরকে সেমিফাইনাল থেকেই বিদায় নিতে হলো এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে। জেদ্দায় কাওয়াসাকি ফ্রন্তালের কাছে ৩-২ ব্যবধানে হেরে স্বপ্নভঙ্গ হয়েছে সৌদি ক্লাবটির।

ম্যাচের শুরু থেকেই আধিপত্য বিস্তার করে খেলে আল নাসর। বল দখল ও আক্রমণে এগিয়ে থাকলেও গোলের সামনে গিয়ে বারবার ব্যর্থ হয় তারা। ১০ মিনিটেই দুর্দান্ত ভলিতে কাওয়াসাকিকে এগিয়ে দেন তাতসুয়ে। এরপর ২৮তম মিনিটে সাদিও মানের গোলে সমতা ফেরায় স্বাগতিকরা। ছয় মিনিট পর রোনালদোর হেড লাগে ক্রসবারে, অল্পের জন্য দলকে এগিয়ে নিতে পারেননি তিনি। প্রথমার্ধের শেষ দিকে ইউতো ওজেকির গোলে ফের এগিয়ে যায় জাপানি ক্লাবটি।

দ্বিতীয়ার্ধে ৭৬ মিনিটে আকিহিরোর গোলে ব্যবধান দাঁড়ায় ৩-১। নির্ধারিত সময়ের ঠিক তিন মিনিট আগে আইমান ইয়াহইয়ার দূরপাল্লার শটে এক গোল শোধ করলেও তা কেবল ব্যবধানই কমায়। ইনজুরি টাইমে খালি পোস্ট পেয়েও বল জালে পাঠাতে ব্যর্থ হন পাঁচবারের ব্যালন ডি’অরজয়ী তারকা। চোখেমুখে হতাশা নিয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি।

এই হারে বড় শিরোপার আশায় থাকা রোনালদোর অপেক্ষা আরও দীর্ঘ হলো। সৌদি প্রো লিগেও শিরোপা প্রায় হাতছাড়া—২৯ ম্যাচে ৬০ পয়েন্ট নিয়ে তারা আছে তৃতীয় স্থানে, শীর্ষে থাকা আল-ইত্তিহাদের চেয়ে ৮ পয়েন্ট পিছিয়ে।

২০২৩ সালে আরব ক্লাব চ্যাম্পিয়ন্স কাপ জিতলেও সেটি অফিসিয়ালি বড় শিরোপা নয়। ফলে আল নাসরের হয়ে এখনো বড় অর্জনের দেখা পাননি পাঁচবারের ব্যালন ডি’অর জয়ী এই পর্তুগিজ তারকা।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

রাজশাহীতে পুলিশ দেখে পালাতে গিয়ে সাবেক কাউন্সিলরের মৃত্যু

রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক এক কাউন্সিলরের মৃত্যু হয়েছে। পরিবার বলছে, পুলিশ দেখে পালাতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে তিনি মারা যান। তবে পুলিশ বলছে, তারা অন্য কাজে এলাকায় গিয়েছিল, ওই কাউন্সিলরকে ধরতে যায়নি। গতকাল বুধবার দিবাগত রাতে নগরের দাসপুকুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

মারা যাওয়া ওই কাউন্সিলরের নাম কামাল হোসেন (৫৫)। তিনি নগরের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর এবং দাসপুকুর এলাকার বাসিন্দা। একসময় বিএনপির রাজনীতি করতেন। পরে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন। তবে দলে তাঁর কোনো পদ–পদবি ছিল না।

গত ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর কামাল হোসেনের নামে চারটি মামলা হয়। তিনি এলাকায় থাকলেও গা ঢাকা দিয়ে থাকতেন। পরিবারের ধারণা, মামলা থাকায় পুলিশ দেখে ভয় পেয়ে কিংবা হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।

কামালের ছেলে সোহান শাকিল প্রথম আলোকে বলেন, ‘রাতে আমাদের এলাকায় পুলিশ এসেছিল। পুলিশ দেখে আমার বাবা তবজুল হক নামের এক ব্যক্তির বাড়িতে ঢুকে সিঁড়ি দিয়ে ছাদে উঠতে যান। তখন সিঁড়িতে অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং সেখানেই মারা যান।’

নগরের রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, ‘কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে চারটি মামলা আছে। তিনি আত্মগোপনে থাকতেন। শুনেছি রাতে তিনি মারা গেছেন।’

ওসি বলেন, রাতে দাসপুকুর এলাকায় পুলিশ গিয়েছিল। তবে কামালকে ধরতে যায়নি। পুলিশ গিয়েছিল অন্য কাজে। কিন্তু পুলিশ দেখে পালাচ্ছিলেন কামাল হোসেন। তখন হৃদ্‌রোগে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। লাশ পরিবারের কাছেই আছে। তারা দাফনের ব্যবস্থা করছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ