ঘরের মাঠেও হার, সেমি থেকে বিদায় মেসিদের
Published: 1st, May 2025 GMT
নিজেদের মাঠেও হার এড়াতে পারল না লিওনেল মেসির ইন্টার মায়ামি। কনকাকাফ চ্যাম্পিয়নস কাপের সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগে ঘরের মাঠে ৩-১ ব্যবধানে হেরে বিদায় নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ক্লাবটি। দুই লেগ মিলিয়ে ভ্যানকুভার এফসি এগিয়ে থাকে ৫-১ ব্যবধানে।
বৃহস্পতিবার চেইস স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয় সেমির ফিরতি পর্ব। প্রথম লেগে কানাডায় ২-০ গোলে জিতে বেশ এগিয়ে ছিল ভ্যানকুভার। তাই ফাইনালে যেতে হলে অন্তত তিন গোলের ব্যবধানে জিততে হতো ইন্টার মায়ামিকে। কিন্তু প্রত্যাশার বদলে ঘরের মাঠেই তাদের জালে বল ঢোকে তিনবার।
তবে শুরুটা ছিল স্বাগতিকদের পক্ষে। ম্যাচের ৯ মিনিটেই মেসি ও সুয়ারেজের দারুণ বোঝাপড়ার পর দুর্দান্ত ফিনিশে গোল করেন জর্ডি আলবা। প্রথমার্ধে ১-০ গোলে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় ইন্টার মায়ামি। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে দৃশ্যপট বদলে দেয় ভ্যানকুভার। ৫১ মিনিটে ব্রেইন হোয়াইট গোল করে ম্যাচে সমতা ফেরান। মাত্র দুই মিনিট পর আবারও মায়ামির রক্ষণভাগের ভুলে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন পেদ্রো ভিতে। ৭১ মিনিটে সেবাস্তিয়ান বারহেল্টারের গোল ভ্যানকুভারকে দেয় আরও এক ধাপ এগিয়ে যাওয়ার আত্মবিশ্বাস। বাকি সময়ে একাধিক আক্রমণ করলেও গোলরক্ষক ও প্রতিপক্ষের রক্ষণভাগে আটকে যায় মেসির দল।
ম্যাচে দুদলই সমান ১৬টি করে ফাউল করে, মোট ফাউল দাঁড়ায় ৩২টি। ইন্টার মায়ামি ১৭টি শট নিয়ে ৬টি লক্ষ্যে রাখলেও গোল পায় মাত্র একটি। অন্যদিকে ভ্যানকুভার ১০টি শটের মধ্যে ৬টি লক্ষ্যে রেখে তিনটিই জালে পাঠাতে সক্ষম হয়।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ইন ট র ম য ম ইন ট র ম য় ম
এছাড়াও পড়ুন:
রূপগঞ্জে টেক্সটাইল কারখানায় গ্যাসের মিটার বিস্ফোরণে চারজন দগ্ধ
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে একটি টেক্সটাইল কারখানায় গ্যাসের মিটার বিস্ফোরণ থেকে অগ্নিকাণ্ডে চার নিরাপত্তা প্রহরী দগ্ধ হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে তিনজনের শ্বাসনালি পুড়ে গেছে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার রূপসী কাজীপাড়া এলাকার জৈনপুরী আশরাফিয়া টেক্সটাইল কারখানায় (মঞ্জু টেক্সটাইল) এ ঘটনা ঘটে।
নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ আল আরেফিন এসব তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, মে দিবসের কারণে কারখানার উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ। এ জন্য লাইনে গ্যাসের উচ্চ চাপ সৃষ্টি হয়ে মিটারে বিস্ফোরণ হয়। সেখান থেকে আগুন ধরে চারজন নিরাপত্তা প্রহরী দগ্ধ হয়েছেন। ফায়ার সার্ভিস পৌঁছানোর আগেই কারখানার লোকজন ও স্থানীয় লোকজন মিলে আগুন নিভিয়ে ফেলেন।
এ ঘটনায় দগ্ধ আবদুল হান্নান (৫০), কবির হোসেন (৪৫) ও সাইফুল ইসলামকে (২৫) রাজধানীর জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। দগ্ধ অন্যজনের নাম জানা যায়নি। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
হাসপাতালের আবাসিক সার্জন শাওন বিন রহমান প্রথম আলোকে বলেন, বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধ চারজনকে হাসপাতালে আনা হয়। আঘাত গুরুতর না হওয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে একজনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বাকি তিনজনের শরীরের ৩৪ থেকে ৫৩ শতাংশ পুড়ে গেছে। তাঁদের শ্বাসনালি পুড়ে যাওয়ায় অবস্থা আশঙ্কাজনক।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন বলেন, রাতের ডিউটি (দায়িত্ব) শেষে সকাল আটটার দিকে শ্রমিকেরা কারখানা ছেড়ে চলে যান। এর কিছুক্ষণ পর তিতাস গ্যাস সংযোগের আরএমএস কক্ষে বিকট শব্দে একটি দেয়াল ধসে পড়ে এবং আগুন ধরে যায়। তখনই চারজন দগ্ধ হন। পরে কারখানার লোকজন ও স্থানীয় লোকজন মিলে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।
ঘটনাটি ‘অনাকাঙ্ক্ষিত’ দাবি করে কারখানার মালিক মঞ্জুরুল হক ভূঁইয়া বলেন, ঘটনার পর আপাতত কারখানা বন্ধ রাখা হয়েছে। শ্রমিকদের সব চিকিৎসার ব্যয় কারখানা থেকে বহন করা হবে। তাঁদের প্রয়োজনীয় ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।
রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিয়াকত আলী প্রথম আলোকে বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেছে। দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত এ ঘটনায় কোনো মামলা হয়নি। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।