চবির ডাস্টবিনগুলোর নাম এখন ‘হাসিনাবিন’
Published: 4th, February 2025 GMT
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ডাস্টবিনগুলোতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যাঙ্গাত্মক ছবি সাঁটিয়ে দিয়ে শিক্ষার্থীরা সেগুলোর নাম দিয়েছেন ‘হাসিনাবিন’।
সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) রাতে এ কর্মসূচি পালন করেন তারা।
এ পর্যন্ত ক্যাম্পাসের আটটি ডাস্টবিনে শেখ হাসিনার এ ব্যাঙ্গাত্মক ছবি লাগানো হয়েছে। পর্যায়ক্রমে প্রতিটি বিনে লাগানো হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের আরবি বিভাগের শিক্ষার্থী ফুয়াদ হোসেন বলেন, “শেখ হাসিনা গত ১৭ বছরে মাফিয়া চক্রের মাধ্যমে দেশের সব প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে দিয়ে ফ্যাসিজম কায়েম করেছেন। তিনি হাজারো ছাত্র-জনতাকে খুন করেছেন। তার প্রতি আমাদের কোনো সহানুভূতি নেই। তাই আমরা পুরো ক্যাম্পাসের ডাস্টবিনে তার ছবি সংযুক্ত করেছি।”
আরবি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ওয়ালিদ হোসেন বলেন, “হাসিনা জুলাই অভ্যুত্থানসহ বিগত সময়ে হত্যা, খুন-গুমের মহারাজত্ব কায়েম করেছিল। তার প্রতি ঘৃণা ছাড়া দেশের মানুষ আর কিছুই দিতে পারবে না। তাই ঘৃণার প্রতীক হিসেবে তার ছবি আমরা ডাস্টবিনগুলোতে লাগিয়ে হাসিনাবিন নাম দিয়েছি।”
ঢাকা/মিজান/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
চানখাঁরপুলে ছয়জনকে হত্যার মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ, যুক্তিতর্ক ১৫ ডিসেম্বর
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় রাজধানীর চানখাঁরপুল এলাকায় ছয়জনকে হত্যার ঘটনায় করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আজ বুধবার সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়েছে। ১৫ ডিসেম্বর থেকে এ মামলায় যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করা হবে।
আজ এ মামলার আসামি শাহবাগ থানার সাবেক পরিদর্শক মো. আরশাদ হোসেনের পক্ষে সাফাই সাক্ষ্য দেন জুয়েল মাহমুদ। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ আজ তাঁর সাক্ষ্য গ্রহণ হয়। এর মধ্য দিয়ে এ মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে।
গত বছরের ৫ আগস্ট রাজধানীর চানখাঁরপুল এলাকায় ছয়জনকে হত্যার মধ্য দিয়ে করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমানসহ আটজনকে আসামি করা হয়। এর মধ্যে হাবিবুর রহমানসহ চার আসামি পলাতক। আর আরশাদ হোসেন, সাবেক কনস্টেবল সুজন হোসেন, ইমাজ হোসেন ও মো. নাসিরুল ইসলাম গ্রেপ্তার আছেন। আরশাদের পক্ষে গতকাল মঙ্গলবার দুজন ও আজ একজন সাফাই সাক্ষ্য দিলেন।
আরও পড়ুনচানখাঁরপুলে ছয়জনকে হত্যা করে মানবতাবিরোধী অপরাধ করা হয়েছে: চিফ প্রসিকিউটর১১ আগস্ট ২০২৫জবানবন্দিতে সাফাই সাক্ষ্যতে জুয়েল মাহমুদ বলেন, তিনি জামায়াতে ইসলামীর একজন কর্মী এবং জুলাই যোদ্ধা। গত বছরের ৫ আগস্ট হাইকোর্টের সামনে পৌঁছালে তাঁরা সেনাবাহিনীর বাধার মুখে পড়েন। পরে তাঁরা ১০-১৪ জন আন্দোলনকারী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদুল্লাহ হলের সামনের চেকপোস্টে পুলিশের বাধার মুখে পড়েন। সেখানে তিনি পূর্বপরিচিত তৎকালীন পরিদর্শক আরশাদকে দেখতে পান। আরশাদ তাঁদের শহীদ মিনারের দিকে যেতে দেন।