৪০ বছর বয়সেও যেন সময়কে থামিয়ে রেখেছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। রোববার রাতে সৌদি প্রো লিগে আল-নাসরের হয়ে আবারও দেখালেন সেই চেনা জাদু। এক অসাধারণ বাইসাইকেল কিকে গোল করে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিলেন পর্তুগিজ তারকা।

ডান দিক থেকে আসা একটি ক্রসে মুহূর্তের মধ্যে শরীরকে আকাশে ভাসিয়ে অ্যাক্রোবেটিক ভলিতে যে গোলটি করলেন, সেটি আটকানোর কোনো উপায়ই ছিল না প্রতিপক্ষ গোলকিপারের। রোনালদোর এই গোলেই আল নাসর ৪-১ ব্যবধানে হারায় আল-খালিজকে।

আরো পড়ুন:

ইজের হ্যাটট্রিকে টটেনহ্যামকে উড়িয়ে দিল আর্সেনাল

বেলিংহামের শেষ মুহূর্তের গোলে হার এড়াল রিয়াল

আন্তর্জাতিক বিরতিতে পর্তুগাল দলে তিনি লাল কার্ড দেখেছেন আয়ারল্যান্ড ম্যাচে। আবার দেশকে বিশ্বকাপ নিশ্চিত করানোর উৎসবও করেছেন। ষষ্ঠবারের মতো বিশ্বকাপে খেলার সম্ভাবনা জাগিয়েছেন তিনি। যা হবে ইতিহাসের নতুন অধ্যায়।

২০২৫-২৬ মৌসুমে আল-নাসর যেন থামতেই জানে না। আল-খালিজের বিপক্ষে এই ৪–১ গোলের জয় তাদের টানা নবম জয়। লিগে সর্বোচ্চ ৩০ গোল করে তালিকার শীর্ষে তারা অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো ও জোয়াও ফেলিক্স; দুজনেই করেছেন ১০টি করে গোল, দলটিতে এখন যেন পর্তুগিজ ঝড়।

আল-আওয়াল পার্কে এই ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ছিল আল-নাসর। চতুর্থ মিনিটেই ফেলিক্সের নিখুঁত পাস থেকে দুর্দান্ত এক দূরপাল্লার শটে প্রায় গোল করে ফেলেছিলেন রোনালদো। যদিও অল্পের জন্য বাইরে যায় বলটি। এরপর সাদিও মানের দুর্দান্ত ক্রস থেকে ছয় গজ বক্সের ভেতর থেকেও পান আরও একটি সুযোগ। কিন্তু গোলকিপার অ্যান্থনি মরিস অবিশ্বাস্য সেভে বাঁচান দলকে।

৩৩ মিনিটে ফেলিক্সের গোলটি ভিএআর চেকের পরে হ্যান্ডবলের কারণে বাতিল হয়ে যায়। তবে বেশি অপেক্ষা করতে হয়নি আল-নাসরকে। অ্যাঞ্জেলোর দুর্দান্ত ক্রসে ফেলিক্স এবার ঠিকই বল জালে জড়ান। কয়েক মিনিট পরই ফেলিক্সের প্রেসিং থেকে পাওয়া বল ধরে ওয়েসলি করেন দারুণ এক গোল। তাতে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় আল নাসর।

বিরতির পরই ম্যাচে ফেরার ইঙ্গিত দেয় আল-খালিজ। শুরুতেই মুরাদ আল হাওসাভির দুর্দান্ত এক শটে ব্যবধান কমে আসে। মুহূর্তেই বদলে যায় ম্যাচের রং। চাপ বাড়াতে থাকে অতিথিরা। তবে গোলরক্ষক নাওয়াফ আল-আকিদির দৃঢ়তায় টিকে থাকে আল-নাসর।

এরই মাঝে সাদিও মানে চমৎকার এক লব শটে ব্যবধান বাড়িয়ে দেন ৩-১ এ। তারপর বিরাট ভুল করেন আল-খালিজের দিমিত্রিওস কুরবেলিস। আলি আল হাসানের ওপর ভয়ংকর স্টাম্পিং করে সরাসরি লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন।

এরপরই আসে রাতের সবচেয়ে বড় আকর্ষণ; ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর সেই জাদুকরি বাইসাইকেল কিক। নাওয়াজ বুশালের ক্রসে হাওয়ায় ভেসে উঠে নিখুঁত ওয়ালি, বল গিয়ে জড়ায় জালের কোণায়। পুরো স্টেডিয়াম মুহূর্তের মধ্যে উল্লাসে মুখরিত হয়ে ওঠে। ৪-১ ব্যবধানে নিশ্চিত হয়ে যায় আল নাসরের বড় জয়।

ফেলিক্স ছিলেন দলের সেরা খেলোয়াড়দের একজন। এক গোলের পাশাপাশি ওয়েসলির গোলে দেন গুরুত্বপূর্ণ অ্যাসিস্ট। লিগের যৌথ সর্বোচ্চ গোলদাতাও এখন তিনি ও রোনালদো। তবে ব্রোজোভিচের দিনটা ছিল একেবারেই বাজে। অযথা হাত দিয়ে বল ছুঁয়ে ফেলায় দল বঞ্চিত হয় সম্ভাব্য এক দুর্দান্ত গোল থেকে। প্রথমার্ধেই তাকে তুলে নেন কোচ হেসুস।

ঢাকা/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফ টবল আল খ ল জ ব যবধ ন

এছাড়াও পড়ুন:

ট্রাম্প-মামদানির বিস্ময়কর বৈঠকে যা ঘটল, হঠাৎ মামদানির এত প্রশংসার কারণ কী

দ্বিতীয় মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ওভাল অফিসের বৈঠকগুলো এখন নিয়মিত আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে।

তবে গতকাল শুক্রবার দুপুরে নিউইয়র্ক সিটির নবনির্বাচিত মেয়র জোহরান মামদানিকে ট্রাম্প স্বাগত জানানোর সময় যে ধরনের আগ্রহ তৈরি হয়েছিল, তা খুব কম বৈঠকেই দেখা গেছে।

অনেকেই ভেবেছিলেন, রিপাবলিকানরা যে তরুণ রাজনীতিবিদকে ভবিষ্যতের ‘খলনায়ক’ বানানোর চেষ্টায় ছিলেন,  সেই গণতান্ত্রিক সমাজতন্ত্রী মামদানির সঙ্গে ট্রাম্পের হয়তো তীব্র বাক্‌যুদ্ধ হবে, তেমনটাই মনে করা হচ্ছিল ব্যাপকভাবে।

কিন্তু যা হলো, মোটেও তা নয়। নিচে অদ্ভুত এ বন্ধুসুলভ বৈঠকের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি বিষয় তুলে ধরা হলো।

এটি ছিল একেবারেই অপ্রত্যাশিত বন্ধুত্বপূর্ণ সাক্ষাৎ

এমন কিছু হতে পারে, কেউ কেউ আগে থেকেই ধারণা করেছিলেন। তবুও ঘটনাটি ছিল খানিকটা বিস্ময়কর; বিশেষ করে এ সাক্ষাৎ যখন হোয়াইট হাউসে ডেকে নিয়ে ট্রাম্পের মতো কারও সঙ্গে হয়।

সংবাদকর্মীরা দুই রাজনীতিককে বারবার তাঁদের মতপার্থক্য ও একে অপরের সম্পর্কে কঠোর মন্তব্যের কথা মনে করিয়ে প্রশ্ন করছিলেন।

কিন্তু দুজনই সেই সুযোগ এড়িয়ে গিয়ে মিলের জায়গাগুলোই তুলে ধরছিলেন।

ট্রাম্পের কয়েকটি মন্তব্য ছিল এমন:

‘আমি মনে করি, প্রকৃতপক্ষে তিনি (মামদানি) কিছু রক্ষণশীল মানুষকে চমকে দেবেন।’
‘ওনার কিছু ভাবনা সত্যি আমার ভাবনার মতোই।’
‘আমার ভাবনার চেয়েও বেশি বিষয়ে আমরা একমত হয়েছি।’
‘আমি মনে করি, এই মেয়র কিছু দারুণ কাজ করবেন।’
বৈঠকে এক সাংবাদিক মনে করিয়ে দেন, মামদানি নির্বাচিত হলে ট্রাম্প নাকি নিউইয়র্ক সিটির তহবিল কাটার হুমকি দিয়েছিলেন। ট্রাম্প বলেন, প্রয়োজন হলে সেই কার্ড তিনি খেলবেন। তবে এখন এতে সম্ভাবনা কম মনে হচ্ছে।
ট্রাম্প বলেন, ‘আমার মনে হচ্ছে, তাকে সাহায্যই করব; ক্ষতি নয়।’

হাত মেলাচ্ছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প ও জোহরান মামদানি। হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসে, ওয়াশিংটন, যুক্তরাষ্ট্র, ২১ নভেম্বর ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ট্রাম্প-মামদানির বিস্ময়কর বৈঠকে যা ঘটল, হঠাৎ মামদানির এত প্রশংসার কারণ কী