গত সোমবার রাত তারকাদের উপস্থিতিতে ঝলমল করছিল নেটফ্লিক্সের প্রাঙ্গণ। নেটফ্লিক্স ইন্ডিয়ার ‘নেক্সট অন নেটফ্লিক্স’ শীর্ষক আয়োজনে ঘোষণা করা হয় চলতি বছরে আসন্ন সিরিজ ও ছবির নাম। আর দেখানো হয় সিরিজ ও ছবির টিজার। এই রাতে একঝুড়ি বিনোদন নিয়ে হাজির ছিল নেটফ্লিক্স। কে ছিলেন না এ অনুষ্ঠানে—জিনাত আমান, শাহরুখ খান, সাইফ আলী খান, আর মাধবন, কপিল শর্মা, সিদ্ধার্থ, জয়দীপ অহলাওয়াত, ভেঙ্কটেশ, রানা দজ্ঞুবাতি, অর্জুন রামপাল, রাজকুমার রাও, পত্রলেখা, সানিয়া মালহোত্রা, ফাতিমা সানা শেখ, ঈশান খট্টর, ইব্রাহিম আলী খান, বাণী কাপুর, শেফালি শাহ, দিব্যেন্দু, ইয়ামি গৌতম, প্রতীক গান্ধী, পুলকিত সম্রাট, কীর্তি সুরেশ, খুশি কাপুরসহ আরও তারকার আগমনে এই রাত হয়ে উঠেছিল বিশেষ।

নেটফ্লিক্স এ বছর আনছে রোমান্স, কমেডি, অ্যাকশন, ড্রামা, থ্রিলার, স্পোর্টসসহ আরও নানান স্বাদের ছবি ও সিরিজ। এ বছর নেটফ্লিক্সের আঙিনায় অভিষেক হতে চলেছে বলিউডের দুই তারকা-পুত্রের। সাইফ আলী খানের ছেলে ইব্রাহিম ‘নাদানিয়াঁ’ ছবির মাধ্যমে অভিনয়জগতে আসতে চলেছেন। করণ জোহর প্রযোজিত এই ছবিতে ইব্রাহিমের সঙ্গে রোমান্সে মাততে দেখা যাবে শ্রীদেবী-কন্যা খুশি কাপুরকে।

নেটফ্লিক্সের রাতকে আরও উষ্ণ করে তুলেছিল ইব্রাহিম ও খুশির জুটি। ‘নাদানিয়াঁ’ ছবির গান ‘ইশক মে’-এর সঙ্গে তাঁদের রোমান্টিক নাচ; সমাগতদের হৃদয় ছুঁয়ে গিয়েছিল।
সব ছাপিয়ে এই আসরের শেষরাত আরও উজ্জ্বল হয়ে উঠেছিল বলিউড সুপারস্টার শাহরুখ খানের আগমনে। শাহরুখ-পুত্র আরিয়ান খানের অভিষেক নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে নানা জল্পনাকল্পনা চলছিল। কিং খান নিজে এই রাতে ছেলে আরিয়ানের অভিষেকের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করেছেন। তবে পর্দায় নয়, পর্দার পেছনে দেখা যাবে এই তারকা-পুত্রকে। পরিচালক হিসেবে অভিনয়জগতে আসতে চলেছেন আরিয়ান। ছেলের অভিষেক ঘিরে রীতিমতো উত্তেজিত কিং খান। শুধু পরিচালক হিসেবে নয়, লেখক হিসেবেও আত্মপ্রকাশ করছেন আরিয়ান। নেটফ্লিক্সের এই সিরিজ প্রযোজনা করছেন গৌরী খান। আরিয়ান পরিচালিত সিরিজের নাম ‘দ্য বাডস অব বলিউড’।

শাহরুখ খান।.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আর য় ন

এছাড়াও পড়ুন:

যৌথ বিবৃতি প্রত্যাখান করে বাহা’কে বয়কট ঘোষণা শিক্ষার্থীদের

বাংলাদেশ অ্যানিম্যাল হাজবেন্ড্রি অ্যাসোসিয়েশন (বাহা) ও বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) অ্যানিম্যাল হাজবেন্ড্রি অনুষদের যৌথ বিবৃতি প্রত্যাখ্যান করে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন অনুষদটির শিক্ষার্থীরা।

বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) কম্বাইন্ড ডিগ্রি নিয়ে চলমান যৌক্তিক আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী অ্যানিমেল হাজবেন্ড্রি অনুষদের শিক্ষার্থীদের কতিপয় বিপথগামী বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ওই অনুষদের শিক্ষার্থীরা বিকেলে অনুষদীয় চত্বরে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে বাহা’কে বয়কট ঘোষণা করেন।

এর আগে, বেলা ১১টার দিকে বাকৃবি শিক্ষক কমপ্লেক্সে বাহা’র নেতৃবৃন্দ ও অনুষদের ডিনের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় অনুষদের শিক্ষার্থীদের একটি অংশ ক্লাস-পরীক্ষাসহ অনুষদের স্বাভাবিক কার্যক্রম বিঘ্ন ঘটার অভিযোগ তুলে মতামত দেন।

আরো পড়ুন:

গোবিপ্রবিতে ২ বিভাগের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ, প্রক্টর-প্রাধ্যক্ষসহ আহত ১৫

ঘোড়ার গাড়িতে চড়িয়ে শিক্ষক ও অফিস সহায়ককে বিদায়

আলোচনা সভা শেষে বাহা ও ওই অনুষদ একটি যৌথ বিবৃতি প্রদান করেন। যেখানে বলা হয়েছে, শিক্ষার্থীদের এহেন কার্যক্রম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচলিত আইন ও শান্তি-শৃঙ্খলা পরিপন্থি। এই কার্যক্রমে অনুষদের সব শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ নেই। অ্যানিমেল হাজবেন্ড্রি প্রফেশনকে নিশ্চিহ্ন ও হেয় করতে একটি বিশেষ মহলের প্ররোচনায় কতিপয় বিপথগামী শিক্ষার্থী উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে অপচেষ্টায় লিপ্ত।

বিবৃতিতে এ ধরনের কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার জন্য সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীদের আহ্বান জানানো হয় এবং প্রফেশনের বিরাজমান সমস্যাগুলো সমাধানে আশু পদক্ষেপ গ্রহণের সিদ্বান্ত গৃহীত হয়।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা এই বিবৃতির তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আজকের সমাবেশে পশুপালন অনুষদের শিক্ষার্থীরা সর্বসম্মতভাবে বাংলাদেশ অ্যানিম্যাল হাসবেন্ড্রি অ্যাসোসিয়েশনকে বয়কটের ঘোষণা দিচ্ছে। আমাদের যৌক্তিক দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলমান থাকবে।

এ বিষয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থী শিবলী বলেন, “আমরা পশুপালন অনুষদের বিভিন্ন লেভেলের কয়েক’শ গত ১ সপ্তাহ ধরে আমাদের যৌক্তিক দাবি কম্বাইন্ড ডিগ্রি নিয়ে নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলন করে যাচ্ছি। যৌক্তিক দাবি নিয়ে আন্দোলন করলে যারা সাধারণ শিক্ষার্থীদের বিপদগামী বলে সম্বোধন করছেন, তাদের আমরা এ অনুষদ চত্বর থেকে লালকার্ড দেখাই। কোনো বিবৃতি বা হুমকি দিয়ে এই যৌক্তিক আন্দোলনকে থামানো যাবে না।”

আন্দোলনরত আরেক শিক্ষার্থী হিমেল বলেন, “বাকৃবিতে চলমান যৌক্তিক কম্বাইন্ড ডিগ্রি আন্দোলনের প্রেক্ষিতে বাহা’র মহাসচিব ক্যাম্পাসে উপস্থিত হন। আলোচনার প্রস্তাব গ্রহণ করা হলেও, তার পক্ষ থেকে কোনো কার্যকর সাড়া পাওয়া যায়নি। পরবর্তীতে এক বিবৃতিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের বিপথগামী বলা হয়। এছাড়া আমাদের সম্মিলিত আন্দোলনকে কিছু সংখ্যক শিক্ষার্থীর আন্দোলন হিসেবে দেখানোর অপচেষ্টা করা হয়, যা মিথ্যা, অপমানজনক ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।”

ঢাকা/লিখন/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ