৭ বছরের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ ফল দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডে
Published: 10th, July 2025 GMT
গত সাত বছরের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ ফল করেছে দিনাজপুর শিক্ষাবোর্ড। এবার এই বোর্ডের পাশের হার ৬৭ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ। মাত্র এক বছরে এই শিক্ষা বোর্ডে এসএসসি পরীক্ষার পাশের হার কমেছে ১১ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ। এবার জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৫ হাজার ৬২ জন শিক্ষার্থী, যা গত বছরের তুলনায় ৩ হাজার কম।
দিনাজপুর শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক মীর সাজ্জাদ আলী স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, এবারে এই শিক্ষাবোর্ডের অধীনে রংপুর বিভাগের আটটি জেলার ২ হাজার ৭৮২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মোট এক লাখ ৮৫ হাজার ৬৭ শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। তাদের মধ্যে কৃতকার্য হয়েছে এক লাখ ২২ হাজার ১৪৬ জন। ৬৭ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ পাশের হারের মধ্যে ছাত্রীর পাশের হার ৬৯ দশমিক ৭৮ শতাংশ ও ছাত্রদের পাশের হাজার ৬৪ দশমিক ৩৮ শতাংশ।
পরিসংখ্যানে দেখা যায়, চলতি বছর এই বোর্ডের পাশের দাঁড়িয়েছে ৬৭ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ। গত বছর এসএসসি পাশের হার ছিল ৭৮ দশমিক ৪৩ শতাংশ। এক বছরে পাশের হার কমেছে ১১ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ। চলতি বছর ১ লাখ ৮৫ হাজার ৬৭ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাশ করেছে ১ লাখ ২২ হাজার ১৪৬ জন। এছাড়া বহিষ্কার হয়েছে ৫৯ জন পরীক্ষার্থীকে।
বিজ্ঞান বিভাগে মোট ৯৯ হাজার ৩০০ জনের পাশ করেছে ৯৮ হাজার ৩০৯ জন। এর মধ্যে ৫২ হাজার ৮৭১ জন ছাত্র ও ৪৫ হাজার ৪৩৮ জন ছাত্রী। মানবিক বিভাগে মোট ৮৩ হাজার ৫২৯ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাশ করেছেন ৮১ হাজার ৬০১ জন। এর মধ্যে ৩৮ হাজার ৪৬৬ জন ছাত্র ও ৪৩ হাজার ১৩৫ জন ছাত্র। ব্যবসা বাণিজ্য বিভাগে ২ হাজার ২৫২ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ২ হাজার ৩২৪ জন পরীক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছেন। এর মধ্যে ১ হাজার ৬০৫ জন ছাত্র ও ৭১৯ জন ছাত্রী।
এবারে এই শিক্ষাবোর্ডের অধীনে ১৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে কোনো শিক্ষার্থী পাশ করতে পারেনি, গত বছর যা ছিল চারটি। আর শতভাগ পাশকৃত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৪৮টি, গত বছরে যা ছিল ৭৭টি।
এছাড়াও গত বছরে এই শিক্ষাবোর্ডের এসএসসি পরীক্ষায় পাশের হার ছিল ৭৮ দশমিক ৪৩ শতাংশ, ২০২৩ সালে ছিল ৭৬ দশমিক ৮৭ শতাংশ, ২০২২ সালে ছিল ৮১ দশমিক ১৬ শতাংশ, ২০২১ সালে ছিল ৯৪ দশমিক ৮০ শতাংশ, ২০২০ সালে ছিল ৮২ দশমিক ৭৩ শতাংশ এবং ২০১৯ সালে ছিল ৮৪ দশমিক ১০ শতাংশ।
১৩ বিদ্যালয়ের কেউই পাশ করতে পারেনি
পরীক্ষায় শিক্ষা বোর্ডের অধীনে রংপুর বিভাগের আটটি জেলার মোট ১৩টি বিদ্যালয়ের পাশের হার শূন্য। এই বিদ্যালয়গুলো থেকে ৯৮ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিলেও কেউ পাশ করতে পারেনি।
বিদ্যালয়গুলো হলো- রংপুর জেলার পীরগাছা উপজেলার রতনপুর হাই স্কুলের ৪ জন পরীক্ষার্থী, পীরগঞ্জ উপজেলার ছোট উজিরপুর হাই স্কুল ৯ জন পরীক্ষার্থী, গাইবান্ধা জেলার গাঘাটা উপজেলার গুড়িদাহা হাই স্কুল ২৪ জন পরীক্ষার্থী, গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার বিশ্বনাথপুর আদর্শ হাই স্কুল ৪ জন পরীক্ষার্থী, নীলফামারী জেলার ডিমলা উপজেলার শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হাই স্কুল ৪ জন পরীক্ষার্থী, কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার পূর্ব কুমারপুর আদর্শ হাই স্কুল ১ জন পরীক্ষার্থী, নাগেশ্বরী উপজেলার পেইরাডাঙ্গা হাই স্কুল ১১ জন পরীক্ষার্থী, কুড়িগ্রাম জেলার ফুলবাড়ী উপজেলার নাজির মামুদ আদর্শ হাই স্কুল ৯ জন পরীক্ষার্থী, লালমনিরহাট সদর উপজেলার পশ্চিমবড়ুয়া রোটারী হাই স্কুল ৮ জন পরীক্ষার্থী, দিনাজপুর জেলার বীরগঞ্জ উপজেলার সাতখামার হাই স্কুল ৮ জন পরীক্ষার্থী, ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার সেনুয়া হাইস্কুল ২ জন পরীক্ষার্থী, জগন্নাথপুর হাই স্কুল ৪ জন পরীক্ষার্থী, পঞ্চগড় জেলার বোদা উপজেলার ডাবোর ভাঙ্গা হাই স্কুল ১০ জন পরীক্ষার্থী।
কথা হলে দিনাজপুর শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মহা.
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: এসএসস ৪ জন পর ক ষ র থ দশম ক শ ন য পর ক ষ য় জন ছ ত র এই শ ক ষ উপজ ল র প শ করত গত বছর প শ কর ত বছর
এছাড়াও পড়ুন:
মোংলা বন্দরে ৯ম থেকে ২০তম গ্রেডে চাকরি, ১১৩ পদে নিয়োগ
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের অধীন সরাসরি নিয়োগযোগ্য রাজস্ব খাতভুক্ত ১১৩টি শূন্য পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। ৯ম থেকে ২০তম গ্রেডের এসব পদে আবেদন শুরু হবে ১৬ অক্টোবর। আবেদনের শেষ তারিখ আগামী ৯ নভেম্বর।
পদের নাম ও বিবরণ
১. হাইড্রোগ্রাফার
পদসংখ্যা: ১
শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা: গণিত, পদার্থ ও ভূগোল বিষয়ে দ্বিতীয় শ্রেণির স্নাতকোত্তর ডিগ্রি। হাইড্রোগ্রাফিতে অভিজ্ঞতাসম্পন্ন প্রার্থী অগ্রাধিকার পাবেন।
বেতন স্কেল ও গ্রেড: ২২,০০০–৫৩,০৬০/– (গ্রেড–৯)
২. সহকারী প্রকৌশলী (নৌযান/ নৌ–ভান্ডার)
পদসংখ্যা: ১
শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা: নৌ অথবা নৌ স্থাপত্য বিষয়ে কমপক্ষে স্নাতক প্রকৌশল ডিগ্রি বা ডিওটি দ্বিতীয় শ্রেণি।
বেতন স্কেল ও গ্রেড: ২২,০০০–৫৩,০৬০/– (গ্রেড–৯)
৩. উপসহকারী প্রকৌশলী (নৌ)
পদসংখ্যা: ১
শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা: নৌ বা জাহাজ তৈরি বিষয়ে প্রকৌশল ডিপ্লোমা।
বেতন স্কেল ও গ্রেড: ১৬,০০০–৩৮,৬৪০/– (গ্রেড–১০)
৪. প্রথম শ্রেণির ড্রাইভার
পদসংখ্যা: ১
শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা: প্রথম শ্রেণির ড্রাইভার হিসেবে সনদসহ অষ্টম শ্রেণি পাস। অভিজ্ঞতাসম্পন্ন প্রার্থী অগ্রাধিকার পাবেন।
বেতন স্কেল ও গ্রেড: ১২,৫০০–৩০,২৩০/– (গ্রেড–১১)
৫. ওয়্যারলেস অপারেটর
পদসংখ্যা: ৫
শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা: কমপক্ষে এসএসসি পাস ও ওয়্যারলেস অপারেটর হিসেবে সনদসহ কমপক্ষে প্রতি মিনিটে ১২টি শব্দ আদান–প্রদানে সক্ষম হতে হবে।
বেতন স্কেল ও গ্রেড: ১০,২০০–২৪,৬৮০/– (গ্রেড–১৪)
৬. লাইটকিপার
পদসংখ্যা: ৪
শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা: অষ্টম শ্রেণি পাস।
বেতন স্কেল ও গ্রেড: ৯,৭০০–২৩,৪৯০/– (গ্রেড–১৫)
৭. দ্বিতীয় শ্রেণির ড্রাইভার
পদসংখ্যা: ২
শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা: দ্বিতীয় শ্রেণির ড্রাইভার হিসেবে উপযুক্ত সনদসহ অভিজ্ঞতা।
বেতন স্কেল ও গ্রেড: ৯,৭০০–২৩,৪৯০/– (গ্রেড–১৫)
৮. গ্রিজার কাম পাম্প ড্রাইভার
পদসংখ্যা: ১
শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা: অষ্টম শ্রেণি পাস। সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ট্রেড সার্টিফিকেটসহ তিন বছরের অভিজ্ঞতা।
বেতন স্কেল ও গ্রেড: ৯,৩০০–২২,৪৯০/– (গ্রেড–১৬)
৯. কার্পেন্টার
পদসংখ্যা: ১
শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা: অষ্টম শ্রেণি পাস। কার্পেন্টারশিপে ট্রেড সার্টিফিকেটসহ তিন বছরের অভিজ্ঞতা।
বেতন স্কেল ও গ্রেড: ৯,৩০০–২২,৪৯০/– (গ্রেড–১৬)
১০. গ্যাস কাটার
পদসংখ্যা: ১
শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা: কমপক্ষে এসএসসি পাস ও ডিপিটিসি সনদ।
বেতন স্কেল ও গ্রেড: ৯,৩০০–২২,৪৯০/– (গ্রেড–১৬)