বেসরকারি পপুলার ফার্মাসিউটিক্যালস পিএলসি জনবল নিয়োগে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। প্রতিষ্ঠানটি এক্সিকিউটিভ—কিউএ/কিউসি পদে কর্মী নিয়োগ দেবে। আগ্রহী প্রার্থীদের আগামীকাল সোমবারের মধ্যে অনলাইনে আবেদন করতে হবে।

পদের নাম: এক্সিকিউটিভ—কিউএ/কিউসি

পদসংখ্যা: অনির্ধারিত

যোগ্যতা: স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভালো ফলাফলসহ বি.

ফার্ম প্রফেশনাল/এম.ফার্ম বা কেমিস্ট্রি, অ্যাপ্লায়েড কেমিস্ট্রি বিষয়ে এমএসসি ডিগ্রি থাকতে হবে। কোনো ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিতে বিশেষ করে কিউএ অ্যান্ড কিউসি ক্ষেত্রে এক থেকে তিন বছর চাকরির অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। তবে সদ্য পাস করা প্রার্থীরা অভিজ্ঞতা ছাড়াই আবেদন করতে পারবেন। জিএমপি, জিএলপি ও রেগুলেটরি গাইডলাইনস বিষয়ে বিস্তর জানাশোনা থাকতে হবে। অ্যানালিটিক্যাল টেকনিক ও ইনস্ট্রুমেন্টে দক্ষতা থাকতে হবে। সমস্যা সমাধান ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের সক্ষমতা থাকতে হবে। যোগাযোগে দক্ষ হতে হবে।

বয়স: সর্বোচ্চ ৩০ বছর। তবে অভিজ্ঞ প্রার্থীদের ক্ষেত্রে বয়সসীমা শিথিলযোগ্য।

চাকরির ধরন: ফুলটাইম

কর্মস্থল: টঙ্গী, গাজীপুর

বেতন: আকর্ষণীয় বেতন

আরও পড়ুনমিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকে চাকরি, ১৫ জেলায় কর্মী নিয়োগ৮ ঘণ্টা আগে

সুযোগ–সুবিধা: প্রভিডেন্ট ফান্ড, গ্র্যাচুইটি, বছরে তিনটি উৎসব বোনাস, ছুটি ভাতা, লভ্যাংশ শেয়ার, গোষ্ঠী জীবনবিমা, দুপুরের খাবারে ভর্তুকি ও সপ্তাহে দুই দিন ছুটির সুযোগ আছে।

আবেদন যেভাবে

আগ্রহী প্রার্থীদের এই লিংক থেকে নিয়োগ–সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য জেনে Apply Online বাটনে ক্লিক করে আবেদন করতে হবে।

আবেদনের শেষ সময়: ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫।

আরও পড়ুনআন্তর্জাতিক সংস্থায় ঢাকায় চাকরি, সর্বোচ্চ বেতন ১ লাখ ৮৩ হাজার২২ ঘণ্টা আগে

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

আরিফুলসহ সিলেট বিএনপির নেতাদের লন্ডন সফর, নানা আলোচনা

গত রোববার হঠাৎ লন্ডন সফরে যান সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। এ নিয়ে সিলেটের রাজনৈতিক অঙ্গনে চলছে নানা আলোচনা। শুধু আরিফুল নন, ইতোমধ্যে সিলেটের একাধিক নেতা প্রকাশ্যে বা গোপনে লন্ডন সফর করেন। শোনা যাচ্ছে, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে সাক্ষাত করতেই তারা লন্ডন যাচ্ছেন।

সরকার পরিবর্তনের পর বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া মুক্তি পেয়ে লন্ডন যান। খালেদা জিয়ার সঙ্গে লন্ডনে যান উপদেষ্টা ড. এনামুল হক চৌধুরী। তিনি যুক্তরাজ্যে বসবাসরত সিলেট-৬ আসনের (গোলাপগঞ্জ-বিয়ানীবাজার) প্রবাসীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। দেশে এসেও নিবার্চনী এলাকায় সাধারণ ভোটারদের সঙ্গে মতবিনিময় করে চলেছেন।  

সম্প্রতি লন্ডন থেকে দেশে ফিরে সিলেট-৪ আসনের বিভিন্ন এলাকায় প্রচারণা চালাচ্ছেন মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক বদরুজ্জমান সেলিম। তিনি তারেক রহমানের সঙ্গে দেখা করে এসেছেন  বলে জানা যায়।

একই আসনে দলের মনোনয়ন প্রত্যাশী গোয়াইনঘাট উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা বিএনপি নেতা আব্দুল হাকিম সম্প্রতি লন্ডন সফর করেন। তিনি দেশে ফিরে বিভিন্ন সভা সমাবেশে যোগ দিচ্ছেন। একই আসনে আরও একাধিক নেতা তারেক রহমানের সঙ্গে দেখা করতে লন্ডন যাচ্ছেন বলে জানা যায়।
 
সর্বশেষ গত রোববার লন্ডনে যান আরিফুল হক চৌধুরী। তিনি লন্ডনে যাওয়ার পর সিলেট বিএনপির রাজনীতি বইছে নতুন হওয়া। শুরু হয়েছে নানা আলোচনা। তার ঘনিষ্ঠরা জানিয়েছেন, দুটি মিশন নিয়ে গেছেন আরিফুল হক। এর একটি হচ্ছে- সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব নেওয়া, অপরটি হচ্ছে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি। লন্ডনে গিয়ে তিনি বলেন, 'আমি আপনাদের দেখতে এসেছি। ৪-৫ দিন লন্ডনে থাকবো।'

আরিফুল হক সিটি নির্বাচনে নাকি সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হচ্ছেন তা নিয়ে এখন চলছে আলোচনা। তার ঘনিষ্ঠরা জানিয়েছেন, সার্বিক বিষয়ে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পরামর্শ নিতে তিনি লন্ডনে গেছেন। তার পরামর্শ পাওয়ার পর সিলেটের নির্বাচনী মাঠে নামবেন তিনি। 

এদিকে, সোমবার রাতে লন্ডনে আরিফুল হক তার ঘনিষ্ঠ শতাধিক নেতাকর্মীকে নিয়ে একটি রেস্টুরেন্টে বৈঠক করেন। বৈঠকে তিনি বর্তমানে মাঠে থাকা রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন। কোনো রাজনৈতিক দলের নাম না বললেও নতুন রাজনৈতিক সংগঠনের কথা সরাসরি বলেন। তার বক্তব্য ঘিরে সিলেটে জামায়াত ঘরানার রাজনৈতিক নেতারা স্যোশাল মিডিয়ায় সরব হয়ে উঠেছেন।  কেউ কেউ প্রশ্ন করছেন, অন্য পার্টি বলতে সাবেক মেয়র আরিফ কি জামায়াতকে বোঝাতে চেয়েছেন? 

ভার্চ্যুয়াল মিডিয়ায় প্রচারিত হওয়া ভিডিওতে আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, ‘আমাদের দু-একটা তুচ্ছ ঘটনাকে কিছু রাজনৈতিক অন্য পার্টি, অন্য প্ল্যাটফরমে যা আপনারা ভালোভাবেই বুঝতেছেন, যারা এখনই বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময় বিভিন্ন ইউনিভার্সিটি, বিভিন্ন ইনস্টিটিউশন, বিভিন্ন হাই-অফিসিয়াল পোস্টে তাদের নিজেদের লোক সেটআপ করে ফেলছে। সেখানে আমাদের মানুষগুলো নেই। আমাদের দু-চার জন অ্যাটর্নি জেনারেল, আর দু-চারটা পোস্ট দেখলেই মনে করবেন না সব আমাদের। তারা ভালো করে জানে ভোটে গেলে বিএনপি’র সঙ্গে কোনোভাবেই রিটার্ন করতে পারবে না। কাজেই তারা ওই ম্যাকানিজম শুরু করেছে সেখানে নির্বাচনকে একটু দূরে ঠেলে দিয়ে বিভিন্ন প্রশাসনে তাদের লোকগুলোকে সেটআপ করা।' 

সম্পর্কিত নিবন্ধ