ধর্মবিষয়ক উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেন, এজেন্সির অবহেলা বা গাফিলতির কারণে কোনো হজযাত্রী পবিত্র হজ করতে না পারলে সেই দায় সংশ্লিষ্ট এজেন্সিকে নিতে হবে। আর এ জন্য তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

লিখিত বক্তব্যে উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেন, বেসরকারি এজেন্সিগুলোও তাদের অধীন নিবন্ধিত হজযাত্রীদের জন্য সৌদি সরকারের গাইডলাইন অনুসারে কাজ করে যাচ্ছে। অনেকের কার্যক্রম বেশ সন্তোষজনক, আবার অনেকে ধীরগতিতে চলছে। সৌদি সরকারের পক্ষ থেকে হজ সেবাদানকারী কোম্পানির সঙ্গে ১৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সব চুক্তি সম্পাদনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় থেকে গতকাল রোববারও বার্তা পাঠানো হয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে, চুক্তি সম্পাদনের গতি খুবই শ্লথ এবং অনেক ক্ষেত্রে তেমন কোনো অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে না। ডেডলাইন ১৪ ফেব্রুয়ারি এবং এটি কোনোভাবেই বাড়ানো হবে না।

উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেন, হজ সার্ভিস কোম্পানির সঙ্গে ১৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে চুক্তি করার বিষয়টি গত বছরের ২৩ অক্টোবর সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়। পরে আরও কয়েকবার পত্র দিয়ে বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে। সে অনুযায়ী ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে সংশ্লিষ্ট এজেন্সিগুলোকে জানানো হয়েছে। গতকালই এজেন্সিকে তাগিদপত্র দেওয়া হয়েছে। আজ সকালেও সংশ্লিষ্ট এজেন্সির মালিক বা পরিচালকদের সঙ্গে সভা হয়েছে।

এজেন্সিগুলোর প্রতি অনুরোধ জানিয়ে আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেন, তারা যেন সৌদি সরকারের বেঁধে দেওয়া সময় ১৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যেই মিনায় ও আরাফায় তাঁবু ও ক্যাটারিংয়ের জন্য সার্ভিস কোম্পানি, বাড়ি বা হোটেল কর্তৃপক্ষ, পরিবহন কোম্পানি এবং ক্যাটারিং নিতে আগ্রহী হলে ক্যাটারিং সেবাদানকারী কোম্পানির সঙ্গে চুক্তিগুলো সম্পাদন করে। এজেন্সির অবহেলা বা গাফিলতির কারণে কোনো হজযাত্রী হজ করতে না পারলে সে দায় সংশ্লিষ্ট এজেন্সিকে নিতে হবে। এ দায় কোনোভাবেই সৌদি সরকার কিংবা ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় বহন করবে না।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এবার বাংলাদেশ থেকে হজে যাওয়ার জন্য নির্ধারিত কোটা ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন। তার মধ্যে এবার নিবন্ধিত মোট হজযাত্রী ৮৭ হাজার ১০০ জন। এর মধ্যে ৫ হাজার ২০০ জন সরকারি ব্যবস্থাপনায় এবং ৮১ হাজার ৯০০ জন বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় যাবেন।

বেসরকারি হজ এজেন্সিগুলোর চুক্তির বিষয়ে ধীরগতি নিয়ে করা প্রশ্নের জবাবে যুগ্ম সচিব (হজ অনুবিভাগ) মো.

মঞ্জুরুল হক বলেন, এবার প্রধান এজেন্সি ৭০টি। ৩৮টির চুক্তির চূড়ান্ত হয়েছে। আর যাদের শেষ হয়নি, তাদের অনুরোধ পাঠানো হয়েছে। আশা করছেন, আজ রাতের মধ্যে অনুমোদন হয়ে গেলে মিনায় তাঁবু নিয়ে জটিলতা থাকবে না। বাড়িভাড়ার জন্যও কাজ হচ্ছে। তারা কথা দিয়েছে, ১৪ ফেব্রুয়ারির আগেই বাড়িভাড়ার কাজও সম্পন্ন হয়ে যাবে।

হজযাত্রীদের মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রীদের বিষয়ে চুক্তির কাজ হয়েছে উল্লেখ করেন মঞ্জুরুল হক জানান, বেসরকারি ৮১ হাজার ৯০০ জনের মধ্যে ৪৫ হাজারের চুক্তিগুলো নিশ্চিত হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন ধর্ম সচিব এ কে এম আফতাব হোসেন প্রামাণিক।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আ ফ ম খ ল দ হ স ন বল ন ১৪ ফ ব র য় র র উপদ ষ ট ব সরক র হজয ত র ব যবস থ র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

উৎসব ঘুরে প্রেক্ষাগৃহে ‘বাড়ির নাম শাহানা’

কৈশোর পেরোনোর আগেই শাহানাবাড়ির মেয়ে দীপার বিয়ে হয়ে যায়। স্বামীর নির্যাতনের জাল ছিঁড়ে নিজের মতো করে বাঁচতে চেয়েছেন তিনি। নব্বইয়ের দশকের পটভূমিতে দীপার বেঁচে থাকার লড়াইয়ের গল্প নিয়ে নির্মিত হয়েছে বাড়ির নাম শাহানা।

সত্য কাহিনি অবলম্বনে নির্মিত বাড়ির নাম শাহানায় দীপা চরিত্রে অভিনয় করেছেন আনান সিদ্দিকা। ছবিটি যৌথভাবে প্রযোজনা করেছে কমলা কালেক্টিভ ও গুপী বাঘা প্রোডাকশন্স লিমিটেড।

নির্মাণের বাইরে লীসা গাজী লেখক, নাট্যকর্মী হিসেবে পরিচিত

সম্পর্কিত নিবন্ধ