প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেছেন, “সর্বক্ষেত্রে বাংলা ব্যবহারের অন্তরায় জাতীয় সংকল্পের অভাব। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর আমরা বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনের মূল চেতনা থেকে দূরে সরে গেছি। সংখ্যাগরিষ্ঠ ভাষাভাষী হিসেবে বাংলা বাদে বাকি ৪০টি ভাষাভাষীর ব্যাপারে আমাদের খোঁজ নিতে হবে এইটাই বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন ও ২৪ এর আন্দোলনের মূল স্পিরিট।”

শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) ঢাকায় মিরপুরে প্রাথমিক শিক্ষক প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে (পিটিআই) ‘শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ২০২৫’ উদযাপন উপলক্ষে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় আয়োজিত আলোচনায় তিনি এ কথা বলেন।

বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেন, “প্রাথমিকে ৫ ভাষায় বই আছে, কিন্তু শিক্ষকের অভাবে আমরা এই বই কাজে লাগাতে পারছি না। আমরা এই ভাষার বইয়ের ওপর অনলাইন কন্টেন্ট ও লেকচার তৈরি করব। যাতে করে শিশুরা দেখে দেখে শিখতে পারে।”

উপদেষ্টা বলেন, “আমাদের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব হচ্ছে শিশুদেরকে মাতৃভাষায় সাক্ষর করে তোলা। এর মাধ্যমে তাদেরকে ক্ষমতাবান করে তুলি। আমাদের শিশুরা বেশির ভাগই মধ্যবিত্ত নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে আসে। ফলে সামাজিক বৈষম্য নিরসনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারি যদি শিশুদেরকে প্রকৃতপক্ষে মাতৃভাষায় সাক্ষর করে তুলতে পারি। শিশুদেরকে প্রকৃতপক্ষে মাতৃভাষায় সাক্ষর করে তুলতে পারি তাহলে বাংলাদেশেকে বৈষম্যহীন করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।”

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু তাহের মো.

মাসুদ রানা সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষা বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ইউনিটের মহাপরিচালক এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (বাজেট ও অডিট) মো. সাখাওয়াৎ হোসেন, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) নুরজাহান খাতুন, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) আবু শাহীন মো. আসাদুজ্জামান, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (দায়িত্বপ্রাপ্ত) আবু নূর মোহাম্মদ শামসুজ্জামান, উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর মহাপরিচালক (দায়িত্বপ্রাপ্ত) দেবব্রত চক্রবর্তী, শিশু কল্যাণ ট্রাস্টের পরিচালক সুরাইয়া খান।

ঢাকা/এএএম/এসবি

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

নারায়ণগঞ্জে কারখানায় বিস্ফোরণ, দগ্ধ ৩ 

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলায় মঞ্জু টেক্সটাইলে এন্ড ডাইং কারখানায় গ্যাস লাইন লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ ঘটেছে। এতে কারখানার দুই নিরাপত্তাকর্মীসহ তিন জন দগ্ধ হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার (১ মে) সকাল পৌনে ৯টার দিকে উপজেলার তারাবো পৌরসভার কাজীপাড়া এলাকায় কারখানায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। দগ্ধরা হলেন, সিকিউরিটি ইনচার্জ আব্দুল হান্নান, গার্ড কবির হোসেন ও সিনিয়র অফিসার সাইফুল ইসলাম।

কারখানার সুপারভাইজার মিজানুর জানান, নাইট ডিউটি শেষে সকাল ৮টার দিকে শ্রমিকরা চলে যাওয়ার ঠিক পরপরই তিতাস গ্যাস সংযোগের আরএমএস রুমে গ্যাসের অতিরিক্ত চাপে বিকট শব্দে একটি দেয়াল ধসে পড়ে এবং আগুন ধরে যায়। এ সময় নিরাপত্তাকর্মীসহ তিনজন দগ্ধ হন। বিস্ফোরণ ও আগুনের তীব্রতায় আশপাশের লোকজন আতঙ্কিত হয়ে রাস্তায় বেরিয়ে আসে।

আরো পড়ুন:

গাজীপুরে বিস্ফোরণে একই পরিবারের ৫ জন দগ্ধ, সবার অবস্থা আশঙ্কাজনক

মাইক্রোবাসে বিস্ফোরণ, অল্পের জন্য বেঁচে গেলেন ৫ ছাত্রনেতা

তিনি জানান, কারখানায় দায়িত্বে থাকা টেকনিশিয়ান ও অন্যান্য নিরাপত্তাকর্মীরা দ্রুত গ্যাসের চাবি বন্ধ করে নিজেরাই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে দগ্ধ তিনজনকে দ্রুত রাজধানীর জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়। আগুনে কারখানার কিছু কাপড় ও আসবাবপত্র পুড়ে গেছে।

নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের উপসহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ আল আরেফিন জানান, আগুন লাগার খবর পেয়ে ইউনিট সেখানে যায়। তবে তার আগেই কারখানার লোকজন আগুন নিভিয়ে ফেলে। বিস্ফোরণ ও আগুনের কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিয়াকত আলী বলেন, ‘‘খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। শুনেছি তিনজন দগ্ধ হয়েছেন এবং তাদের ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’

ঢাকা/অনিক/বকুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ