হার্ট অ্যাটাকের আগেই কি শরীর বিশেষ কিছু জানান দেয়
Published: 27th, February 2025 GMT
আপনি এমন অনেকের কথাই শুনে থাকতে পারেন, যাঁদের কম বয়সে হার্ট অ্যাটাক হয়েছে। যেকোনো বয়সেই আকস্মিক মৃত্যুর অন্যতম কারণ হার্ট অ্যাটাক। এমন মৃত্যুর অর্থ তো কেবল একটি জীবনপ্রদীপ নিভে যাওয়াই নয়; বরং একটি পরিবারের শত স্বপ্ন হারিয়ে যাওয়া। হার্ট অ্যাটাক হলে হঠাৎ প্রচণ্ড বুকে ব্যথা হয়, এই ধারণাটুকু কমবেশি সবারই রয়েছে। কিন্তু চরমতম এই লক্ষণ ছাড়া হার্ট অ্যাটাকের আরও অনেক লক্ষণ দেখা দেয়। এমনকি হার্ট অ্যাটাক হয়ে যাওয়ার আগেও কিছু ‘ছোটখাটো’ লক্ষণ দেখা দিতে পারে, যা থেকে আপনি ধারণা পেতে পারেন, দেহযন্ত্রের কোথাও হয়তো কোনো গোলমাল হচ্ছে। এ সময়েই চিকিৎসা নিতে পারলে অনাকাঙ্ক্ষিত জটিলতা এড়ানোর সুযোগ পাওয়া যায়।
হৃৎপিণ্ডের নিজস্ব রক্তনালির কোনো শাখার কোনো এক অংশে ব্লক অর্থাৎ বাধা সৃষ্টি হলে হৃৎপিণ্ডের কিছু অংশে আর ঠিকভাবে রক্তসঞ্চালন হতে পারে না। আর তাতেই বাধে বিপত্তি। সাধারণভাবে একেই বলা হয় হার্ট অ্যাটাক। কিন্তু রক্তনালিতে তো আর একদিনে ব্লক হয় না। দীর্ঘদিন ধরে রক্তনালির ভেতরে চর্বি জমা হতে হতে রক্তনালি ক্রমেই সরু হয়ে পড়ে। সরু পথে স্বাভাবিকভাবেই রক্তের প্রবাহ কম হয়। এ কারণেই শরীরে দেখা দেয় কিছু লক্ষণ। এ সম্পর্কে জানালেন ধানমন্ডির পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মেডিসিন কনসালট্যান্ট ডা.
হৃৎপিণ্ডের রক্তনালি যখন একটু একটু করে সরু হতে থাকে, তখন থেকেই তার কাজ বাধাগ্রস্ত হতে থাকে। ফলে শরীর অল্প শ্রমেই কাবু হয়ে পড়ে। এমন হলে সামান্য পরিশ্রমেই আপনি হাঁপিয়ে উঠবেন। খুব ভারী কোনো কাজ না করেও আপনি অত্যধিক ক্লান্তি অনুভব করবেন। এমন অবস্থায় দু-এক তলা সিঁড়ি ভেঙে উঠতেই আপনার বেশ কষ্ট হবে।
আরও পড়ুনমাত্র ১ সপ্তাহ চিয়া সিড খেলে শরীরে যে পরিবর্তনগুলো লক্ষ করবেন০১ আগস্ট ২০২৪মাথা হালকা হয়ে যাওয়া, ঠান্ডা ঘামহার্ট অ্যাটাকের আগে প্রায়ই খুব দুর্বল বা অসুস্থ অনুভব করতে পারেন আপনি। মনে হতে পারে, মাথার ভেতরটা বুঝি হালকা হয়ে যাচ্ছে। ঠান্ডা ঘামও হতে পারে কারও কারও। খুব স্বাভাবিকভাবেই আপনি এমন লক্ষণের অন্য কোনো কারণও খুঁজে পাবেন না।
ভয়াবহ ওজনের কোনো জিনিস বুকের ওপর চেপে আছে, এমনটা মনে হতে পারে।উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
রূপগঞ্জে টেক্সটাইল কারখানায় গ্যাসের মিটার বিস্ফোরণে চারজন দগ্ধ
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে একটি টেক্সটাইল কারখানায় গ্যাসের মিটার বিস্ফোরণ থেকে অগ্নিকাণ্ডে চার নিরাপত্তা প্রহরী দগ্ধ হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে তিনজনের শ্বাসনালি পুড়ে গেছে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার রূপসী কাজীপাড়া এলাকার জৈনপুরী আশরাফিয়া টেক্সটাইল কারখানায় (মঞ্জু টেক্সটাইল) এ ঘটনা ঘটে।
নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ আল আরেফিন এসব তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, মে দিবসের কারণে কারখানার উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ। এ জন্য লাইনে গ্যাসের উচ্চ চাপ সৃষ্টি হয়ে মিটারে বিস্ফোরণ হয়। সেখান থেকে আগুন ধরে চারজন নিরাপত্তা প্রহরী দগ্ধ হয়েছেন। ফায়ার সার্ভিস পৌঁছানোর আগেই কারখানার লোকজন ও স্থানীয় লোকজন মিলে আগুন নিভিয়ে ফেলেন।
এ ঘটনায় দগ্ধ আবদুল হান্নান (৫০), কবির হোসেন (৪৫) ও সাইফুল ইসলামকে (২৫) রাজধানীর জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। দগ্ধ অন্যজনের নাম জানা যায়নি। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
হাসপাতালের আবাসিক সার্জন শাওন বিন রহমান প্রথম আলোকে বলেন, বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধ চারজনকে হাসপাতালে আনা হয়। আঘাত গুরুতর না হওয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে একজনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বাকি তিনজনের শরীরের ৩৪ থেকে ৫৩ শতাংশ পুড়ে গেছে। তাঁদের শ্বাসনালি পুড়ে যাওয়ায় অবস্থা আশঙ্কাজনক।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন বলেন, রাতের ডিউটি (দায়িত্ব) শেষে সকাল আটটার দিকে শ্রমিকেরা কারখানা ছেড়ে চলে যান। এর কিছুক্ষণ পর তিতাস গ্যাস সংযোগের আরএমএস কক্ষে বিকট শব্দে একটি দেয়াল ধসে পড়ে এবং আগুন ধরে যায়। তখনই চারজন দগ্ধ হন। পরে কারখানার লোকজন ও স্থানীয় লোকজন মিলে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।
ঘটনাটি ‘অনাকাঙ্ক্ষিত’ দাবি করে কারখানার মালিক মঞ্জুরুল হক ভূঁইয়া বলেন, ঘটনার পর আপাতত কারখানা বন্ধ রাখা হয়েছে। শ্রমিকদের সব চিকিৎসার ব্যয় কারখানা থেকে বহন করা হবে। তাঁদের প্রয়োজনীয় ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।
রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিয়াকত আলী প্রথম আলোকে বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেছে। দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত এ ঘটনায় কোনো মামলা হয়নি। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।