কাঠের কিনতে গেলে আকাশছোঁয়া দাম। আবার আসল কাঠের কি না, সেই সন্দেহও থেকে যায়। এর বদলে সাধ্যের মধ্যেই চমৎকার নকশার প্লাস্টিকের ওয়ার্ডরোব কিনতে পারেন। এগুলো ওজনে হালকা, যেকোনো জায়গায় খুব সহজেই বহন করা যায়। জায়গাও নেয় অল্প, টেকেও বহুদিন। ‘ইনসেক্ট রিপেলেন্ট মাস্টারব্যাচ’ ব্যবহার করা হয় বলে পোকামাকড়ের আক্রমণ থেকে পোশাককেও রাখে সুরক্ষিত। ফলে আলাদাভাবে ন্যাপথলিন বা অন্য কিছু ব্যবহারের প্রয়োজন পড়ে না। এমনটাই জানালেন আরএফএল হাউজওয়্যারের বিপণনপ্রধান ইসফাকুল হক। তিনি জানান, দাম হাতের নাগালে বলে সবার জন্যই কেনা সহজ আরএফএলের ওয়ার্ডরোবগুলো।

যেমনটা মিলছে এখন

ঢাকার ইন্দিরা রোডের বেস্ট বাই শো রুমের শেষ মাথায় সারিবদ্ধভাবে সাজানো প্লাস্টিকের ওয়ার্ডরোবগুলো ঘুরে ঘুরে দেখাচ্ছিলেন বিক্রয়কর্মী সানজিদা পারভীন। কসমস থেকে শুরু করে শাপলা, মর্নিং গ্লোরি ফুলপাতার নকশায় সাজানো আসবাব। পাঁচ স্তরের ওয়ার্ডরোবের নিচের চারটিতে একটি করে এবং ওপরের স্তরে দুটি করে ড্রয়ার আছে। কোনটার আবার প্রতিটি স্তরেই একটি করে, কোনোটার আবার প্রতিটি স্তরই দুটি করে ড্রয়ার। আবার একক ড্রয়ারের লম্বাটে ওয়ার্ডরোবও আছে, একে বরং বড় ওয়ার্ডরোবের অর্ধেক বলা চলে। বিশেষ করে শিক্ষার্থীর ও ব্যাচেলররা এ ধরনের ক্লজেট ব্যবহার করে থাকেন। পোশাকের পাশাপাশি বুকশেলফ হিসেবেও ব্যবহার করা যায়। কেউ চাইলে জুতার বক্স হিসেবেও ব্যবহার করতে পারেন।

দাম কেমন

শোরুমে ছোট থেকে বড় ওয়ার্ডরোব মিলবে ৫ হাজার ৪০০ থেকে ১২ হাজার ২০০ টাকায়। প্রতি মাসেই নির্দিষ্ট কিছু পণ্যে ১০ থেকে ২০ শতাংশ পর্যন্ত মূল্যছাড় পাওয়া যায়। অনলাইন ফরমাশে মিলবে বাড়তি আরও কিছু সুবিধা। যেমন othoba.

com–এর অনলাইন অর্ডারে ১৫ শতাংশ ছাড়ে ৭ হাজার টাকার প্ল্যাটিনাম ফোর ডি-সুগন্ধ মডেলের আরএফএল ওয়ার্ডরোব পাবেন ৫ হাজার ৯৫০ টাকায়। শূন্য শতাংশ ইএমআই সুবিধা আছে মাসিক ৪৯৫.৮৩ টাকা থেকে। ১৫ শতাংশ ছাড়ে ৮ হাজার ৫০০ টাকার ক্ল্যাসিক ফাইভ ডি ফিউশন ও ক্ল্যাসিক ফাইভ ডি পার্ল মডেলের আরএফএল ওয়ার্ডরোব পাবেন ৭ হাজার ২২৫ টাকায়। শূন্য শতাংশ ইএমআই সুবিধা আছে মাসিক ৬০২.০৮ টাকা থেকে।

নানা আকারের প্লাস্টিক ওয়ার্ডরোব মিলবে বাজারে

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব যবহ র কর

এছাড়াও পড়ুন:

২২ বছর পর চাকা ঘুরছে রাজশাহী টেক্সটাইলের

দীর্ঘ ২২ বছর পর আবার চাকা ঘুরতে যাচ্ছে রাজশাহী টেক্সটাইল মিলসের। এরই মধ্যে কারখানাটিতে পরীক্ষামূলক উৎপাদন শুরু হয়েছে। তাতে কর্মসংস্থান হয়েছে এক হাজার জনের। সরকারি মালিকানাধীন বস্ত্রকলটি সরকারি-বেসরকারি যৌথ অংশীদারত্বে (পিপিপি) আবারও চালু করতে যাচ্ছে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ। আজ সোমবার প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের পক্ষ থেকে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে কারখানাটি পরীক্ষামূলক চালুর ঘোষণা দেওয়া হয়।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, পিপিপিতে নেওয়ার পর রাজশাহী টেক্সটাইল মিলসের নাম বদলে রাখা হয়েছে বরেন্দ্র রাজশাহী টেক্সটাইল। পরীক্ষামূলক উৎপাদন শেষে শিগগিরই কারখানাটি আনুষ্ঠানিকভাবে চালু করা হবে। এটি পুরোদমে চালু হলে ১২ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান তৈরি হবে। আজ দুপুরে রাজশাহী নগরের একটি রেস্তোরাঁয় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রাণ-আরএফএলের কর্মকর্তারা এ তথ্য জানান।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আরএফএল গ্রুপের বিপণন পরিচালক কামরুজ্জামান কামাল, গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান মাল্টি লাইন ইন্ডাস্ট্রিজের নির্বাহী পরিচালক আনিসুর রহমান, গ্রুপের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (জনসংযোগ) তৌহিদুজ্জামান ও বরেন্দ্র রাজশাহী টেক্সটাইলের সহকারী মহাব্যবস্থাপক শরীফ উদ্দিন আহমেদ প্রমুখ।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়েছে, রাজশাহীতে অবস্থিত সরকারি এই টেক্সটাইল মিলটি ২২ বছর ধরে বন্ধ ছিল। সম্প্রতি সরকারের সঙ্গে চুক্তির মাধ্যমে এটি পিপিপিতে চালুর উদ্যোগ নেয় প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ। প্রায় ২৬ একর জায়গার ওপর প্রতিষ্ঠিত এই কারখানাকে প্রাণ-আরএফএল উত্তরবঙ্গের সর্ববৃহৎ পরিবেশবান্ধব শিল্পপ্রতিষ্ঠানে পরিণত করার উদ্যোগ নিয়েছে। কারখানাটিতে তৈরি হবে শতভাগ রপ্তানিমুখী পণ্য। এসব পণ্যের মধ্যে থাকবে বিভিন্ন ধরনের ব্যাগ, জুতা ও তৈরি পোশাক। দুই বছরের মধ্যে কারখানাটিতে ১২ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান তৈরিতে প্রায় ৩৫০ কোটি টাকা বিনিয়োগের পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে।

প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের পক্ষ থেকে জানানো হয়, গত বছরের অক্টোবরে চুক্তি স্বাক্ষরের পর ডিসেম্বরে কারখানার দায়িত্ব বুঝে নেয় গ্রুপটি। এরপর তিন মাসের মাথায় কারখানায় পরীক্ষামূলক উৎপাদন কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। দুই বছরের মধ্যে কারখানাটি পুরোদমে চালু হবে।

সংবাদ সম্মেলনে কামরুজ্জামান কামাল বলেন, দেশের উন্নয়নের জন্য ঢাকাকেন্দ্রিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে বের হয়ে তারা উত্তরবঙ্গে এই বৃহৎ শিল্প প্রকল্প শুরু করেছেন। এর মাধ্যমে রাজশাহীর হাজার হাজার মানুষ কর্মসংস্থানের সুযোগ পাবেন এবং স্থানীয় অর্থনীতি গতিশীল হবে।

আনিসুর রহমান বলেন, কারখানায় বর্তমানে সীমিত পরিসরে জুতা ও ব্যাগ তৈরির প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তাতে রাজশাহীর প্রায় এক হাজার লোক কাজের সুযোগ পেয়েছেন। স্থানীয় কর্মীদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য এখানে একটি ‘স্কিলস ডেভেলপমেন্ট সেন্টার’ স্থাপন করা হবে। কারখানায় উৎপাদিত পণ্য রপ্তানি হবে।

রাজশাহী টেক্সটাইল মিলসে কারখানা চালু করার প্রক্রিয়ায় কয়েক শ গাছ ও পুকুর ভরাটের বিষয়ে রাজশাহীতে সমালোচনা হয়। এ নিয়ে বিভিন্ন সংগঠন মানববন্ধনও করেছে। এ ব্যাপারে সংবাদ সম্মেলনে জানতে চাইলে কামরুজ্জামান কামাল বলেন, গাছ কাটা নিয়ে সমালোচনা হয়েছে। তাঁরা সঠিক উপায় অবলম্বন করেই এগুলো করেছেন। বন বিভাগকে চিঠি দিয়েছেন। তার বিপরীতে তিন হাজার নতুন গাছ লাগানো হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বেসরকারি শিল্পপ্রতিষ্ঠান নেবে ম্যানেজমেন্ট ট্রেইনি অফিসার, এমবিএতে আবেদন
  • ২২ বছর পর চালু হচ্ছে রাজশাহী টেক্সটাইল মিল
  • ২২ বছর পর চাকা ঘুরছে রাজশাহী টেক্সটাইলের