ময়মনসিংহ নগরে চালককে হত্যা করে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা নিয়ে পালিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে নগরের ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর দাপুনিয়া এলাকায় সড়কের পাশের একটি ধানখেত থেকে ওই চালকের পা ও মুখ বাঁধা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

নিহত ব্যক্তির নাম টুটুল আহমেদ (২৫)। তিনি ভাটিদাপুনিয়া গ্রামের মৃত আইউন আলীর ছেলে। টুটুল ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালাতেন, যা স্থানীয়ভাবে মিশুক নামে পরিচিত।

পুলিশ ও স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা জানান, আজ সকালে ঘটনাস্থলের ধানখেতে একটি মরদেহ দেখতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা। সেখানে উপুড় করে শোয়ানো ছিল মরদেহটি। আর পরনের লুঙ্গি দিয়ে দুই পা ও একটি চাদরে মুখ বাঁধা ছিল। তাঁরা পরে পুলিশকে খবর পাঠান। এর মধ্যে ঘটনাস্থলে আসেন টুটুলের স্বজনেরা। তাঁরা মরদেহটি শনাক্ত করেন।

টুটুলের শ্বশুর ইব্রাহিম মিয়া জানান, গতকাল বুধবার পরিবারের সঙ্গে ইফতার শেষে অটোরিকশা নিয়ে বের হন টুটুল। রাত ১০টা বেজে গেলেও বাড়িতে না ফেরায় তাঁরা খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। সারা রাত বিভিন্ন স্থানে খোঁজ করেও তাঁর সন্ধান পাওয়া যায়নি। পরে আজ সকাল ৯টার দিকে উত্তর দাপুনিয়া এলাকায় লাশ পাওয়ার খবরে গিয়ে দেখেন তাঁর জামাতার মরদেহ পড়ে আছে।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন জেলা পুলিশ সুপার কাজী আখতার উল আলম। কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম খান বলেন, উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্ত ও আইনের আওতায় আনতে কাজ চলছে। থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: মরদ হ

এছাড়াও পড়ুন:

মাঝপথ থেকে ফিরে গিয়ে মেসির কাছে ক্ষমা চাইলেন মমতা

কলকাতার সল্ট লেকে লিওনেল মেসির অনুষ্ঠান ঘিরে বিশৃঙ্খলায় ক্ষমা চেয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠনের ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।

মমতা জানিয়েছেন, অনুষ্ঠানে যোগ দিতে তিনি নিজেও সল্ট লেকের পথে রওনা দিয়েছিলেন। কিন্তু বিশৃঙ্খলায় অনুষ্ঠান পণ্ড হয়ে যাওয়ায় মাঝপথ থেকে ফিরে গিয়েছেন।

তিন দিনের ভারত সফরের প্রথম দিনে আজ সকালে কলকাতার সল্ট লেক স্টেডিয়ামে যান মেসি। সঙ্গে ছিলেন ইন্টার মায়ামিতে তাঁর সতীর্থ লুইস সুয়ারেজ ও রদ্রিগো দি পল। মাঠে ঢুকে গ্যালারির চারপাশে ঘুরে ল্যাপ অব অনার নেওয়ার কথা ছিল মেসির।

কিন্তু মেসি ও তাঁর সঙ্গীরা গাড়ি থেকে নামতেই বেশ কিছু মানুষ তাঁদের ঘিরে ধরেন। টিকিট কেটে গ্যালারিতে ঢোকা দর্শক ভিড়ের কারণে মেসিকে দেখতেই পারেননি। বিরক্ত মেসি অল্প কিছু দূর হেঁটে মাঠ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর দর্শকদের ক্ষোভের বিস্ফোরণ ঘটে।

গ্যালারির চেয়ার ভেঙে মাঠে ছোড়েন তারা, একপর্যায়ের দুই হাজারের বেশি দর্শক মাঠেও ঢুকে পড়েন। পুলিশ লাঠিপেটা করেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেনি। এ সময় মাঠে রাখা তাঁবুতে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। কেউ কেউ স্টেডিয়ামের ভেতরে হাতের কাছে ফুলের টবসহ যা পেয়েছেন, সে সব নিয়ে যান। মাঠের বাইরেও দর্শকদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।

পুরো বিষয়টিতে ‘বিস্মিত’ উল্লেখ করে এক্সে একটি পোস্ট দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি লিখেছেন, ‘আজ সল্ট লেক স্টেডিয়ামে যে অব্যবস্থাপনা দেখা গেছে, তাতে আমি গভীরভাবে মর্মাহত ও বিস্মিত। হাজার হাজার ক্রীড়াপ্রেমী ও সমর্থকের সঙ্গে আমিও অনুষ্ঠানটি উপভোগ করতে এবং তাঁদের প্রিয় ফুটবলার লিওনেল মেসিকে এক নজর দেখতে স্টেডিয়ামের পথে রওনা হয়েছিলাম। এই দুর্ভাগ্যজনক ঘটনার জন্য আমি লিওনেল মেসি, পাশাপাশি সব ক্রীড়াপ্রেমী ও তাঁর সমর্থকদের কাছে আন্তরিকভাবে ক্ষমা প্রার্থনা করছি।’

তদন্ত কমিটি গঠনের কথা জানিয়ে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, ‘আমি বিচারপতি (অব.) আশিম কুমার রায়ের সভাপতিত্বে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করছি, যেখানে সদস্য হিসেবে থাকবেন মুখ্য সচিব এবং অতিরিক্ত মুখ্য সচিব, স্বরাষ্ট্র ও পার্বত্য বিষয়ক দপ্তর। এই কমিটি ঘটনার বিস্তারিত তদন্ত করবে, দায়িত্ব নির্ধারণ করবে এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা যাতে না ঘটে সে জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা সুপারিশ করবে।’

পোস্টের শেষ দিকে আরও একবার ক্রীড়াপ্রেমীদের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন মমতা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ