নিখোঁজ অটোরিকশাচালকের মরদেহ পড়ে ছিল ধানখেতে
Published: 13th, March 2025 GMT
ময়মনসিংহ নগরে চালককে হত্যা করে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা নিয়ে পালিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে নগরের ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর দাপুনিয়া এলাকায় সড়কের পাশের একটি ধানখেত থেকে ওই চালকের পা ও মুখ বাঁধা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত ব্যক্তির নাম টুটুল আহমেদ (২৫)। তিনি ভাটিদাপুনিয়া গ্রামের মৃত আইউন আলীর ছেলে। টুটুল ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালাতেন, যা স্থানীয়ভাবে মিশুক নামে পরিচিত।
পুলিশ ও স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা জানান, আজ সকালে ঘটনাস্থলের ধানখেতে একটি মরদেহ দেখতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা। সেখানে উপুড় করে শোয়ানো ছিল মরদেহটি। আর পরনের লুঙ্গি দিয়ে দুই পা ও একটি চাদরে মুখ বাঁধা ছিল। তাঁরা পরে পুলিশকে খবর পাঠান। এর মধ্যে ঘটনাস্থলে আসেন টুটুলের স্বজনেরা। তাঁরা মরদেহটি শনাক্ত করেন।
টুটুলের শ্বশুর ইব্রাহিম মিয়া জানান, গতকাল বুধবার পরিবারের সঙ্গে ইফতার শেষে অটোরিকশা নিয়ে বের হন টুটুল। রাত ১০টা বেজে গেলেও বাড়িতে না ফেরায় তাঁরা খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। সারা রাত বিভিন্ন স্থানে খোঁজ করেও তাঁর সন্ধান পাওয়া যায়নি। পরে আজ সকাল ৯টার দিকে উত্তর দাপুনিয়া এলাকায় লাশ পাওয়ার খবরে গিয়ে দেখেন তাঁর জামাতার মরদেহ পড়ে আছে।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন জেলা পুলিশ সুপার কাজী আখতার উল আলম। কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম খান বলেন, উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্ত ও আইনের আওতায় আনতে কাজ চলছে। থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: মরদ হ
এছাড়াও পড়ুন:
শেখ হাসিনার আমৃত্যু কারাদণ্ডের সাজা বাড়াতে আপিল করবে প্রসিকিউশন
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় যে অভিযোগে শেখ হাসিনার আমৃত্যু কারাদণ্ড হয়েছে, সেটিতে তাঁর মৃত্যুদণ্ড চেয়ে আপিল করবে প্রসিকিউশন (রাষ্ট্রপক্ষ)।
আজ সোমবার সকালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে কর্মরত সাংবাদিকদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে এই তথ্য জানিয়েছেন প্রসিকিউটর গাজী মোনাওয়ার হুসাইন তামীম।
গাজী মোনাওয়ার হুসাইন তামীম লিখেছেন, শেখ হাসিনা আমৃত্যু কারাদণ্ডের বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ড চেয়ে আজ প্রসিকিউশন আপিল বিভাগে আপিল দায়ের করবে।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের একটি মামলায় গত ১৭ নভেম্বর রায় ঘোষণা করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। এই মামলায় শেখ হাসিনাকে দুটি সাজা দেওয়া হয়—একটি মৃত্যুদণ্ড, অপরটি আমৃত্যু কারাদণ্ড। এখন এই আমৃত্যু কারাদণ্ডের জায়গায় শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড চেয়ে আপিল করবে প্রসিকিউশন।