ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক (ইউসিবি) এবং প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ ডিজিটাল ক্যাশ ম্যানেজমেন্ট আরও সহজ, স্বচ্ছ ও শক্তিশালী করতে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। চুক্তির মাধ্যমে ভোক্তা এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের (এসএমই) জন্য ডিজিটাল লেনদেনের সুযোগ বাড়বে। গতকাল ইউসিবির প্রধান কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে ইউসিবির চেয়ারম্যান শরীফ জহিরের উপস্থিতিতে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ মামদুদুর রশীদ এবং প্রাণ-আরএফএলের গ্রুপ চেয়ারম্যান আহসান খান চৌধুরী। এ সময় উভয় প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। ইউসিবির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। 
প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের চেয়ারম্যান বলেন, ‘এই চুক্তির মাধ্যমে আমরা ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের জন্য ডিজিটাল লেনদেনের সুযোগ সম্প্রসারণ করতে পারব, যা তাদের ব্যবসায়িক কার্যক্রম আরও গতিশীল করবে। ইউসিবির মতো আস্থাভাজন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে এই অংশীদারিত্ব আমাদের ডিজিটাল রূপান্তরের লক্ষ্য আরও এগিয়ে নেবে।’ ইউসিবির ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, ইউসিবি পরিপূর্ণ আর্থিক সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে লাখো মানুষের আস্থা অর্জন করেছে। দুটি বৃহৎ প্রতিষ্ঠানের যৌথ উদ্যোগ ভবিষ্যৎ ডিজিটাল অর্থনৈতিক সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে নিঃসন্দেহে এক মাইলফলক।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ইউস ব র

এছাড়াও পড়ুন:

সেই রাতে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে যা ঘটেছিল

২৩ আগস্ট রাতে আমাদের গ্রেপ্তার

সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ,  ক্যাপ্টেন মনসুর আলী, এ এইচ এম কামরুজ্জামন, এই লেখক শেখ আবদুল আজিজ ও আবদুস সামাদ আজাদ—এই ৬ জনকে ১৯৭৫ সালের ২৩ আগস্ট একসঙ্গে গ্রেপ্তার করে আমাদের পল্টনে কন্ট্রোল রুমে একটি ভাঙা বাড়িতে নেওয়া হয়। আমরা বসা অবস্থায় বঙ্গবন্ধুর ভগ্নিপতি সৈয়দ আহমদকে মুক্তি দেওয়ার জন্য জনৈক কর্নেল ফারুককে অনুরোধ করেছিলেন।

কর্নেল ফারুক উত্তরে বলেছিলেন, ‘আপনাদের সবার ট্রায়াল এখানে হবে।’ আমাদের উদ্দেশ করে বলা হয়েছিল, ‘ইউ উইল হ্যাভ টু জাস্টিফাই ইয়োর করাপশন।’ এ কথা শুনে আমরা স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিলাম। ভাবলাম, এটা কোর্ট নয়, আদালত নয়, কীভাবে এখানে বিচার হবে? এই পরিস্থিতিতে আমাদের পরস্পরের কথা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল।
ইতিমধ্যে মেজর ডালিম এসে এইচ এম কামারুজ্জামানের সঙ্গে আস্তে আস্তে কথা বলতে লাগল। কামরুজ্জামান ডালিমকে বলেছিল, ‘এ রকম তো কথা ছিল না!’ তারপর ডালিম চলে গেল। আমাদের সামনে আমাদের সহানুভূতিশীল পুলিশ কর্মচারীরা দৌড়াদৌড়ি করছিল। কিছু সময় পর তারা এসে বলল, ‘আপনারা এই গাড়ি ও মাইক্রোবাসে তাড়াতাড়ি ওঠেন; সেন্ট্রাল জেলে যেতে হবে।’ আমরা গাড়িতে উঠলাম এবং ভাবলাম, বেঁচে গেলাম। সেন্ট্রাল জেলে প্রবেশ করলাম। আমাদের নতুন জেলে থাকার জায়গা করে দেওয়া হলো।

শেখ আবদুল আজিজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ